বাংলাদেশ নিরাপদ খাদ্য কর্তৃপক্ষের সক্ষমতা বৃদ্ধিকরণ প্রকল্পের আওতায় জেলা কার্যালয় বগুড়ার আয়োজনে দুই দিনব্যাপী বেকারি ও কনফেকশনারি মালিক এবং কর্মকর্তাদের খাদ্য নিরাপত্তা বিষয়ে প্রশিক্ষণ শুরু হয়েছে। গতকাল শনিবার বগুড়া শহরতলী বনানী হর্টি কালচার প্রশিক্ষণ কক্ষে এর উদ্বোধন করা হয়। উদ্বোধন শেষে আলোচনা সভায় হর্টি কালচার বগুড়ার উদ্যান তত্ত্ববিদ মীর মো. কাশেম আলীর সভাপতিত্বে প্রধান অতিথির বক্তব্য দেন খাদ্য মন্ত্রণালয়ের অতিরিক্ত সচিব মো. খুরশীদ ইকবাল রেজভী। তিনি বলেন, অর্থনৈতিক প্রবৃদ্ধি ও সামাজিক উন্নয়নের বিভিন্ন সূচকে লাল-সবুজের বাংলাদেশ আজ উন্নয়নের অগ্রযাত্রায় অদম্য। স্বাধীন বাংলাদেশের স্থপতি জাতির পিতা বঙ্গবন্ধু শেখ মুজিবুর রহমানের স্বপ্ন ছিল একটি সুখী-সমৃদ্ধ, ক্ষুধা ও দারিদ্র্যমুক্ত সোনার বাংলা গড়ার। সেই স্বপ্ন বাস্তবায়নের প্রত্যয়ে একটি সুস্থ সবল মেধাবী ও কর্মক্ষম জাতি গড়ার লক্ষ্যে বঙ্গবন্ধুর সুযোগ্যকন্যা আধুনিক বাংলাদেশের রূপকার প্রধানমন্ত্রী শেখ হাসিনা নিরলস প্রচেষ্টা চালিয়ে যাচ্ছেন। পিউর ফুড অর্ডিন্যান্স প্রবর্তনের পর দীর্ঘ সময়কালেও বাংলাদেশে নিরাপদ খাদ্য নিশ্চিত করা সম্ভব না হওয়ার কারণ হিসেবে যুগোপযুগী নিরাপদ খাদ্য আইন প্রণীত না হওয়া এবং আইন দ্বারা গঠিত নিরাপদ খাদ্য কর্তৃপক্ষ না থাকাসহ নিরাপদ খাদ্য সংশ্লিষ্ট সংস্থাগুলোর মধ্যে সমন্বয়হীনতাকে চিহ্নি করা হয়। বিষয়টির গুরুত্ব বিবেচনায় বাংলাদেশের আপামর মানুষের জীবন ও স্বাস্থ্যসুরক্ষায় ভেজাল ও দূষণমুক্ত নিরাপদ খাদ্য প্রাপ্তির সাংবিধানিক অধিকার নিশ্চিতকরণে প্রধানমন্ত্রীর যুগোপযুগী বিচক্ষণ ও দূরদর্শী সিদ্ধান্তে নিরাপদ খাদ্য আইন ২০১৩ জাতীয় সংসদে পাস হয়, যা ২০১৫ থেকে কার্যকর করা হয়। বর্তমানে নিরাপদ খাদ্য ব্যবস্থাপনা বিষয়ে দক্ষ জনবল প্রয়োজনীয় তথ্য সংবলিত ডাটা বেইজ, খাদ্য বিষয়ে কল সেন্টার ও অ্যাপস নির্ভর অভিযোগ এবং মতামত গ্রহণ ব্যবস্থা, প্রয়োজনীয় যন্ত্রপাতি ও কিটস সমৃদ্ধ মোবাইল ল্যাবরেটরি ইত্যাদি সুবিধা সৃষ্টির মাধ্যমে উন্নত ও কার্যকর মনিটরিং তথা নিরাপদ খাদ্য ব্যবস্থাপনা বাস্তবায়নের লক্ষ্যে বাংলাদেশ নিরাপদ খাদ্য কর্তৃপক্ষের সক্ষমতা বৃদ্ধিকরণ প্রকল্পটি দ্বারা দেশের ১৮ কোটি মানুষ এর সুফল ভোগ করবে। অনুষ্ঠানে বিশেষ অতিথির বক্তব্য দেন এফপিএমইউ গবেষণা পরিচালক মো. হাজিকুল ইসলাম, মো. মাহবুবুর রহমান, সিস্টেম এনালিস্ট খাদ্য মন্ত্রণালয় মো. মোবারক হোসেন, সহযোগী গবেষণা পরিচালক ইসমাইল মিয়া, সহকারী সচিব সেলিনা সুলতানা, তাহমিনা খানম।