পাকা ভবনে বাঁশ-টিনের বেড়া
ঝুঁকি নিয়ে চলছে পান্টি প্রাথমিকে পাঠদান
প্রকাশ : ২৩ জানুয়ারি ২০২৩, ০০:০০ | প্রিন্ট সংস্করণ
এএইচএম আরিফ, কুষ্টিয়া
নির্দিষ্ট সময়ের আরো দুই বছরের অধিক সময় অতিবাহিত হলেও চুক্তি অনুযায়ী ২০২০ সালের ২৮ জানুয়ারি ভবন নির্মাণের কাজ শুরু হয়ে ২৭ অক্টোবর শেষ করার কথা ঠিকাদারি প্রতিষ্ঠানের। কিন্তু শেষ হয়নি ভবন নির্মাণ কাজ। তাই শ্রেণিকক্ষ সংকট থাকায় বাধ্য হয়েই নির্মাণাধীন ভবনে বাঁশ ও টিনের বেড়া ও মেঝেতে বালু দিয়ে চলছে পাঠদান। এতে একদিকে শিক্ষক-শিক্ষার্থীরা রয়েছেন জীবন ঝুঁকিতে। অপরদিকে ব্যাহত হচ্ছে স্বাভাবিক পাঠদান। নিত্যদিনের এ চিত্র কুষ্টিয়ার কুমারখালী উপজেলার পান্টি সরকারি প্রাথমিক বিদ্যালয়ে। সরেজমিন বিদ্যালয়ে গিয়ে দেখা গেছে, পূর্বের ভবন ভেঙে সেখানে তিনতলা বিশিষ্ট নির্মাণাধীন ভবনের প্রথম ও দ্বিতীয় তলার ছাদ ঢালাইয়ের কাজ শেষ করা হয়েছে। ভবনের সামনে ও দ্বিতীয় তলার মেঝেতে ইট, বাঁশ, কাঠসহ নির্মাণ কাজের বিভিন্ন সামগ্রী রাখা রয়েছে। আর প্রথম তলার মেঝে বালু দিয়ে ভরাট করা এবং দক্ষিণ পাশের দেয়ালে ইটের পরিবর্তে বাঁশের চাটাই ও পরিত্যক্ত টিনের বেড়া।
বিদ্যালয়ের প্রধান শিক্ষক মো. রেজাউল ইসলাম বলেন, বর্তমানে বিদ্যালয়ে ৩৩০ জন শিক্ষার্থী রয়েছে। তার জন্য মানসম্মত শ্রেণিকক্ষ রয়েছে মাত্র একটি। নির্দিষ্ট সময়ের অতিরিক্ত দুই বছর পার হলেও কাজ শেষ হয়নি। বাধ্য হয়েই নির্মাণাধীন ভবনে বালু ফেলে, বাঁশ ও টিনের বেড়া দিয়ে পাঠদান অব্যাহত রেখেছি। এতে স্বাভাবিক কার্যক্রম ব্যাহত হচ্ছে। কাজ শেষ করার জন্য উপজেলা প্রশাসন, প্রকৌশলী ও ঠিকাদারকে একাধিকবার লিখিত ও মৌখিক জানিয়ে কোনো ফল পাওয়া যায়নি।
উপজেলা প্রকৌশলী কার্যালয় সূত্রে জানা গেছে, ২০১৮-১৯ অর্থবছরে চাহিদাভিত্তিক সরকারি প্রাথমিক বিদ্যালয়ের অবকাঠামোগত উন্নয়ন প্রকল্পের (১ম পর্যায়ে) আওতায় পান্টি সরকারি প্রাথমিক বিদ্যালয়ে একটি পাঁচ কক্ষবিশিষ্ট বহুতল ভবন নির্মাণের জন্য অন্তর্ভুক্ত করা হয়। প্রায় ৮৪ লাখ ২৯ হাজার টাকায় ভবনটি নির্মাণের জন্য ২০২০ সালের ২১ জানুয়ারি চুক্তিবদ্ধ হয় জেলার মিরপুর উপজেলার মশান এলাকার ঠিকাদারি প্রতিষ্ঠান মেসার্স সাগর কনস্ট্রাকশন। আরো জানা গেছে, ঠিকাদার পুনরায় আবেদনের মাধ্যমে কাজের সময় বাড়িয়ে ২০২২ সালের ১৫ মার্চ ভবন নির্মাণের কাজ শুরু করেন। বর্ধিত সময়ও গেল বছরে জুন মাসে শেষ হয়েছে। কিন্তু ভবনের কাজ হয়েছে প্রায় ৮০ ভাগ। এ বিষয়ে জানতে চাইলে কাজের ঠিকাদার মো. আবু বক্কর সিদ্দিকী বলেন, পুরাতন ভবন অপসারণে ১৩-১৪ মাস সময় নষ্ট হয়েছিল। এরইমধ্যে প্রায় ৮০ ভাগ কাজ শেষ হয়েছে। আগামী দুই মাসের মধ্যে কাজ করবেন বলে আশা করছেন তিনি।
উপজেলা প্রকৌশলী মো. আব্দুর রহিম বলেন, প্রায় ৮০ ভাগ কাজ সম্পন্ন হয়েছে।