অবৈধভাবে প্রকাশ্যে বেশ কয়েকটি ভেকু মেশিন দিয়ে ফসলি জমির মাটি কাটার কর্মযজ্ঞ চালাচ্ছে প্রভাবশালী একটি মহল। দিনের পর দিন এভাবেই আইন অমান্য করে কৃষি জমি ধ্বংস করা হলেও কৃষি জমি রক্ষায় কার্যকরী কোনো পদক্ষেপ নেয়া হচ্ছে না। সরেজমিন গত শনিবার দেখা যায়, মানিকগঞ্জ সদরের মালুটিয়া মৌজার দোপার চকে তিনটি ভেকু দিয়ে ফসলি জমির টপ সয়েল (উর্বর অংশ) কাটা হচ্ছে। আবার কোথাও ১৫ থেকে ২০ ফুট গভীর করে ফসলি জমি কাটা হচ্ছে। উকিয়ারা এলাকার শেফালি বেগম বলেন, আমাদের এখানে রাতে শুরু হয় ট্রাক ভেকুর যন্ত্রণা। সারা রাত কৃষি জমির মাটি কাটে। রাস্তার পাশে যাদের বাড়ি আছে তারা কেউ রাতে ঘুমাতে পারছি না। মালুটিয়া এলাকার খোরশেদ বেপারী বলেন, ভূমিদস্যুরা ভেকু মেশিন দিয়ে ১৫ থেকে ২০ ফুট গভীর করে খাড়াভাবে জমির মাটি কাটে, যাতে করে অল্প কয়েকদিনের মধ্যে পার্শ্ববর্তী জমির মাটি ভেঙে পড়ে যায়। বর্তমানে ভূমিদস্যুদের কাছে আমরা কৃষকরা খুব অসহায় হয়ে পড়েছি। মাটি ব্যবসায়ী আবুল কালাম ও মোশারফ মেম্বার বলেন, আমাদের নিজস্ব ভেকু, ড্রাম ও কাকড়া ট্রাক আছে। মাটি বিক্রি আমাদের পেশা। কিছুটা অবৈধ বিধায় সবাইকে ম্যানেজ করে চলতে হয়। সোহেল মুন্সি বলেন, মালুটিয়া ভগবানপুর এলাকায় প্রায় ১৫ বছর ধরে মাটি কিনে ইটভাটায় দিচ্ছি। আমি সবচেয়ে পুরাতন ব্যবসায়ী। এ চকে আমার জমি থাকলে আমি এভাবে কাটতে দিতাম না। কিন্তু কি করবো মাটির ব্যবসা করি এটাই এখন আমার রিযিক। রাজা মেম্বার বলেন, উপজেলা চেয়ারম্যানের অনুমতি নিয়েই মাটি কাটছি। মানিকগঞ্জ সদর উপজেলা নির্বাহী কর্মকর্তা (ইউএনও) জ্যোতিশ্বর পাল বলেন, কৃষি জমি থেকে ভেকু দিয়ে মাটি কাটা সম্পূর্ণ নিষেধ। মালুটিয়া ও উকিয়ারা এলাকায় ফসলি জমি রক্ষায় আইনগত ব্যবস্থা নেয়া হবে।