চাঁদপুরে শিশু নাবিল হত্যায় একজনের মৃত্যুদণ্ড এবং পাবনায় তিনজনের যাবজ্জীবন কারাদণ্ড দেয়া হয়েছে। গতকাল সোমবার প্রতিনিধিদের পাঠানো খবর-
চাঁদপুর : ফরিদগঞ্জ উপজেলার বালিথুবা পশ্চিম ইউনিয়নে অপহরণের পর মুক্তিপণের ১০ লাখ টাকা না পেয়ে গলায় প্লাস্টিক পেঁচিয়ে শিশু নাবিল রহমান ইমন হত্যার ঘটনায় মামলার আসামি মো. শাহজালাল হোসেন সোহাগকে মৃত্যুদণ্ড ও ৫ হাজার টাকা অর্থদণ্ড দিয়েছেন আদালত। আসামির বিরুদ্ধে নারী ও শিশু নির্যাতন দমন আইন (সংশোধনী ২০০৩) এর ৭ ও ৮ ধারায় পৃথকভাবে দোষী সাব্যস্ত হওয়ায় প্রত্যেক ধারায় পৃথকভাবে যাবজ্জীবন সশ্রম কারাদণ্ড, ৫হাজার টাকা অর্থদণ্ড এবং অনাদায়ে আরো ৬ মাস সশ্রম কারাদণ্ডে দণ্ডিত করা হয়। এছাড়া দণ্ডবিধি ২০১ ধারায় তাকে ৭ বছরের সশ্রম কারাদণ্ড, ২ হাজার টাকা অর্থদণ্ড এবং অনাদায়ে আরো ৩ মাসের সশ্রম কারাদণ্ড প্রদান করেন আদালত। মামলার রায় দেন চাঁদপুর নারী ও শিশু নির্যাতন দমন ট্রাইব্যুনালের বিচারক জান্নাতুল ফেরদৌস চৌধুরী। নারী ও শিশু নির্যাতন দমন ট্রাইব্যুনালের স্পেশাল পাবলিক প্রসিকিউটর (পিপি) সাইয়েদুল ইসলাম বাবু জানান, মামলাটি দীর্ঘ প্রায় ১০ বছর চলাকালীন সময়ে ৯ জনের স্বাক্ষ্যগ্রহণ করেন। তবে আসামি জামিনের পর পলাতক রয়েছে। আসামি পক্ষের আইনজীবী ছিলেন ইকবাল-বিন-বাশার।
পাবনা : পাবনায় হত্যা মামলায় তিনজনকে যাবজ্জীবন কারাদণ্ড ও ৯ জনকে বেকুসর খালাস দিয়েছেন আদালত। একই সঙ্গে দণ্ডপ্রাপ্ত প্রত্যেককে ২০ হাজার টাকা করে জরিমানা অনাদায়ে আরো ৬ মাসের করে কারাদণ্ড দেয়া হয়েছে। পাবনার বিশেষ জেলা ও দায়রা জজ আদালতের বিচারক আহসান তারেক এ আদেশ দেন। দণ্ডপ্রাপ্তরা হলেন- সদর উপজেলার চরতারাপুরের দিঘী গোহাইল বাড়ি এলাকার মন্টু প্রামাণিক, সাহেব মোল্লা ও নওজেস প্রামাণিক। আদালতে রাষ্ট্রপক্ষে শুনানি করেন বিশেষ পাবলিক প্রসিকিউটর দেওয়ান মজনুল হক এবং আসামিদের পক্ষে শুনানি করেন সনৎ কুমার সরকার। রাষ্ট্রপক্ষের আইনজীবী দেওয়ান মজনুল হক বলেন, সাক্ষ্য ও তদন্তে অভিযোগ সন্দেহাতীতভাবে প্রামানিত হয়েছে। আদালতের রায়ে আমরা সন্তুষ্ট। আসামিপক্ষের আইনজীবী বলেন, আমার মক্কেলরা ন্যায় বিচার থেকে বঞ্চিত হয়েছেন। আমরা উচ্চ আদালতে আপিল করবো।