ভুয়া পরিচয়দানকারী ম্যাজিস্ট্রেট স্বামীসহ গ্রেপ্তার

প্রকাশ : ২৫ জানুয়ারি ২০২৩, ০০:০০ | প্রিন্ট সংস্করণ

  কামরুল হুদা হেলাল, দিনাজপুর

দিনাজপুর জেলা প্রশাসকের স্বাক্ষর জাল করে পত্রিকায় ভুয়া নিয়োগ বিজ্ঞপ্তি প্রচারের সঙ্গে জড়িত ছিলেন আনিকা তাসনিম সরকার তিশা নামে এক নারী। প্রতারণার পাশাপাশি তিনি নিজেকে নির্বাহী ম্যাজিস্ট্রেট হিসেবে পরিচয় দিতেন। তিনি ৩৮তম বিসিএসে প্রশাসন ক্যাডারের তালিকায় নিজের নাম যুক্ত করা কপি দেখিয়ে প্রতারণা করতেন। তার সঙ্গে তার কথিত স্বামী আব্দুল মান্নান জড়িত রয়েছেন। পুলিশ প্রতারক চক্রের স্বামী-স্ত্রীকে গ্রেপ্তার করেছে। গত সোমবার দিনাজপুরের পুলিশ সুপার কার্যালয়ের সম্মেলনে এক প্রেস ব্রিফিংয়ে এ তথ্য জানান পুলিশ সুপার শাহ ইফতেখার আহমেদ। এ সময় উপস্থিত ছিলেন অতিরিক্ত পুলিশ সুপার (সদর) শেখ মো. জিন্নাহ আল মামুন, সহকারী পুলিশ সুপার (কাহারোল) রওশন আলী, দিনাজপুর কোতোয়ালি থানার ওসি তানভিরুল ইসলাম। প্রতারক চক্রের প্রধান আনিকা তাসনিম সরকার তিশা ফুলবাড়ী পৌরসভার সাবেক মেয়র শাহজাহান আলী সরকার পুতুর মেয়ে এবং তার কথিত স্বামী আব্দুল মান্নান নাটোর সদর উপজেলার চাঁন মিয়ার ছেলে। আব্দুল মান্নান কারারক্ষী পদে চাকরি করেন। তারা শহরের বালুবাড়ী এলাকায় ভাড়া বাসায় থাকতেন। আব্দুল মান্নান তাসনিম সরকার তিশার তৃতীয় স্বামী। পুলিশ সুপার জানান, গত ১৪ জানুয়ারি দৈনিক মানবকণ্ঠের প্রতিনিধি সুলতান মাহমুদকে তিশা দিনাজপুর ডিসি অফিসের এসএ শাখায় কর্মরত রয়েছেন বলে পরিচয় দেন। একই সঙ্গে তার নাম আঞ্জুমান আরা আজমেরী নাম পরিচয় দেন। একই সঙ্গে হোয়াটসঅ্যাপের মাধ্যমে জেলা প্রশাসক কার্যালয়ে জনবল নিয়োগ বিজ্ঞপ্তি প্রদান করেন। পরদিন ১৫ জানুয়ারি জাতীয় দৈনিক মানবকণ্ঠ ও স্থানীয় দৈনিক খবর একদিন পত্রিকায় বিজ্ঞপ্তিটি প্রকাশিত হয়। প্রকাশিত হওয়ার পর বিষয়টি জেলা প্রশাসকের নজরে এলে মানবকণ্ঠের প্রতিনিধিকে জিজ্ঞাসাবাদ করলে তিনি জানান, ডিসি অফিসের আঞ্জুমান আরা আজমেরী নামে এক ম্যাজিস্ট্রেট পরিচয় দিয়ে বিজ্ঞপ্তিটি তাকে প্রদান করা হয়েছে। পরবর্তী সময় জানা যায় আঞ্জুমান আরা আজমেরী নামে ডিসি অফিসে কোনো নির্বাহী ম্যাজিস্ট্রেট নেই। তিশা প্রতারণা করার উদ্দেশ্যে জেলা প্রশাসকের স্বাক্ষর স্ক্যানের মাধ্যমে জাল করে নিয়োগ বিজ্ঞপ্তিটি প্রকাশ করেন। পরবর্তীতে মানবকণ্ঠের সাংবাদিক তিশাকেসহ অজ্ঞাতনামা চার থেকে পাঁচজনের নামে একটি মামলা করেন। এরপর থেকে দিনাজপুর কোতোয়ালি থানা তদন্ত কার্যক্রম শুরু করে।