রেস্তোরাঁ মালিকদের সঙ্গে মেয়রের মতবিনিময়
প্রকাশ : ২৫ জানুয়ারি ২০২৩, ০০:০০ | প্রিন্ট সংস্করণ
শওকত আলী, চাঁদপুর
চাঁদপুর পৌরসভার মেয়র মো. জিল্লুর রহমান জুয়েল বলেছেন, যেখানে পানি খাতে ৩৫ লাখ টাকা ভর্তুকি দেয়া হতো, তা এখন কমিয়ে ২২ কোটি টাকায় আনা হয়েছে। বর্তমান পরিশোধ ২৪ কোটি টাকার উন্নয়নকাজ করেছে। ৮ কোটি টাকা প্রজেক্ট থেকে এবং বাকি ১৬ কোটি টাকা নিজস্ব খাত থেকে ব্যয় হয়েছে। নতুন বরাদ্দ এলে রাস্তার উন্নয়নে কাজ করা হবে। শহরের পুরো কাজ সম্পন্ন করা হলে ব্যাপক উন্নয়ন দেখা যাবে। দায়িত্ব নেয়ার পর ১৭৩টি অটোরিকশার লাইসেন্স বাতিল করেছি। গতকাল মঙ্গলবার পৌরসভার হলরুমে বাংলাদেশ রেস্তোরাঁ মালিক সমিতি জেলা শাখার নেতা ও মালিকদের সাথে পৌর উন্নয়ন নিয়ে মতবিনিময়কালে তিনি এসব কথা বলেন।
মেয়র বলেন, পৌরবাসী ও রেঁস্তোরা ব্যবসায়ীদের সহযোগিতা নিয়ে পৌরসভার ড্রেনেজ ব্যবস্থা, রাস্তাঘাট, মশানিধন, বিশুদ্ধ পানি সরবরাহ, বিদ্যুৎ ও যানবাহন চলাচলসহ বিভিন্ন কাজ করে পৌর এলাকার উন্নয়ন করতে চাই। মেয়র বলেন, চাঁদপুর পৌরসভাকে সরকারের পক্ষ থেকে কোন প্রকার অর্থ বরাদ্দ দেয়া হয় না। পৌরসভা পৌর এলাকা থেকে যেসব ট্যাক্স উত্তোলন করা হয়, তা দিয়েই পৌরসভার উন্নয়নমূলক কাজ হয়। বর্তমানে পৌরসভার যে আয় হচ্ছে, তা দিয়ে পৌর এলাকার ব্যাপক উন্নয়ন করা যাচ্ছে না। বর্তমান পরিষদ স্টাফদের বেতন ভাতা ও বিদ্যুৎ বিল পরিশোধ করেও কোনো প্রকার ঋণগ্রস্ত হচ্ছে না। বিগত বছরে পৌরসভার স্টাফদের ৮ মাস এবং সাড়ে ৮ মাসের বেতন বকেয়া ছিল। এ পরিষদ এক মাসে ১ কোটি ২২ লাখ টাকা বেতন প্রতি মাসে দিয়ে যাচ্ছে। বিগত বছর বিদ্যুৎ বিল বকেয়া ছিল ২৭ কোটি টাকা। বিগত দিনে পানির বিদ্যুৎ বিলে ব্যয় হত ৩৫ লাখ টাকা। পোস্ট প্যাড মিটার ছিল ৫৮টি। এতে সিস্টেম লস হতো। এ পরিষদ দায়িত্ব নেয়ার পর ১ মাসের মাথায় মিটারগুলো প্রি-পেডে চলে গেলাম। এ সময় বক্তব্য দেন পৌরসভার নির্বাহী কর্মকর্তা মো. আবুল কালাম ভুঞা, পৌরসভার মহিলা কাউন্সিলর আয়শা খানম, প্রধান প্রশাসনিক কর্মকর্তা মো. মফিজুর রহমান হাওলাদার, কঞ্জারভেন্সী পরিদর্শক মো. শাহজাহান খান, সমিতির সভাপতি নুরুল আমিন লালু, সাধারণ সম্পাদক মো. মাসুদ আখন্দ, ক্যাফে কর্নারের পরিচালক এমএ লতিফ, চাঁদপুর হোটেলের পরিচালক মো. জাকির হোসেন বেপারী, কৃষ্ণক্যাপের মালিক বীরমুক্তিযোদ্ধ অজিৎ সাহা ও রান্না বান্না হোটেলের মালিক আব্দুর রহমান প্রমুখ।