নকলায় সরিষার আবাদ বেড়েছে দ্বিগুণ
প্রকাশ : ২৬ জানুয়ারি ২০২৩, ০০:০০ | প্রিন্ট সংস্করণ
মো. মোশারফ হোসাইন, নকলা (শেরপুর)
শেরপুরের নকলা উপজেলার নদ-নদীর চরাঞ্চলে ও ছোট-বড় বিলপাড়ের যে দিকে দৃষ্টি যায় দিগন্তজুড়ে শুধু সরিষার মাঠ নজরে পড়ে। এবার সরিষার ফলনও হয়েছে বাম্পার। গত বছরের চেয়ে আবাদ বেড়েছে দ্বিগুণের চেয়েও বেশি। বাম্পার ফলনে কৃষকের মুখে ফুটে উঠেছে হাসি। উপজেলা কৃষি অফিস সূত্রে জানা গেছে, এ বছর উপজেলায় সরিষার আবাদ হয়েছে ৪ হাজার ৯০০ হেক্টর জমিতে। আর গত বছর আবাদ হয়েছিল ২ হাজার ২৫০ হেক্টর জমিতে। স্বাভাবিকভাবে গত বছরের অর্জিত ২ হাজার ২৫০ হেক্টর জমি এ বছরের লক্ষ্যমাত্রা হওয়ার কথা থাকলেও, সরকারি প্রণোদনা বৃদ্ধির ফলে এবার লক্ষ্যমাত্রা নির্ধারণ করা হয়েছিল ৪ হাজার ৮৭৩ হেক্টর। উপসহকারী কৃষি কর্মকর্তা (এসএএও) আনোয়ার হোসেন, সারোয়ার জাহান শাওন ও আশরাফুল আলমসহ অনেকে জানান, তারা নিজ নিজ কর্ম এলাকার আগাম আমন ধান চাষিদের সরিষা চাষ করতে উদ্বুদ্ধ করেছেন। তাছাড়া কৃষকরা সরকারি প্রণোদনা পাওয়ায় তারা সরিষা চাষে আগ্রহী হয়েছেন। ফলে এ বছর সরিষা আবাদে লক্ষ্য মাত্রার চেয়ে অর্জন বেড়েছে। এমনকি গত বছরের চেয়ে সরিষার আবাদ বেড়েছে দ্বিগুণের চেয়েও বেশি।
ভূরদী খন্দকার পাড়া কৃষিপণ্য উৎপাদক কল্যাণ সংস্থার প্রতিষ্ঠাতা সভাপতি আলহাজ ছাইদুল হক, সাধারণ সম্পাদক হেলাল উদ্দিন, সদস্য ঈসমাইল ও বেলালসহ অনেকে জানান, সরিষা একটি মধ্যবর্তী ফসল, তাছাড়া সরিষাতে উৎপাদন খরচ কম, কিন্তু লাভ বেশি পাওয়া যায়। তাই আগামীতে আগাম আমন ধান কাটার পরে তাদের সব জমিতে সরিষার আবাদ করবেন। কৃষকরা জানান, সরিষা উঠিয়ে ওই ক্ষেতে বোরো ধান রোপণ করলে, চাষ, সার ও পরিশ্রম কম লাগে, কিন্তু ফলন ভালো হয়। উপজেলা কৃষি কর্মকর্তা কৃষিবিদ আব্দুল ওয়াদুদ জানান, সরিষা চাষের উপযোগী সব জমিকে সরিষা আবাদের আওতায় এনে জমির সুষ্ঠু ব্যবহার নিশ্চিত করা ও কৃষিপণ্য উৎপাদ বৃদ্ধির লক্ষ্যে সরিষা চাষ করতে কৃষকদের নিয়মিত পরামর্শ দেয়া হয়েছে। তিনি বলেন, প্রতি হেক্টরে গড়ে ১.৪ মেট্রিকটন হারে উপজেলায় সরিষা উৎপাদনের লক্ষ্যমাত্রা নির্ধারণ করা হয়েছে ৬,৮৬০ মেট্রিক টন বা ১ লাখ ৭১ হাজার ৫০০ মণ। প্রাকৃতিক কোনো দুর্যোগের সম্মুখিন না হলে, এ বছর সরিষার উৎপাদন আরো বাড়তে পারে বলে তিনি মনে করছেন।