নওগাঁয় ধারণক্ষমতার যানবাহন তিনগুণ, যানজটে বাড়ছে ভোগান্তি
প্রকাশ : ২৭ জানুয়ারি ২০২৩, ০০:০০ | প্রিন্ট সংস্করণ
আব্বাস আলী, নওগাঁ
নওগাঁ শহরে যানবাহন ধারণক্ষমতার তিনগুণ হওয়ায় বেড়েছে ভোগান্তি। শহরের আশপাশের ইউনিয়নগুলো থেকে প্রতিদিন ব্যাটারিচালিত অটো রিকশা ও রিকশা প্রবেশ করায় এমন দুর্ভোগ শুরু হয়েছে। এসব যানবাহন নিয়ন্ত্রণে এখনই পদক্ষেপ গ্রহণ করা না গেলে আগামীতে জীবনমানের জন্য আরো ভয়াবহ আকার ধারণ করবে। নওগাঁ পৌরসভা যানবাহন শাখা সূত্রে জানা যায়, ব্যাটারিচালিত অটোরিকশা ও রিকশার লাইসেন্স রয়েছে ২ হাজার ৩০০টি। এছাড়া লাইসেন্সে জন্য অপেক্ষারত রয়েছে আরো প্রায় ১ হাজারটি। শহরের যানবাহনের ধারণক্ষমতা ৪ হাজার হলেও প্রতিদিন চলাচল করে প্রায় তিনগুণ। লাইসেন্স থেকে গত বছর (২০২২ সাল) প্রায় ১১ লাখ টাকার রাজস্ব আদায় হয়েছে। এসব যানবাহন ছাড়াও জেলা শহর থেকে বিভিন্ন উপজেলায় প্রতিদিন প্রায় ১ হাজার ৫০০টি অটোরিকশা (সিএনজি) ছেড়ে যায়। শহরের মাঝ দিয়ে বয়ে গেছে প্রধানতম দুই লেনের সড়ক। শহরের তুলনায় এ সড়কটি খুবই সরু। জীবিকার তাগিদে গ্রামের মানুষ এখন শহরমুখী হচ্ছে। কর্মসংস্থান সৃষ্টির লক্ষ্যে প্রতিদিন গ্রাম থেকে শহরে আসছে। সকাল হলেই স্থানীয় অটোরিকশা (সিএনজি), ব্যাটারিচালিত অটোরিকশা ও রিকশা ছাড়াও পার্শ্ববতী বিভিন্ন ইউনিয়ন থেকে এসব যানবাহন শহরে চলে আসে। আবার দিন শেষে ফিরে যায়। যানবাহনের শব্দে অতিষ্ট শহরবাসী। পরিকল্পিত নগর ও পথচারীদের ভোগান্তি কমাতে এখনই উদ্যোগ নেয়া প্রয়োজন বলে মনে করছেন নাগরীকরা। টেকসই রাস্তা তৈরি করে নির্দিষ্ট রুটে যানবাহন চলাচল ও অতিরিক্ত যান চলাচল বন্ধ করার দাবি পৌরবাসীর। শহরের বরুনকান্দি মহল্লার অটোরিকশাচালক আতোয়ার রহমান বলেন, শহরে রাস্তা সরু। সে তুলনায় অতিরিক্ত গাড়ি চলাচল করে। যানজট শুরু হলে আধা ঘণ্টা বা এক ঘণ্টা শেষ। যানজটমুক্ত করতে হলে শহরের রাস্তা প্রশস্থ (চওড়া) করতে হবে। শহরের বাসিন্দা সুনাম রহমান বলেন, জনসংখ্যা বৃদ্ধি পাশাপাশি যানবাহন বেড়েছে। কিন্তু রাস্তাগুলো আগের মতোই আছে। এ কারণে শহরে প্রতিদিন ব্যাপকহারে যানজটের সৃষ্টি হচ্ছে। রাস্তায় মানুষ চলাচল করতে গিয়ে বিড়ম্বনায় পড়তে হচ্ছে। ট্রাফিক পুলিশ যানজট নিরসন করতে গিয়ে হিমসিম খেতে হয়। রাস্তা প্রসস্থকরণ করা না হলে এ সমস্যা সমাধান হওয়া সম্ভব না। নওগাঁ পৌরসভা মেয়র মো. নজমুল হক সনি বলেন, শহরের নিকটে কয়েকটি ইউনিয়ন রয়েছে। এসব ইউনিয়ন থেকে প্রতিদিন সকালে অটোরিকশা ও ভ্যান শহরে আসে আবার সন্ধ্যায় ফিরে যায়।