পাঁচ হাজার ৫৬৮ মেট্রিক টন লক্ষ্যমাত্রা নিয়ে কুষ্টিয়ায় সরকারীভাবে আমন ধান-চাল সংগ্রহ অভিযান শুরু হলেও এক ছটাক ধানও সংগ্রহ করতে পারেনি খাদ্য বিভাগ। তবে জেলায় ১০ হাজার ৫৯৬ মেট্রিক টন চাল সংগ্রহ হয়েছে। ফলে মুখ থুবড়ে পড়েছে ধান সংগ্রহ অভিযান কার্যক্রম। জেলা খাদ্য নিয়ন্ত্রকের কার্যালয় সূত্র জানায়, ২০২২ সালের ১৭ নভেম্বর থেকে সরকারিভাবে আমন ধান-চাল সংগ্রহ অভিযান শুরু হয়। চলতি বছরের ২৮ ফেব্রুয়ারি এ অভিযান শেষ হওয়ার কথা রয়েছে। প্রতি কেজি আমন ধানের দাম ধরা হয়েছে ২৮ টাকা ও ৪২ টাকা চালের দাম নির্ধারণ করা হয়েছে। এবার জেলায় ৫ হাজার ৫৬৮ মেট্রিক টন ধান ও ১৮ হাজার ৬৩৬ মেট্রিক টন চাল সংগ্রহের লক্ষ্যমাত্রা নির্ধারণ করা হয়।
জেলা খাদ্য নিয়ন্ত্রক সুবীর নাথ চৌধুরী জানান, এখন পর্যন্ত মিলারদের কাছ থেকে ১১ হাজার ৬৪৯ মেট্রিক টন চাল সংগ্রহ করা হয়েছে। তবে কৃষকদের কাছ থেকে কোনো ধান সংগ্রহ করা যায়নি। সরকার নির্ধারিত দামের চেয়ে বাজারে ধানের দাম বেশি হওয়ায় কৃষকরা গুদামে ধান দিতে আগ্রহী নন। যার ফলে এখন পর্যন্ত জেলায় এক ছটাক ধানও সংগ্রহ করা যায়নি। বাংলাদেশ অটো মেজর হাসকিং মিল মালিক সমিতির সভাপতি ও রশিদ এগ্রো ইন্ডাস্ট্রিজের মালিক আব্দুর রশীদ বলেন, লোকসানের পরও মিল মালিকরা কেজিপ্রতি ২-৩ টাকা বেশি দিয়ে ধান সংগ্রহ করেছি। আমরা যেমন লোকসান মেনেও সরকারকে সহযোগিতা করছি তেমনি সরকারও আমাদের সহযোগিতা করবে বলে প্রত্যাশা করি। সদর উপজেলার বৃত্তিপাড়া এলাকার কৃষক আফজাল শেখ জানান, বাজারে প্রতি মণ ধান প্রকারভেদে সাড়ে ১১০০ থেকে ১২০০ টাকায় বিক্রি হচ্ছে। সরকারি দরের চেয়ে বাজার দর বেশি হওয়ায় তারা সেখানে ধান বিক্রি করছেন। কুষ্টিয়া সদর খাদ্য গুদামের ভারপ্রাপ্ত কর্মকর্তা জসিম উদ্দিন জানান, শেষ পর্যন্ত সংগ্রহ অভিযান সফল হবে। অর্ধশতাধিক অটো রাইচ মিলসহ এখানে প্রায় ৪০০ মিল রয়েছে। যেগুলো দেশের চালের চাহিদা পূরণ করে। এবার জেলায় আমন ধান উৎপাদনের লক্ষ্যমাত্রা ছিল ৮৮ হাজার ৮৯৫ হেক্টর। আবাদ হয় ৮৮ হাজার ৯১৯ হেক্টর জমিতে।