বন্ধ হচ্ছে না যমুনার অবৈধ বালু কেটে বিক্রি
প্রকাশ : ২৭ জানুয়ারি ২০২৩, ০০:০০ | প্রিন্ট সংস্করণ
রঞ্জন কৃষ্ণ পন্ডিত, টাঙ্গাইল
টাঙ্গাইলের ভুঞাপুর উপজেলায় যমুনার চরাঞ্চলে জেগে উঠেছে বালুময় ফসলি জমি থেকে অবৈধভাবে বালু কেটে বিক্রি করা বন্ধ হচ্ছেনা। এসব ফসলি জমির মালিকদের জিম্মি করে জেগে ওঠা জমিতে ভেকু বসিয়ে দিন-রাত অবাধে অবৈধভাবে ভেকু দিয়ে বালু কেটে দেদারছে বিক্রি করছে ভুঞাপুর উপজেলার গাবসারা ইউনিয়নের বিএনপি নেতা জাহিদুল ইসলাম খোকা। ফলে সরকার হারাচ্ছে বিপুল পরিমাণ রাজস্ব। রহস্যজনক কারণে এ ব্যাপারে প্রশাসনের পক্ষ থেকে কোন আইনগত পদক্ষেপ গ্রহণ করা হচ্ছে না। স্থানীয়রা জানান, প্রশাসন মাঝে-মধ্যে বালু কাটা বন্ধে লোক দেখানো অভিযান পরিচালনা করলেও পরক্ষণেই আবার শুরু হয় বালু কেটে বিক্রির মহাযজ্ঞ। এই অপরিকল্পিত বালু কাটার ফলে বর্ষাকালে নদীর তীরবর্তী এলাকাগুলোতে ব্যাপক ভাঙন দেখা দেয়। এতে প্রতি বছর বিলীন হয় ফসলি জমি, বসতভিটা, ঘরবাড়ি, মসজিদ-মন্দির, সড়ক, স্কুলসহ নানা স্থাপনা। সেই সময় ভাঙনরোধে পানি উন্নয়ন বোর্র্ড জিওব্যাগ ফেললেও ভাঙন রোধ করা সম্ভব হয়ে ওঠে না। ফলে মাটি কেটে বিক্রির কারণে হুমকির মুখে রয়েছে বঙ্গবন্ধু সেতু পূর্ব-ভূঞাপুর সড়কের গোবিন্দাসী কুকরাইদ পর্যন্ত সেতু রক্ষা বাঁধ, বঙ্গবন্ধু সেনানিবাস গাইড বাঁধ ও ভুঞাপুর-তারাকান্দি মহাসড়ক। ফসলি জমিতে জোরপূর্বক ৩টি ভেকু বসিয়ে দেদারছে মাটি কাটছে বিএনপি নেতা জাহিদুল ইসলাম খোকা ও তার ভাতিজা বাবু। খোকা বিএনপি সমর্থন করলেও স্থানীয় আওয়ামী লীগ নেতাদের সাথে আাঁতাত করে এ বালু ব্যবসা পরিচালনা করে আসছে। জিগাতলা এলাকার ভুক্তভোগী জামাল উদ্দিন, আকবর মিয়া, নুরে আলমসহ অনেকেই জানান, যমুনায় জেগে ওঠা চরে আমরা নানান ফসল আবাদ করে নিজেদের চাহিদা মিটাচ্ছি। সেই ফসলি জমির মধ্যে ভেকু বসিয়ে জোরপূর্বক মাটি কাটছে খোকা এবং তার সহযোগিরা।