মানিকগঞ্জে এক সেতুর অভাবে ১০ গ্রামে দুর্ভোগ

প্রকাশ : ২৮ জানুয়ারি ২০২৩, ০০:০০ | প্রিন্ট সংস্করণ

  দেওয়ান আবুল বাশার, মানিকগঞ্জ

মানিকগঞ্জের ঘিওর উপজেলায় ইছামাতি শাখা নদীর (খাল) উপরে একটি ব্রিজের অভাবে প্রায় ২০০ বছর ধরে ১০টি গ্রামের হাজার হাজার মানুষ চরম দুর্ভোগে। উপজেলার বড়টিয়া ইউনিয়নের হিজুলিয়া পূর্বপাড়া এলাকা দিয়ে বয়ে গেছে ইছামতি নদীর শাখা (খাল)। এর উপর সেতু না থাকায় চলাচল করছেন বাঁশের সাঁকো দিয়ে। এলাকার মানুষের সঙ্গে কথা বলে জানা যায়, হিজুলিয়া পূর্বপাড়া, নয়াচর, বহলাকুল, নেগীরকান্দি, খোশালবাড়ি, কুঠিবাড়ী, রামকান্দাপুরসহ আরও কয়েটি গ্রামের মানুষের উপজেলার শহরে যাতায়াতের প্রধান রাস্তার মাথায় এই খালটি। সেজন্য গ্রামবাসীরা বাসের সাঁকো দিয়েই চলাচল করেন। এতে প্রায়ই ঘটে দুর্ঘটনা। শুষ্ক মৌসুমে বাঁশের নড়বড়ে সাঁকো দিয়ে ঝুঁকি নিয়ে লোকজন খাল পারাপার হলেও, বর্ষা এলে প্রচুর স্রোতে ঘটে বিপত্তি। জরুরি অনেক সুযোগ-সুবিধা ও সেবা থেকে বঞ্চিত হন এই এলাকার বাসিন্দারা। অনেক শিক্ষার্থীদের ক্লাস মিসের ঘটনাও ঘটে। এছাড়া জরুরি রোগীদের চরম দুর্ভোগ পোহাতে হয়। জসিম উদ্দিন বলেন, খালটির উপরে ৫০ থেকে ৬০ ফিট সেতুর নির্মাণ করা হলে উপজেলা সদরের সঙ্গে যোগাযোগ ব্যবস্থার উন্নতি হবে। এছাড়াও কৃষকদের উৎপাদিত ধান,পাট, আখ, ভুট্টা, সরিষাসহ নানা পণ্য পরিবহণে ভোগান্তি ও ব্যয় কমবে। দশম শ্রেণির শিক্ষার্থী রানী বলেন, শুষ্ক মৌসুমে অতিকষ্টে নড়বড়ে বাঁশের সাঁকো দিয়ে স্কুলে যেতে পাড়ি। কিন্তু বর্ষা এলে নিয়মিত ক্লাস করতে পারি না। খালে প্রচুর স্রোত থাকে, পারাপার হতে কষ্ট হয়। বড়টিয়া ইউপি চেয়ারম্যান সামছুল হক মোল্লা রওশন বলেন, হিজুলিয়া গ্রামের খালের উপরে সেতু না থাকায় ইউনিয়নের প্রায় ১০ গ্রামের মানুষ বাঁশের সাঁকো দিয়ে চলাচল করছেন। কৃষকরা তাদের উৎপাদিত ফসল সময়মতো হাটবাজারে নিতে না পেরে ন্যায্য মূল্যও পাচ্ছে না। সেজন্য খালটির উপর দিয়ে একটি সেতু নির্মাণের জন্য ঊর্ধ্বতন কর্মকর্তাদের কাছে জানিয়েছেন বলে জানান। উপজেলা প্রকৌশলী মো. সাজ্জাকুর রহমান বলেন, এরইমধ্যে খালটি সরেজমিন পরির্দশন করেছি। এ ব্যপারে ঊর্ধ্বতন কর্মকর্তাদের সঙ্গে আলাপ আলোচনা করে সেতু নির্মাণের ব্যবস্থা করা হবে বলে জানান। ঘিওর উপজেলা নির্বাহী অফিসার (ইউএনও) মো. হামিদুর রহমান বলেন, দ্রুত সময়ের মধ্যেই খালটির উপরে একটি সেতু নির্মাণ করা হবে।