এক গ্রামে একদিনে ২০ কুকুরের মৃত্যু

প্রকাশ : ২৯ জানুয়ারি ২০২৩, ০০:০০ | প্রিন্ট সংস্করণ

  তিতাস (কুমিল্লা) প্রতিনিধি

রাতের অতন্দ্র প্রহরী হিসেবে কাজ করে কুকুর। অপরিচিত কাউকে দেখলে ঘেউ ঘেউ করে সবাইকে জানিয়ে দেয় কারো আগমন ঘটেছে। সবাইকে সজাগ করে নিজে শান্ত হয়। আর এমন রাতের প্রহরী একটি নয়; এক গ্রামে একই দিনে ২০টি কুকুরের মৃত্যুকে ঘিরে নানা জল্পনা কল্পনা শুরু হয়েছে। কুমিল্লার তিতাস উপজেলার চররাজাপুর গ্রামে গত শুক্রবার সারাদিন এ কুকুরগুলো মারা যাওয়ার ঘটনা ঘটে। স্থানীয় সূত্রে জানা যায়, গত ১৮ জানুয়ারি উপজেলার রাজাপুর গ্রামের শিপন সরকার ও চর রাজাপুর গ্রামের শাহজালালের বাড়িতে ডাকাতির ঘটনা ঘটে। এ সময় একটি ডাকাত দল নগদ অর্থসহ স্বর্ণালঙ্কার লুট করে নিয়ে যায়। এরপর পুলিশ অভিযান চালিয়ে দেশীয় প্রযুক্তিতে তৈরি লোহার হাতল বিশিষ্ট পাইপগান এবং দুই রাউন্ড বার বোর কার্তুজসহ চিহ্নিত মাদক ব্যবসায়ী চররাজাপুর গ্রামের মো. সফিকুল ইসলামকে আটক করে। তার সঙ্গে থাকা কড়িকান্দি গ্রামের মকবুল হোসেন ও রবিশালের উজিরপুর কচুয়া গ্রামের সিদ্দিকুর রহমানকেও পুলিশ আটক করে। উক্ত ঘটনা দুটির পর থেকে এলাকায় চুরি ডাকাতি নিয়ে লোকজনের মধ্যে আতঙ্ক বিরাজ করছে। তবে একদিনে এত কুকুরের মৃত্যু কোন একটি চক্রের কাজ কি না তা নিয়ে জল্পনা কল্পনা চলছে। চররাজাপুর গ্রামের ফকির বাড়ির মৃত সুরু মিয়ার ছেলে মোফাজ্জল হোসেন জানান, একই দিনে বিষ খাইয়ে কুকুরগুলোকে মারা হয়েছে। গ্রামের ছেলেফেলেরা কুকুরকে একত্রিত করে মাটি চাপা দিয়ে দিয়েছে। আমাদের ধারণা যেহেতু কুকুর রাতে গ্রামটি পাহারা দিয়ে থাকে, তাই উদ্দেশ্যপ্রোণিতভাবে কেউ এ ঘটনা ঘটাতে পারে। চর রাজাপুর গ্রামের ইউপি সদস্য (মেম্বার) ফজর আলী খায়ের ঘটনার সত্যতা স্বীকার করে বলেন, এটি একটি নজিরবিহীন ঘটনা। একই দিন এতগুলো কুকুর মারা যাওয়া নিয়ে রহস্য দেখা দিয়েছে। তবে বিষয়টি আমি কড়িকান্দি ইউপি চেয়ারম্যান সাইফুল আলম মুরাদকে জানিয়েছি। কড়িকান্দি ইউপি চেয়ারম্যান সাইফুল আলম মুরাদ জানান, বিষয়টি খুবই দুঃখজনক। তবে গ্রামটিতে পাহারাদারের ব্যবস্থা করার জন্য স্থানীয় লোকজনকে অনুরোধ করা হয়েছে।