ঢাকা ২১ সেপ্টেম্বর ২০২৪, ৬ আশ্বিন ১৪৩১ | বেটা ভার্সন

কয়রায় পানির সংকটে স্কুলশিক্ষার্থীরা

কয়রায় পানির সংকটে স্কুলশিক্ষার্থীরা

সুন্দরবন সংলগ্ন খুলনার কয়রায় শতাধিক প্রাইমারি স্কুলে বসানো নলকূপের পানিতে অতিমাত্রায় আয়রন ও বেশকিছু নলকূপে আর্সেনিকের উপস্থিতি থাকায় এ সব নলকূপের পানি খাবার অনুপযোগী হয়ে পড়েছে। ফলে কোমলমতি হাজার হাজার শিক্ষার্থী স্কুল চলাকালীন সময়ে ঠিক মতো পানি পান করতে পারছে না।

উপজেলা শিক্ষা অফিস সূত্রে জানা গেছে, কয়রা উপজেলায় ১৪২টি সরকারি প্রাথমিক বিদ্যালয় রয়েছে। ছাত্রছাত্রীর সংখ্যা ২০ হাজারের ওপর। বিদ্যালয়গুলোয় বসানো অধিকাংশ নলকূপের পানিতে আয়রনের মাত্রা বেশি এবং বেশ কিছু নলকূপে আর্সেনিক থাকায় শিক্ষক-শিক্ষার্থীরা এ সব নলকূপ থেকে ঠিকমতো পানি সংগ্রহ করে পান করতে পারছে না। উপজেলা জনস্বাস্থ্য প্রকৌশলীর দপ্তর থেকে জানা যায়, দেশের অন্য জায়গার চেয়ে কয়রাতে নলকূপের পানিতে আয়রন, আর্সেনিক ও ক্লোরাইডের মাত্রা বেশি। কয়েকটি প্রাইমারি স্কুলের নলকূপের পানির নমুনা পরীক্ষা করে অতিমাত্রার লবণের উপস্থিতি পাওয়া গেছে বলে জানিয়েছেন উপজেলা জনস্বাস্থ্য দপ্তরের উপসহকারী প্রকৌশলী মো. ইসতিয়াক আহমেদ। কয়রা সদর, মহারাজপুর, মহেশ্বরীপুর, আমাদি ইউনিয়নের ১৪ টি প্রাথমিক বিদ্যালয় ঘুরে দেখা গেছে, বেশিরভাগ স্কুলে স্থাপন করা নলকূপের পানি পান করার অনুপযোগী হওয়ায় বৃষ্টির পানি সংক্ষেণে সরকারি ও এনজিও’র দেয়া ২ থেকে ৩ হাজার লিটার ধারণক্ষমতার পানির ট্যাংক বসানো আছে। তবে এ সব ট্যাংকির পানি বর্ষা মৌসুম পার হয়ে শীত মৌসুম বিদায়ের আগে শেষ হয়ে যাওয়ার সম্ভাবনা বেশি। আগামী শুস্ক মৌসুমে স্কুলের শিক্ষার্থীরা কোথা থেকে পানি পান করবে তার হদিস নেই। স্কুলগুলোয় কিছু কিছু শিক্ষার্থীর বাড়ি থেকে টিফিনের সাথে খাবার পানির বোতল ব্যাগে ভরে আনতে দেখা যায়।

আমাদির তালবাড়িয়া প্রাইমারি স্কুলের প্রধান শিক্ষক অমল কুমার বাইন জানান, বৃষ্টির পানি যতক্ষণ থাকবে ততক্ষণ সমস্যা হবে না। ট্যাংকির পানি ফুরিয়ে গেলে সংকট দেখা দেবে। উত্তরচক প্রাইমারি স্কুলের প্রধান শিক্ষক শাহ আলম বলেন, টিউবওয়েলের পানি আশানুরূপ না হওয়ায় পুকুরের পানি ফিল্টারিং করে খেতে হচ্ছে। উপজেলা শিক্ষা অফিসার মো. হাবিবুর রহমান বলেন, এরইমধ্যে বেশ কিছু স্কুলে খাবার পানি সংকটের সমাধান করা হয়েছে।

আরও পড়ুন -
  • সর্বশেষ
  • সর্বাধিক পঠিত