ঢাকা ২০ সেপ্টেম্বর ২০২৪, ৫ আশ্বিন ১৪৩১ | বেটা ভার্সন

করতোয়া উন্নয়নের ফাইল বন্দি দেড় যুগ

করতোয়া উন্নয়নের ফাইল বন্দি দেড় যুগ

দখল-দূষণে বগুড়ার করতোয়া নদী। উন্নয়নের ফাইল বন্দি প্রায় দেড় যুগ ধরে। এবার নদীর তলদেশ থেকে সুউচ্চ ভবন তৈরি করা হচ্ছে। শুষ্ক মৌসুম থাকায় বিনা বাঁধায় নদীতে একাধিক ভবন তৈরির কাজ শুরু হয়েছে। ভবনটি নির্মাণ শেষ হলে সেটি বাণিজ্যিক মার্কেট করার পরিকল্পনা করছে নির্মাণকারী প্রতিষ্ঠান। উন্নয়ন প্রকল্প দেড় যুগ ধরে আলোর মুখ দেখেনি। নতুন করে তৈরি সমীক্ষা রিপোর্ট আগামী মার্চ-এপ্রিল ’২০২৩ মাসে জমা হতে পারে। এরপর প্রকল্প বাস্তবায়ন কখন হয় সেটাই দেখার বিষয়। পানি উন্নয়ন বোর্ডের (পওর) ৪ বছর মেয়াদি এ প্রকল্প বাস্তবায়নে ব্যয় ধরা হয়েছে প্রায় ৩ হাজার কোটি টাকা। জানা যায়, বগুড়া জেলার এক সময়ের প্রমত্তা নদী ছিল করতোয়া। নদীটি আদিকাল থেকে দখল, দূষণ শুরু হলে কালে কালে সেটি এখন হারিয়ে যেতে বসেছে। বর্তমানে নদীটির তলদেশ ভরাট হয়ে যাওয়ায় বগুড়া অঞ্চলে সেটি এখন নামেই নদী হিসেবে পরিচিত হয়ে আছে। জেলা শহরের সবচেয়ে বড় ড্রেন বললেও ভুল হবে না। আর ড্রেন হওয়ার সুযোগে ইচ্ছামতো দখল শুরু করে উচ্চ ভবন, নামি-দামি ব্যবসা প্রতিষ্ঠানসহ টিনশেড বাড়ি তৈরি করা হয়েছে। কোথাও কোথাও আবার নদীর মধ্যেই সীমানা প্রাচীর দিয়ে দখল করে ভবন তৈরি করছে একটি প্রভাবশালী মহল। নদীর বুকে ময়লা আর শহরের কলকারখানার বর্জ্য নদীতে ফেলায় পানি দূষণ হওয়ার কারণে মাছও নেই। এলাকাবাসী বলছে, অবৈধ ভবন দুটির মালিক স্থানীয় কিছু যুবকদের সার্বক্ষণিক পাহাড়া বসিয়ে নির্মাণ কাজ করে যাচ্ছে। নির্মাণ কাজ দ্রুত গতিতে এগিয়ে গেলেও প্রশাসন থেকে নেয়া হয়নি কোনো পদক্ষেপ। যে কারণে আরো দ্রুত গতিতে কাজ করে যাচ্ছে অবৈধ ভবন নির্মাণে। সেখানে কোনো ছবি তোলা বা সেলফি তোলা দেখলে যুবকরা লাঠি হাতে এগিয়ে আসেন। যেন ভবন নির্মাণের ঘটনাটি ফাঁস না হয়। দখল করা নদীর তীরে নির্মাণ করা হয়েছে শত শত বাড়িঘর, ব্যবসা প্রতিষ্ঠান ও বিশাল বিশাল ভবন। সময় সুযোগমতো প্রভাবশালীরা নামে বেনামে নদীর তীর দখল করে নিচ্ছে। বগুড়া শহরের নদীপাড়ের বাসিন্দারা জানান, নদীরপাড় দখল হয়ে আছে স্বাধীনতার আগে থেকেই। কেউ ড্রেন করেছে। কেউ করেছে বাড়ি। এছাড়া বগুড়া পৌরসভার বড় বড় ড্রেনেজ ব্যবস্থাও করা হয়েছে করতোয়া নদীতে। যে কারণে শহর এলাকার এই নদীতে আর মাছ পাওয়া যায় না। বগুড়া জেলা প্রশাসনের রাজস্ব শাখা সূত্র জানায়, শহরের মধ্যে করতোয়া নদীর কয়েকটি স্থানে দখল হয়েছে। নদী দখল হয়ে যাওয়া স্থানে বাড়িঘর, ড্রেন নির্মাণ করা হয়েছে। করতোয়া নদী দখলের সঙ্গে জড়িত থাকার অভিযোগে সর্বশেষ বেশ কয়েকজন দখলদারের নামের তালিকা তৈরি করা হয়। বগুড়ার তত্ত্বাবধায়ক প্রকৌশলী আরিফুল ইসলাম জানান ৪ বছর মেয়াদি প্রকল্প বাস্তবায়নে সম্ভাব্য ব্যয় ধরা হয় ৩ হাজার কোটি টাকা। সম্প্রতি আবারো সমীক্ষা রিপোর্ট জমা দিতে পানি উন্নয়ন বোর্ডকে নির্দেশ দেয়া হয়। আবারো সমীক্ষা শেষ করা হয়েছে।

আরও পড়ুন -
  • সর্বশেষ
  • সর্বাধিক পঠিত