কুষ্টিয়া ইবি’র অচল প্রশাসন

১০ বার বিজ্ঞপ্তিতেও মিলছে না শিক্ষার্থী

প্রকাশ : ৩১ জানুয়ারি ২০২৩, ০০:০০ | প্রিন্ট সংস্করণ

  এ.এইচ.এম.আরিফ, কুষ্টিয়া

কুষ্টিয়া ইসলামী বিশ্ববিদ্যালয়ের (ইবি) ২০২১-২২ শিক্ষাবর্ষ সম্মান প্রথম বর্ষে শিক্ষার্থী ভর্তিতে একের পর এক বিজ্ঞপ্তি দিয়েও চাহিদামাফিক শিক্ষার্থী পাচ্ছে না। শ্রেণিকক্ষ থেকে প্রশাসনিক পদটাকেই বেশি গুরুত্বপূর্ণ মনে করেন শিক্ষকরা বলেই এমন দশা। ভর্তির জন্য গুচ্ছ ভর্তি পরীক্ষায় উত্তীর্ণ ইবির আবেদনকারী শিক্ষার্থীদের মধ্যে থেকে ১ থেকে ১০ম পর্যন্ত তালিকা প্রকাশ করেছে ইবি প্রশাসন।

জানা যায়, এ তালিকা পর্যন্ত মোট ১ হাজার ৯৯০টি আসনের মধ্যে থেকে প্রাথমিক ভর্তির মাধ্যমে ভর্তির নিশ্চায়ন শেষে এখনও ৩০০টিরও বেশি আসন খালি আছে বলে জানিয়েছেন আইসিটি সেলের পরিচালক অধ্যাপক ড. আহসান উল আম্বিয়া। এদিকে ১০ম তালিকায় ভর্তি শেষে আসন খালি থাকা সাপেক্ষে পরবর্তী সময়ের তালিকা প্রকাশ করার কথা থাকলেও এখনও প্রকাশ করেনি কর্তৃপক্ষ। রোববার থেকে শুরু হয়েছে চূড়ান্ত ভর্তি। আশঙ্কা করা হচ্ছে চূড়ান্ত ভর্তির পর আরও কিছু আসন খালি হতে পারে। এ বিষয়ে বিশ্ববিদ্যালয়ের প্রোভিসি অধ্যাপক ড. মাহবুবুর রহমান বলেন, গতকাল সোমবার মিটিংয়ে মতামতের ভিত্তিতে ক্লাস শুরু বিষয়ে সিদ্ধান্ত নেয়া হবে। গুচ্ছভুক্ত ২২ বিশ্ববিদ্যালয়ের মধ্যে ইবি সবচেয়ে পুরাতন বিশ্ববিদ্যালয়। স্বাধীন বাংলাদেশের প্রথম বিশ্ববিদ্যালয় এটি। অন্যন্য বিশ্ববিদ্যালয়ের তুলনায় ইসলামী বিশ্ববিদ্যালয়ের সুযোগ-সুবিধা বলা চলে অনেকাংশেই বেশি। অন্যন্য বিশ্ববিদ্যালয়ের তুলনায় ইবিতে যুগোপযোগী বিভাগ, গবেষাণার সুযোগ, আবাসন ব্যবস্থাসহ নানা দিক থেকে এগিয়ে এ বিশ্ববিদ্যালয়টি। তাছাড়া পড়াশোনার পাশাপাশি খেলাধুলাসহ অন্যন্য কর্মকাণ্ডের রয়েছে বেশ সাফল্য। তারপরও নতুন শিক্ষার্থীদের ভর্তিতে এমন অনীহা কেন? যেখানে অন্যন্যবার ইবিতে ভর্তি হওয়ার জন্য শিক্ষার্থীরা মুখিয়ে থাকত, সেখানে একের পর এক বিজ্ঞপ্তি দিয়েও আসন পূর্ণ হচ্ছে না কেন?

নাম প্রকাশে অনিচ্ছুক বিশ্ববিদ্যালয়ের এক জেষ্ঠ্য অধ্যাপক বলেন, বিগত কয়েক বছরে বিশ্ববিদ্যালয়ে গবেষণাধর্মী পড়াশোনা অনেক কমে গেছে। রাজনীতির মাঠে সময় দিতে গিয়ে শিক্ষার্থীদের গুণগত শিক্ষাটা প্রয়োগ করতে পারছেন না অনেক শিক্ষক। শ্রেণিকক্ষ থেকে প্রশাসনিক পদটাকেই বেশি গুরুত্বপূর্ণ মনে করেন অনেকে। বিশ্ববিদ্যালয়ের মান কমে যাওয়ার পেছনে এ কারণটাই অধিকাংশে দায়ী।