আমন সংগ্রহ নিয়ে সংশয়

প্রকাশ : ৩১ জানুয়ারি ২০২৩, ০০:০০ | প্রিন্ট সংস্করণ

  কাজী বাবলা, পাবনা

পাবনায় চলতি আমন মৌসুমে লক্ষ্যমাত্রা অনুযায়ী ধান-চাল সংগ্রহে সংশয় দেখা দিয়েছে। নির্ধারিত সময়ের অর্ধেকের বেশি পার হলেও এখনো সংগ্রহের ২৫ শতাংশ কাজ শেষ হয়নি। চাল সংগ্রহ কিছুটা এগোলেও ধান সংগ্রহ কার্যক্রম প্রায় ভেস্তে গেছে। ধান-চাল সংগ্রহ কার্যক্রমের ২ মাসের অগ্রগতি পর্যালোচনা করে এ তথ্য জানা গেছে। সরকারি গুদামে চাল সরবরাহে মিলারদের অনীহাকে দায়ী করলেও ব্যবসায়ীরা সরকার-নির্ধারিত দামের চেয়ে বাজার দর বেশি হওয়ায় এ অবস্থার জন্য দায়ী বলে দাবি করেছেন।

জেলা খাদ্য বিভাগ সূত্রে জানা গেছে, সংকটকালে খাদ্য ঘাটতি পূরণের লক্ষ্যে সরকার চলতি আমন মৌসুমে ১১টি সরকারি খাদ্য গুদামের মাধ্যমে ১২ হাজার ৭৮৬ মেট্রিক টন চাল আর ৩ হাজার ৯১৪ মেট্রিক টন ধান সংগ্রহের লক্ষ্যমাত্রা নির্ধারণ করেছে। গত বছরের ১৭ নভেম্বর থেকে ৪২ টাকা কেজি দরে চাল আর ২৮ টাকা কেজি দরে ধান কেনার বিষয়টি নির্ধারণ করে সংগ্রহ কার্যক্রম শুরু হয়েছে। যা চলবে চলতি বছরের ২৮ ফেব্রুয়ারি পর্যন্ত। কিন্তু নির্ধারিত সময়ের অর্ধেকের বেশি চলেও ধান-চাল সংগ্রহে আশানুরূপ অগ্রগতি নেই। গত বছরের ১৭ নভেম্বর এই কার্যক্রম শুরুর পর থেকে গত ১০ জানুয়ারি পর্যন্ত ১ হাজার ৭০৪ মেট্রিক টন চাল সংগ্রহ করা হয়েছে। তবে কৃষক এখনো ধান সরবরাহ করতে না আসায় তা সংগ্রহ করা যায়নি।

জেলা খাদ্য নিয়ন্ত্রণ কর্মকর্তা মো. তানভীর রহমান জানান, নির্ধারিত সময়ে জেলার ৯২টি চালকল মালিক ৩ হাজার ২৩১ মেট্রিক টন চাল সরবরাহের জন্য সরকারের সঙ্গে চুক্তি করেছে। জেলার ৪ শতাধিক চালকলের বেশিরভাগ মালিকরাই সরকারি গুদামে চাল সরবরাহের জন্য চুক্তিবদ্ধ না হওয়ায় নির্ধারিত সময়ে লক্ষ্যমাত্রা অনুযায়ী চাল সংগ্রহ করা নিয়ে সংশয় দেখা দিয়েছে। সরকারি গুদামে চাল সরবরাহে মিলারদের এক ধরনের অনীহা রয়েছে।

জেলা চালকল মালিক সমিতির সভাপতি ইদ্রিস আলি বিশ্বাস বলেন, সরকার-নির্ধারিত দামের চেয়ে চালের উৎপাদন খরচ বেশি হওয়ায় লোকসানের ভয়ে মিলাররা সরকারি গুদামে চাল সরবরাহ করতে আগ্রহী হচ্ছেন না।

পাবনার আতাইকুলা থানার তৈলকুপী গ্রামের কৃষক মো. রমজান আলী জানান, সরকারি গুদামে ধান সরবরাহ করতে গেলে দাম কম পাওয়া ছাড়াও টাকা পেতে দেরি হয়।