ঢাকা ২১ সেপ্টেম্বর ২০২৪, ৬ আশ্বিন ১৪৩১ | বেটা ভার্সন

প্রতিবন্ধী স্বাক্ষীর পাশে জেলা প্রশাসক

প্রতিবন্ধী স্বাক্ষীর পাশে জেলা প্রশাসক

প্রতিবন্ধী স্বাক্ষী খাতুনের পাশে দাঁড়ালেন ঝিনাইদহ জেলা প্রশাসক মনিরা বেগম। গতকাল বুধবার জেলা প্রশাসকের কার্য়ালয়ে দেখা করতে গেলে তিনি তার পরিবারের খোঁজখবর নেন। গত ২৯ জানুয়ারি ‘কালীগঞ্জে ২৭ ইঞ্চি’ নারী প্রতিবন্ধী স্বাক্ষী খাতুন’ শিরোনামে আলোকিত বাংলাদেশ পত্রিকায় একটি প্রতিবেদন প্রকাশিত হয়। সংবাদটি মনিরা বেগমের দৃষ্টিগোচর হলে তিনি স্বাক্ষী খাতুনকে ফোন করে খোঁজখবর নেন। এসময় বাড়িতে হাঁস-মুরগী পালনের জন্য ৫ হাজার টাকা ও একটি উন্নতমানের হুইল চেয়ার প্রতিবন্ধী স্বাক্ষী খাতুনের হাতে তুলে দেন জেলা প্রশাসক।

এ সময় উপস্থিত ছিলেন আলোকিত বাংলাদেশের কালিগঞ্জ প্রতিনিধি হুমায়ুন কবির, দৈনিক বীর জনতা পত্রিকার কালিগঞ্জ প্রতিনিধি বাবুল আক্তার এবং প্রতিবন্ধী নারীর পরিবারের সদস্যরা। জন্ম থেকে দুইটি পা নেই প্রতিবন্ধী স্বাক্ষী খাতুনের। উচ্চতা মাত্র ২৭ ইঞ্চি। দুইটি হাত দিয়ে চলাফেরা তার। প্রয়োজনীয় সব কাজ নিজেই করে থাকেন। উচ্চতায় কম এবং প্রতিবন্ধী হওয়া সত্ত্বেও তাকে বিবাহ বন্ধনে আবদ্ধ করান পরিবার। স্বামী তা খোঁজখবর না নেয়াই বিয়ের পরেও দরিদ্র কৃষক পিতার সংসারে বোঝা হয়ে রয়ে গেছেন তিনি। ৩ মাস আগে জন্ম নেয়া তার শিশু সন্তানটি বোঝার পাল্লাটাকে যেন আরো ভারি করেছে। প্রতিবন্ধী ভাতার কার্ড ছাড়া আর কোনো সরকারি কিংবা বেসরকারিভাবে সাহায্য সহযোগিতাও মেলেনি তার কপালে। তাই অনিশ্চয়তা, শংশয় ও সংকটে কাটছে প্রতিবন্ধী এই নারীর জীবন। স্বাক্ষী খাতুন ঝিনাইদহের কালীগঞ্জ উপজেলা উল্লা গ্রামের নুরুল ইসলামের মেয়ে। জেলা প্রশাসনের পাশাপাশি সমাজের বিত্তবান ব্যক্তিরা যদি অসহায় এই প্রতিবন্ধী মায়ের পাশে এসে দাঁড়ান তাহলে হয়তো আগামী দিনের চলার পথ তাদের সহজ হবে।

আরও পড়ুন -
  • সর্বশেষ
  • সর্বাধিক পঠিত