ঢাকা ২১ সেপ্টেম্বর ২০২৪, ৬ আশ্বিন ১৪৩১ | বেটা ভার্সন

ভূমি রেজিস্ট্রি অফিসে কোটি টাকা রাজস্ব আদায়

ভূমি রেজিস্ট্রি অফিসে কোটি টাকা রাজস্ব আদায়

ফেনীতে ভূমি রেজিস্ট্রি খাত থেকে দেড় বছরে ২৬২ কোটি টাকা রাজস্ব আদায় হয়েছে। সরকারের অনলাইন সেবার কারণে এ খাত থেকে রাজস্ব আদায় বেড়েছে।

জেলা রেজিস্ট্রার অফিস সূত্র জানায়, সদর, লেমুয়া, মতিগঞ্জ, দাগনভূঞা, ছাগলনাইয়া, ফুলগাজী ও পরশুরাম সাব-রেজিস্ট্রি অফিসে ছাপ কবলা, দানপত্র, হেবা, বিল, এওজ, এওজ বিনিময়, না দাবি পত্র, বণ্টন, নির্দেশপত্র, খাস মোক্তারনামা, চুক্তিপত্র, পার্টনার ডিড, পাওয়ার রহিতকরণ, ভুল সংশোধন, ঘোষণাপত্র ইত্যাদি দলিল রেজিস্ট্রির মাধ্যমে এ রাজস্ব আয় হয়েছে।

জেলার সাত সাব-রেজিস্ট্রি অফিসের মাধ্যমে গত অর্থ বছরের পরিসংখ্যানে দেখা গেছে, এ খাত থেকে ৩৬ হাজার ৬৯৪ দলিলের মাধ্যমে ১২২ কোটি ১১ লাখ ৭৩ হাজার ৪৩৫ টাকা রাজস্ব আয় হয়েছে। গত জুলাই ২০২২ থেকে ডিসেম্বর ২০২২ পর্যন্ত এ ৬ মাসে ২২ হাজার ২৯৬ দলিলে ১৪০ কোটি ৩৮ লাখ ১ হাজার ১৪৪ টাকাসহ সরকারি কোষাগারে জমা হয়েছে।

সূত্রে জানায়, সরকারের আয়ের অন্যতম প্রধান উৎস হলো ভূমি রাজস্ব কর, যা ইউনিয়ন পর্যায়ে ভূমি অফিস বা তহশিল অফিস, উপজেলার সাব রেজিস্ট্রি অফিসের মাধ্যমে সরকারি এ রাজস্ব আয় হয়। এ সরকারের সময়ে কিছু যুগান্তকারী পদক্ষেপের কারণে সরকারের রাজস্ব আদায় অনেকগুণ বেড়ে গেছে।

অনলাইন সিস্টেমের কারণে রেজিস্ট্রি অফিসগুলোতেও স্বচ্ছতা ও জবাবদিহিতা বেড়ে গেছে। অনলাইনে ভূমির দাখিলা, খতিয়ান, জাতীয় পরিচয়পত্রের (এনআইডি কার্ড) ব্যবহার দলিলপত্র যাচাই-বাছাইয়ের কারণে এ সব অফিসগুলোতে অনেকাংশে স্বচ্ছতা এসেছে। সোনাগাজী উপজেলা মতিগঞ্জ সাব রেজিস্ট্রার আক্রাম উদ্দিন জানান, সরকারের রেজিস্ট্রি খরচ, উৎসকর, স্থানীয় সরকার কর, ইউনিয়ন পরিষদ ও জেলা পরিষদের করগুলো সরাসরি ব্যাংকের মাধ্যমে জমা হওয়ায় রাজস্ব আদায় বেড়ে গেছে।

ফেনী জেলা রেজিস্ট্রার সেলিম হাওলাদার জানান, জেলা সমন্বয় সভায় রাজস্ব আয় বৃদ্ধির ব্যাপারে প্রতিনিয়ত মনিটরিং করা হয়। এর ধারাবাহিকতায় জেলায় কিভাবে রেজিস্ট্রি সংক্রান্ত কাজ সহজতর করা যায় ও এ খাত থেকে কীভাবে রাজস্ব আয় বাড়ানো যায়, সে দিকে সবসময় নজর দেয়া হয়।

আরও পড়ুন -
  • সর্বশেষ
  • সর্বাধিক পঠিত