শ্রীনগরে খালের পাড় কেটে মাটি বিক্রি

প্রকাশ : ০৪ ফেব্রুয়ারি ২০২৩, ০০:০০ | প্রিন্ট সংস্করণ

  এমএ কাইয়ুম মাইজভাণ্ডারী, শ্রীনগর (মুন্সীগঞ্জ)

মুন্সীগঞ্জের শ্রীনগরে এস্কাভেটর দিয়ে সরকারি খালের মাটি কেটে বিক্রির অভিযোগ উঠেছে। উপজেলার আড়িয়াল বিলের বড় খাল থেকে শ্রীধরপুর গ্রামের দিকে আসা শাখা খালসহ বড় খালের পাড় কেটে ট্রলারযোগে মাটি বিক্রির অভিযোগ ওঠে বাড়ৈখালী ইউনিয়নের ৯নং ওয়ার্ডের বর্তমান ইউপি সদস্য ইলিয়াসের বিরুদ্ধে। খালের পাড় কাটায় আড়িয়াল বিলে কৃষি জমি চাষাবাদের জন্য যাতায়াতকারী হাজার হাজার কৃষক তাদের কৃষিপণ্য নিয়ে যাতায়াত করতে না পেরে বিপাকে পড়ছেন। বর্তমান ইউপি সদস্য হওয়ায় তার বিরুদ্ধে কোনো কৃষক প্রতিবাদ করতে সাহস পায় না। আর দুয়েকজন কৃষক প্রতিবাদ করলেও পারিপার্শ্বিক দিক দিয়ে তাদের উল্টো বিপদের সম্মুখীন হতে হয়। খালের পাড়ের মাটি কাটা বন্ধে প্রশাসনের পক্ষ থেকে নেই জোড়ালো কোনো পদক্ষেপ।

সরেজমিন গিয়ে দেখা যায়, আড়িয়াল বিল থেকে বাড়ৈখালী ইউনিয়নের কৃষকদের কৃষি জমি চাষাবাদ ও নৌকাযোগে কৃষিপণ্য যাতায়াতের জন্য আড়িয়াল বিলের বড় খাল হতে শাখা খালটি শ্রীধরপুর গ্রাম হয়ে বাড়ৈখালী বাজার সংলগ্ন ইছামতি নদীর সংযোগ অবধি খনন করা হয়। প্রতিদিন খালের দুইপাড়ের মাটি কেটে ট্রলারযোগ ইটভাটাসহ বিভিন্ন বাসাবাড়িতে বিক্রয় করা হচ্ছে। প্রতি ট্রলার মাটি ৮-১০ হাজার টাকায় বিক্রি করে লাখ লাখ টাকা হাতিয়ে নিচ্ছে।

বাড়ৈখালী গ্রামের কৃষক আব্দুল করিম জানান, যেভাবে খালের পাড়ের মাটি কেটে বিক্রি করা হচ্ছে। এতে সামনে বর্ষা মৌসুমে আমাদের ধানী জমির ব্যাপক ক্ষতি হওয়ার সম্ভাবনা রয়েছে। সে ইউপি সদস্য হওয়ায় তার ভয়ে কোনো কৃষক মুখ খুলছেন না।

এ ব্যাপারে বাড়ৈখালী ইউনিয়নের ৯নং ওয়ার্ডের ইউপি সদস্য ইলিয়াস বলেন, ৩৪ লাখ টাকায় খাল সংলগ্ন আমার ডাঙ্গা খনন করছি, খালের পাড় আমার জমির সঙ্গে পড়েছে, আমি খাল পাড়ের মাটি কাটিনি। এটা আমার ডাঙ্গার পাড় কাটছি।

বাড়ৈখালী ইউপি চেয়ারম্যান হাজী ফারুক হোসেন বলেন, খালের পাড় কাটার কথা তো না। এ ব্যাপারে আমি মেম্বারের সঙ্গে কথা বলে আপনাকে জানাতে পারব।

উপজেলা নির্বাহী অফিসার মোহাম্মদ হোসেন পাটওয়ারি বলেন, এ ব্যাপারে এরইমধ্যে সহকারী কমিশনার (ভূমি) মোবাইলকোর্ট পরিচালনা করেছেন।