আমবাগানে কপি চাষে বাড়তি আয়

প্রকাশ : ০৪ ফেব্রুয়ারি ২০২৩, ০০:০০ | প্রিন্ট সংস্করণ

  আলমাস আলী, ঈশ্বরদী (পাবনা)

পাবনার ঈশ্বরদী উপজেলায় কয়েক বছর আগেও বৃষ্টিনির্ভর ছাড়া আর তেমন কিছুই উৎপাদন করা সম্ভব হতো না। বর্তমানে উপজেলার মধ্যে দিন দিন আমের আবাদ বাড়ছে। তবে সেই আমবাগানেও কপি আবাদ করে বাড়তি আয়ের পথ খুঁজছেন চাষিরা। গত বুধবার সরেজমিন দেখা গেছে, বাগানে বাগানে আমগাছের ফাঁকে শোভা ছড়াচ্ছে ফুল কপি ও পাতাকপি। এক জমিতে একসঙ্গে দুই ফসল বাড়তি অনুপ্রেরণা জোগাচ্ছে কৃষকদের। অল্প সময়ে স্বল্প খরচে বাড়তি ফসল করে বাড়তি আয়ের আশা চাষিদের।

ঈশ্বরদী উপজেলা কৃষি অফিসের তথ্য বলছে, চলতি মৌসুমে উপজেলায় আমের আবাদ হয়েছে ৫৫০ হেক্টর জমিতে। আর আমবাগানে কপির চাষ হয়েছে ১৫০ হেক্টর জমিতে।

ঈশ্বরদী উপজেলার ছলিমপুর ইউনিয়নের ভাড়ইমাড়ী গ্রামের চাষি আমিরুল ইসলাম জানান, চলতি বছর ৩ বিঘা জমিতে আমের আবাদ করেছেন। বাগানের অবশিষ্ট ফাঁকা জায়গায় লাগিয়েছেন কপি। আগে কখনো এমনভাবে আবাদ করেননি। এই প্রথম আমবাগানে আবাদ করলেন। কোনো ধরনের সমস্যা হয়নি। চাষি আমিনুল হক বলেন, আমবাগানে পাতা কপির আবাদ এই প্রথম করলাম। কপির ফলনও ভালো হয়েছে। তেমন কোনো রোগবালাই নেই। ১ বিঘা জমিতে পরীক্ষামূলকভাবে আম ও কপির আবাদ করেছি। এবার একসঙ্গে দুই ফসল থেকে বাড়তি আয় পাব।

উপজেলার সাড়া ইউনিয়নের গোপালপুর গ্রামের আলমাস আলী বলেন, কৃষি অফিসের পরামর্শে আমের বাগানের ফাঁকে কপির আবাদ করেছি। ফলনও ভালো হয়েছে। আগে আমাদের এখানে বৃষ্টিনির্ভর আবাদ ছাড়া তেমন কোনো ফসল হতো না। গত কয়েক বছর আমের আবাদ হচ্ছে। আর এবার আমের পাশাপাশি বাগানে কপিরও আবাদ করেছি। ফুল কপির ফুল ও পাতা কপি কাটার সময় হয়েছে। আশা করছি, আম ও কপি দুই আবাদই ভালো হবে।

ঈশ্বরদী উপজেলার উপ-সহকারী কৃষি কর্মকর্তা জাহিদ হাসান হিরোক বলেন, উপজেলার মধ্যে আমবাগানে কপির চাষ হয়েছে ১৫০ হেক্টর জমিতে। আম বাগানে অনেক জমি পতিত থাকে। সবজির দাম বাড়তি থাকার কারণেই কৃষকদের আমবাগানের ফাঁকা জায়গাগুলোতে কপির আবাদ করতে চাষিদের উদ্বুদ্ধ করা হয়েছে। ফলনও ভালো হয়েছে। মাঠ পর্যায়ে চাষিদের আমরা পরামর্শ ও সাধ্যমতো সহায়তা করে থাকি।’