চট্টগ্রামের বাঁশখালী পৌরসভার ভাদালিয়া এলাকায় স্থানীয়দের কাছে বন্দি একটি বিরল প্রজাতির গন্ধগোকুলকে (খাটাশ) উদ্ধার করেছে উপজেলা প্রশাসন। গত শুক্রবার রাতে পৌরসভার ১নং ওয়ার্ডের ভাদালিয়া এলাকা থেকে প্রাণীটি উদ্ধার করা হয়। পরে ওই দিন বনবিভাগের কর্মকর্তাদের মাধ্যমে এটি বাঁশখালী ইকোপার্কে গন্ধগোকুলকে অবমুক্ত করা হয়। স্থানীয় ভাষায় প্রাণীটি এশীয় তাল খাটাশ, ভোন্দর, লেনজা, সাইরেল বা গাছ খাটাশ নামে পরিচিত। তালের রস বা তাড়ি পান করে বলে তাড়ি বা টডি বিড়াল নামেও পরিচিত। গন্ধগোকুল বর্তমানে অরক্ষিত প্রাণী হিসেবে বিবেচিত বলে জানান জলদী বন্যপ্রাণী অভয়ারণ্যের রেঞ্জ কর্মকর্তা ও বাঁশখালী ইকোপার্কে ভারপ্রাপ্ত কর্মকর্তা মো. আনিসুজ্জামান শেখ। মো. আনিসুজ্জামান শেখ বলেন, গন্ধগোকুল নামে প্রায় বিলুপ্ত প্রজাতির প্রাণীটি বাঁশখালী পৌরসভার ১নং ওয়ার্ডের ভাদালিয়া এলাকার মানুষের বাড়িতে দেখতে পেয়ে স্থানীয়রা গন্ধগোকুল নামের প্রাণীটির ওপর হামলা চালায়। এ সময় স্থানীয় কয়েকজন যুবকদের হাতে ধরা পরে গন্ধগোকুল নামে এই প্রাণীটি। পরে তারা একটি খাঁচায় প্রাণীটিকে বন্দী করে রাখে। খবর পেয়ে রাতে বাঁশখালী উপজেলা প্রশাসনের মাধ্যমে বন বিভাগের সদস্যরা ভাদালিয়া এলাকা গিয়ে গন্ধগোকুলকে উদ্ধার করে বাঁশখালী ইকোপার্কে অবমুক্ত করে দেয়।
তিনি আরো বলেন, আন্তর্জাতিক প্রকৃতি ও প্রাকৃতিক সম্পদ সংরক্ষণ সংঘের (আইইউসিএন) বিবেচনায় প্রথিবীর বিপন্ন প্রাণীর তালিকায় উঠে এসেছে এই প্রাণীটি। আফ্রিকা, দক্ষিণ-পূর্ব এশিয়াসহ বিভিন্ন স্থানে বিভিন্ন প্রজাতির গন্ধগোকুলের বাস। বাংলাদেশের ২০১২ সালের বন্যপ্রাণী (সংরক্ষণ ও নিরাপত্তা) আইনের তফসিল-১ অনুযায়ী এ প্রজাতিটি সংরক্ষিত। তাই এটি ধরা বা শিকার করা সম্পূর্ণ বেআইনি। আমরা খবর পেয়ে গন্ধগোকুলটিকে উদ্ধার করে বাঁশখালী ইকোপার্কের ভেতরে অবমুক্ত করেছি।