ঝিনাইগাতীতে অবাধে চলছে নাইট কোচিং বাণিজ্য। প্রশাসনের দৃষ্টি ফাঁকি দিয়ে রমরমা কোচিং বাণিজ্যের অভিযোগ উঠেছে। সরকারি বিধিনিষেধ না মেনে ব্যাঙের ছাতার মতো গজানো এসব কোচিং সেন্টার চলছে অবাধে। সরকারি নীতিমালা তোয়াক্কা না করে স্কুল, কলেজ, মাদ্রাসার সরকারি/এমপিওভুক্ত শিক্ষকদের যোগসাজশে চলছে এসব কোচিং সেন্টারগুলো। সরেজমিন ঘুরে দেখা যায়, ঝিনাইগাতী উপজেলা সদরের ব্রিজ রোড, কলেজ রোড, থানা রোড, গার্লস স্কুল রোডে প্রভাতি, দিবা, নাইট কোচিং নামে চলছে এসব সেন্টার। অভিযোগ রয়েছে অনেক এমপিওভুক্ত/সরকারি বিদ্যালয়ের শিক্ষক বিভিন্ন প্রাইভেট স্কুল, কোচিং সেন্টারের সঙ্গে জড়িত। তারা নিয়ম অনুযায়ী সময়মতো প্রতিষ্ঠানে যান না। প্রতিষ্ঠান প্রধানকে ম্যানেজ করে ক্লাস ফাঁকি দিয়ে কোর্চিং কর্মকা- চালিয়ে যাচ্ছেন তারা। নাম প্রকাশে অনিচ্ছুক এক অভিভাবক বলেন, স্কুল/মাদ্রাসার অনেক শিক্ষক রয়েছেন যারা বছরে একদিনও ১০টা থেকে ৪টা পর্যন্ত চাকরি করেন না। এদের বিরুদ্ধে ব্যবস্থা নেয়া দরকার। উপজেলা আইনশৃঙ্খলা কমিটির সভায় এ বিষয়ে অভিমত প্রকাশ করা হয়, বিভিন্ন বিদ্যালয়/মাদ্রাসার শিক্ষক/কর্মচারী ও শিক্ষার্থী নাইট কোচিংয়ে জড়িত। এসব কোচিং সেন্টারের শিক্ষক ও শিক্ষার্থীরা বিভিন্ন রকম অসামাজিক কার্যকলাপ, সাইবার ক্রাইম, ফ্রি ফায়ার গেইম, ইভটিজিং ও মোবাইল জুয়ার মতো অপরাধে জড়িত হয়ে পড়ছে। তাই সভার সিদ্ধান্ত মোতাবেক উপজেলায় কোনো মাধ্যমিক বিদ্যালয়, মাদ্রাসা বা কোচিং সেন্টার রাতে চলতে পারবে না।
এর আলোকে উপজেলা শিক্ষা অধিদপ্তরের পক্ষ থেকে উপজেলার প্রাথমিক, মাধ্যমিক বিদ্যালয় ও মাদ্রাসার প্রধানদের আলাদা আলাদা চিঠি দিয়ে অবহিত করেন এবং কোনো শিক্ষক/কর্মচারী বা শিক্ষার্থী যেন নাইট কোচিংয়ে না জড়ায়। সে ব্যাপারে প্রয়োজনীয় ব্যবস্থা গ্রহণ করতে বলেন। কিন্তু এরপরেও থেমে নেই কোচিং বাণিজ্য। শেরপুর জেলা প্রাথমিক শিক্ষা অফিসার মো. ওবাইদুল্লাহ বলেন, প্রাথমিক বিদ্যালয়ের কোনো শিক্ষক আইনগতভাবেই কোচিং সেন্টারের সঙ্গে জড়িত হতে পারবে না। জড়িতদের বিরুদ্ধে ব্যবস্থা নেয়া হবে। উপজেলা নির্বাহী কর্মকর্তা ফারুক আল মাসুদ সাংবাদিকদের বলেন, নাইট কোচিং বন্ধে আইনশৃঙ্খলা কমিটির সভায় সিদ্ধান্ত হয়েছিল।