ঢাকা ২১ সেপ্টেম্বর ২০২৪, ৬ আশ্বিন ১৪৩১ | বেটা ভার্সন

ভুট্টা চাষে আগ্রহ বাড়ছে

ভুট্টা চাষে আগ্রহ বাড়ছে

অন্যান্য খাদ্যশস্যের তুলনায় ভুট্টা চাষে খরচ কম, লাভ বেশি। তাই ময়মনসিংহের গৌরীপুরে বোরো চাষের পাশাপাশি ভুট্টা চাষে ঝুঁকছে কৃষক। এছাড়াও গবাদি পশুর খাদ্য হিসাবে ভুট্টা পাতার (প্রক্রিয়াজাত) সাইলেজ বেশ জনপ্রিয়। তাই তরুণ উদ্যোক্তরাও ভুট্টা চাষে আগ্রহ দেখাচ্ছে। উপজেলা কৃষি অফিস সূত্রে জানা গেছে, এ বছর উপজেলায় ৪৫ হেক্টর জমিতে ভুট্টা চাষের লক্ষ্যমাত্রা নির্ধারণ করা হয়েছে। ভুট্টা চাষে উদ্ভুদ্ধ করতে দেয়া হয়েছে প্রণোদনা। ডিসেম্বর মাসের মাঝামাঝি সময় ভুট্টার বীজ বপন করেছে কৃষক। উৎপাদন শুরু হবে এপ্রিলের শেষ সপ্তাহ থেকে। তবে ভুট্টা গাছ তিন মাস বয়সি হলে পাতা প্রক্রিয়াজাত করে সাইলেজ করার উপযোগী হবে।

উপজেলার রামগোপালপুর, সহনাটি, বোকাইগর, মাওহা ও ভাংনামারী ইউনিয়নের বিভিন্ন গ্রাম ঘুরে দেখা গেছে বোরো চাষের পাশাপাশি ভুট্টা আবাদ করছে কৃষক। জমিতে বেড়ে ওঠা ভুট্টা গাছের পাতা বাতাসে দোল খাচ্ছে। সেই সঙ্গে কৃষক ও উদ্যোক্তারা স্বপ্ন দেখছে লাভের।

রামগোপালপুর ইউনিয়নের আল্লারদান এগ্রোর ব্যবস্থাপনা পরিচালক শামীম হোসেন বলেন, ভুট্টা পাতার সাইলেজ গবাদিপশুর খাদ্য হিসাবে বেশ জনপ্রিয়। আমি সাইলেজ করার জন্য ৬৫ বিঘা জমিতে ভুট্টার আবাদ করেছি। প্রতি বিঘায় প্রায় ১৭ হাজার টাকা খরচ হয়। লাভ হয় কয়েক গুণ। সহনাটি ইউনিয়নের কৃষক বোরহান মিয়া বলেন, বোরো চাষে সেচ বেশি, খরচ অনেক। কিন্তু ভুট্টা চাষে বেশি সেচ লাগে না, খরচ কম, লাভ বেশি। ৬ কাঠা জমিতে ভুট্টা চাষ করেছি। ভুট্টার পাতা গবাদি পশুর চাহিদা মিটাবে। পাশাপাশি দানা বিক্রি করেও আমি লাভবান হবো।

উপজেলা কৃষি অফিসার লুৎফুন্নাহার লিপি বলেন, মানুষের খাদ্যের পাশাপাশি পোলট্রি, ডেইরি ও ফিশফিড হিসেবেও ভুট্টার চাহিদা প্রচুর। বাজার ভালো থাকায় কৃষক ও তরুণরা ভুট্টা চাষে আগ্রহ দেখাচ্ছে। বৈরী আবহাওয়া না হলে বাম্পার ফলন হবে। উপজেলা প্রাণিসম্পদ কর্মকর্তা ডা. নাজিমুল ইসলাম বলেন, এই উপজেলায় গবাদি পশুর একটি নিরব বিপ্লব ঘটে যাচ্ছে। তরুণ উদ্যোক্তারা বেকারত্ব ঘুচাতে ভুট্টা চাষ করে সাইলেজ করে বিক্রি করছে। এতে একদিকে যেমন তরুণদের আত্মকর্মসংস্থান হচ্ছে। অন্যদিকে প্রধানমন্ত্রীর স্মার্ট বাংলাদেশ গঠনে তরুণরা গুরুত্বপূর্ণ অবদান রাখবে।

আলোকিত বাংলাদেশ
আরও পড়ুন -
  • সর্বশেষ
  • সর্বাধিক পঠিত