বিদ্যালয়ে নেই কোনো শৌচাগার

বিপাকে ১৫৬ শিক্ষক শিক্ষার্থী

প্রকাশ : ০৭ ফেব্রুয়ারি ২০২৩, ০০:০০ | প্রিন্ট সংস্করণ

  হুমায়ুন কবির, কালীগঞ্জ (ঝিনাইদহ)

ঝিনাইদহের কালীগঞ্জ উপজেলার ৭৬নং কমলাপুর সরকারি প্রাথমিক বিদ্যালয়ে ২০২১ সাল থেকে ওয়াশ ব্লকের কাজ শুরু হলেও এখনো পর্যন্ত শেষ হয়নি। এরই মধ্যে কাজের নির্দিষ্ট সময়সীমা পার হয়েছে। দীর্ঘদিন ধরে এই বিদ্যালয়ে কোনো শৌচাগার না থাকায় চরম দুর্ভোগ পোহাচ্ছে ১৫০ শিক্ষার্থী ও ৬ জন শিক্ষক। বিদ্যালয়টির ৬ জন শিক্ষকের মধ্যে ৫ জনই নারী শিক্ষক। শৌচাগার ব্যাবহারের প্রযোজন হলে বিদ্যালয়ের সবাই আশপাশের বাসাবাড়িতে যাচ্ছে। এতে করে আশপাশের বাড়ির লোকজনরাও বিরক্তবোধ করছে। তালাবদ্ধ দ্বিতলা শৌচাগারটি দ্রুত কাজ সম্পন্ন করে খুলে দেয়ার জন্য ঠিকাদারী প্রতিষ্ঠানকে একাধিকবার তাগিদ দিলেও তারা কর্ণপাত করছে না। একপ্রকার বাধ্য হয়েই প্রতিষ্ঠানের প্রধান শিক্ষক মো. জয়নাল আবদীন গত ২৮ জানুয়ারি কালীগঞ্জ উপজেলা নির্বাহী কর্মকর্তা বরাবর সমাধান চেয়ে একটি আবেদন করেন। আবেদনের সপ্তাহ পেরোলোও মেলেনি কোনো সমাধান। বিদ্যালয়টিতে সরেজমিন গিয়ে দেখা যায়, দ্বিতল শৌচাগারের গেটে তালা ঝুলছে। ওই বিদ্যালয়ের পঞ্চম শ্রেণি পড়ুয়া ছাত্র সজীব, চতুর্থ শ্রেণি পড়ুয়া ছাত্রী জান্নাতুল, সহকারি শিক্ষক মোছাম্মদ নুরুন্নাহার জানায়, দীর্ঘদিন ধরে শৌচাগার ছাড়া নিদারুণ কষ্ট সহ্য করছেন তারা। উল্লেখ্য, পুরাতন শৌচাগারের স্থানে নতুন দ্বিতল শৌচাগার নির্মাণ কাজ করা হলেও কাজ সম্পন্ন হওয়া পর্যন্ত অস্থায়ীভাবে ব্যবহারের জন্যও কোনো শৌচাগার তৈরি করা হয় নি। বিদ্যালয়ের প্রধান শিক্ষক জয়নাল আবদীন জানান, শৌচাগার ছাড়া কোন প্রতিষ্ঠান কি চলতে পারে? তব্ওু চলছে কয়েক বছর ধরে। বহুবার বলেও হচ্ছে না সমাধান। মেসার্স এনামুল হক নামের ঠিকাদারি প্রতিষ্ঠানের পক্ষে মোহাম্মদ রানা জানান, শেষ পর্যায়ের কিছু কাজ এখনো বাকি থাকাই শৌচাগারটি চালু করা সম্ভব হয়নি। আশা করছি দ্রুত সময়ের মধ্যে কাজ শেষ করে শিক্ষা প্রতিষ্ঠানকে বুঝিয়ে দেবো। উপজেলা জনস্বাস্থ্য প্রকৌশল অধিদপ্তরের কর্মকর্তা জেসমিন আরা জানান, ঠিকাদারকে মৌখিকভাবে বলেছি কাজটি দ্রুত করার জন্য। কিন্তু তিনি বার বার সময় নিচ্ছে। তবে ঠিকাদারি প্রতিষ্ঠানকে লিখিতভাবে নোটিশ করা হয়নি। উপজেলা নির্বাহী কর্মকর্তা ইসরাত জাহান জানান, বিদ্যালয়ের প্রধান শিক্ষকের নিকট থেকে একটি আবেদন পেয়েছি। এ ব্যাপারে দ্রুত ব্যাবস্থা নেয়া হবে।