গাজীপুরের কালিয়াকৈরে বন্যায় সাধের কাঠের ব্রিজ ভেঙে বংশাই নদীতে ভেসে গেছে। এখন কয়েকটি পয়েন্টে সরু বাঁশের সাঁকো দিয়ে ঝুঁকিতেই হেলেদুলে পারাপার হতে হচ্ছে নদী। এতে চরম জনদুর্ভোগে পড়েছেন কয়েকটি গ্রামের মানুষ। তবে অতিদ্রুত স্থায়ী ব্রিজ নির্মাণের দাবি জানিয়েছে গ্রামবাসী। উপজেলা পল্লী উন্নয়ন কার্যালয় ও গ্রামবাসী সূত্রে জানা গেছে, কালিয়াকৈর উপজেলার উত্তর হিজলতলী, দক্ষিণ হিজলতলী, বলিয়াদি, গজারিয়া, নয়ানগরসহ কয়েকটি গ্রামের মাঝ দিয়ে বয়ে গেছে বংশাই নদী। নদী পারাপারে ব্রিজ না থাকায় কয়েক কিলোমিটার ঘুরে উপজেলা সদরে যাতায়াত করতেন এসব গ্রামের মানুষ। এছাড়াও বর্ষা মৌসুমে নৌকা ও শুষ্ক মৌসুমে কয়েকটি পয়েন্টে বাঁশের সাঁকো দিয়ে ঝুঁকিতেই নদী পারাপার হতো। চরম জনদুর্ভোগের মধ্যে চলাচল করেছে শিক্ষার্থী, কৃষকসহ বিভিন্ন শ্রেনী পেশার মানুষ। যুগে যুগে জনপ্রতিনিধিদের ধারে ঘুরেও স্থায়ী ব্রিজের দেখা মেলেনি। গত ২০১৮-১৯ অর্থবছরে জনদুর্ভোগ লাঘবে উপজেলা পল্লী উন্নয়ন কর্মকর্তা আব্দুস সাত্তার কাঠের ব্রিজ নির্মাণের উদ্যোগ নেন। বাংলাদেশ পল্লী উন্নয়ন বোর্ডের (বিআরডিবি) অংশীদারিত্ব মূলক পল্লী উন্নয়ন প্রকল্প-৩ এর মাধ্যমে দক্ষিণ হিজলতলী গ্রামে পায়ে হাঁটার জন্য গ্রামবাসীর সাধের কাঠের ব্রিজটি নিমিত হয়। পল্লী উন্নয়ন কার্যালয়, গ্রামবাসী ও জনপ্রতিনিধিদের যৌথ উদ্যোগে সাধের ব্রিজটি হয়েছিল। ১ লাখ ১৮ হাজার টাকা ব্যয়ে কাঠের ব্রিজ তৈরি হলেও পিলারগুলো ছিল সম্পূর্ণ ইট, রড, সিমেন্ট দিয়ে ঢালাই করা। এটি উদ্বোধন করেন মুক্তিযুদ্ধ বিষয়ক মন্ত্রী আলহাজ অ্যাডভোকেট আ. ক. ম মোজাম্মেল হক। এ ব্রিজ দিয়ে নদী পার হয়ে খুব সহজেই উপজেলা সদরের সঙ্গে যোগাযোগ করে আসছিলেন গ্রামবাসী। কিন্তু গত বর্ষার মৌসুমে বন্যার ¯্রােতে সাধের ব্রিজটি ভেঙে ভেসে যায় বংশাই নদীতে। এতে আবারো চরম জনদুর্ভোগে সৃষ্টি হয়েছে।
উপজেলা পল্লী উন্নয়ন কর্মকর্তা আব্দুর সাত্তার বলেন, যৌথ সহযোগিতায় ওই এলাকায় বংশাই নদীর ওপর কাঠের ব্রিজটি নির্মাণ করা হয়েছিল। আগের মতো গ্রামবাসী ও জনপ্রতিনিধিরা সহযোগিতার হাত বাড়ালে আবারো সেখানে কাঠের ব্রিজ নির্মাণ করতে পারবো। উপজেলা নির্বাহী কর্মকর্তা তাজওয়ার আকরাম সাকাপি ইবনে সাজ্জাদ জানান, কাঁঠের ব্রিজটি ভেঙে যাওয়ায় নদী পারাপারের সমস্যা হচ্ছে। তবে মুক্তিযদ্ধ বিষয়ক মন্ত্রীর সঙ্গে পরামর্শ করে ওই সমস্যার সমাধানের ব্যবস্থা করা হবে।