ঢাকা ২১ সেপ্টেম্বর ২০২৪, ৬ আশ্বিন ১৪৩১ | বেটা ভার্সন

তিন ফসলি জমির ওপর ইটভাটা

তিন ফসলি জমির ওপর ইটভাটা

দিনাপুরের কাহারোল উপজেলার বিভিন্ন ইউনিয়নে গড়ে উঠেছে তিন ফসলি জমির ওপর অবৈধ ইটের ভাটা ১০টির মধ্যে পাঁচটি ইটভাটা পরিবেশ অধিদপ্তরের ছাড়পত্র রয়েছে। ছাড়পত্র পেতে আবেদন করেছেন ১০ ইটভাটার মালিক। তাদের শর্ত পূরণ না হওয়ায় ছাড়পত্র দেয়নি পরিবেশ অধিদপ্তর। এর ফলে কাহারোল উপজেলায় বৈধ ভাটা মাত্র পাঁচটি। তবুও অবৈধ ইটভাটা চালিয়ে যাচ্ছে। তিন ফসলি জমি থেকে ইটভাটায় মাটি পরিবহণ করার কারণে বীরগঞ্জ-কাহারোল সড়কের বেহাল অবস্থা সৃষ্টি হয়েছে। অপর দিকে পাকা সড়ক-সংলগ্ন মাটির স্তূপ করে রাখা হয়েছে। পরিবেশ অধিদপ্তরের অভিযানে ইটভাটাকে নাম মাত্র জরিমানা করা হয়। শুধু জরিমানা করেই দায় সারছে, কোনো অবৈধ ভাটা বন্ধ হচ্ছে না। জেলা পরিবেশ অধিদপ্তর জানায়, কৃষিজমিতে ইটভাটার অনুমতি দেয়া হয় না। স্থানীয় বাসিন্দাদের অভিযোগ, এলাকার তিন ফসলি কৃষি জমির উপরিভাগের মাটি (টপ সয়েল) দিয়ে ইট তৈরি করা হচ্ছে এসব অবৈধ ভাটাতে ইট। মাটি বহন করতে ট্রাক্টরের চলাচলে গ্রামীণ সড়কগুলো বেহাল হয়ে পড়েছে। কৃষকের ক্ষেতে ধুলার স্তর পড়ে নষ্ট হচ্ছে ফসল। সম্প্রতি সরেজমিন ইটভাটা ঘুরে এসব অভিযোগের সত্যতা মিলেছে। ১০টি ইটভাটা রয়েছে কৃষিজমি ও লোকালয়ে। কয়েকজন ইটভাটার মালিক বলেন, প্রতি বছর লাখ লাখ টাকা ভ্যাট নেয় জেলা কাস্টমস অধিদপ্তর। অন্যদিকে জেলা ও উপজেলা প্রশাসন এবং পরিবেশ অধিদপ্তরের আলাদা আলাদা বখরা রয়েছে। নাম প্রকাশ না করার শর্তে এক ভাটামালিক বলেন, সিংহভাগ ভাটার মালিকই ক্ষমতাসীন দলের পদ–পদবিধারী নেতা, নয়তো দলের নিষ্ঠাবান কর্মী অথবা দলের আশীর্বাদপুষ্ট। শুধু সাধারণ ইটভাটা ব্যবসায়ীদের টার্গেট করে জরিমানা করা হয়।

আরও পড়ুন -
  • সর্বশেষ
  • সর্বাধিক পঠিত