সংস্কারের অভাবে রাস্তার বেহাল দশা

প্রকাশ : ০৯ ফেব্রুয়ারি ২০২৩, ০০:০০ | প্রিন্ট সংস্করণ

  এমএ কাইয়ুম মাইজভান্ডারী, শ্রীনগর (মুন্সীগঞ্জ)

মুন্সীগঞ্জের শ্রীনগরে দীর্ঘদিনেও সংস্কারের অভাবে রোগী, ছাত্রছাত্রীসহ জনচলাচলের একটি গুরুত্বপূর্ণ রাস্তার বেহাল দশা হয়ে পড়েছে। জনগুরুত্বপূর্ণ এই রাস্তা দিয়ে যাতায়াত করতে না পেরে উপজেলা স্বাস্থ্য কমপ্লেক্সে চিকিৎসা নিতে রোগী, প্রাথমিক বিদ্যালয়, উচ্চ বিদ্যালয়ে পড়ুয়া ছাত্রছাত্রীসহ ষোলঘর ও শ্রীনগর সদর দুই ইউনিয়নের প্রায় ১০ হাজার মানুষ চরম ভোগান্তিতে পড়েছেন। রাস্তাটি উপজেলা স্বাস্থ্য সামনে থেকে ষোলঘর ইউনিয়নের ৫নং ওয়ার্ডের মিয়াপাড়া, গোয়ালপাড়া মোড় থেকে ভাগ হয়ে ডান দিকে ষোলঘর ১নং ওয়ার্ডের সমসাবাদ চকেরবাড়ী পর্যন্ত প্রায় ৩ কিলোমিটার রাস্তা এবং গোয়ালপাড়া মোড় থেকে বাম দিক দিয়ে রাস্তাটি গোয়ালপাড়া হয়ে আরধীপাড়া, কন্দনপাড়া, খানবাড়ী, মুন্সীরহাটি হয়ে শ্রীনগর মুন্সীরহাটি পাকা রাস্তা পর্যন্ত প্রায় দেড় কিলোমিটার রাস্তা একেবারেই বেহাল দশা। এতে চরম ঝুঁকি নিয়ে যাতায়াত করতে হচ্ছে স্কুল, কলেজে পড়ুয়া ছাত্রছাত্রীসহ উপজেলা স্বাস্থ্য কমপ্লেক্সে চিকিৎসা নিতে আসা হাজার হাজার রোগীদের।

সরেজমিন গিয়ে দেখা যায়, রাস্তাটি বেশ কয়েক বছর আগে উপজেলা স্বাস্থ্য কমপ্লেক্স মোড় থেকে গোয়ালপাড়া পর্যন্ত এবং গোয়ালা পাড়া মোড় থেকে মুন্সীরহাটি পর্যন্ত ইট সলিং করা হয় এবং গোয়াল মোড় থেকে সমসাবাদ চকেরবাড়ী পর্যন্ত দেড় কিলোমিটার রাস্তা কাঁচাই রয়ে যায়।

দীর্ঘদিনের করা ইট সলিং রাস্তার মাঝে মাঝে ইট সলিং উঠে গিয়ে খানাখন্দসহ বড় বড় গর্তে সৃষ্টি হয়েছে। এতে স্কুলে পড়ুয়া ছাত্রছাত্রীসহ স্বাস্থ্য কমপ্লেক্স চিকিৎসা নিতে রোগীদের যাতায়াতে প্রতিদিন চরম ভোগান্তি পোহাতে হচ্ছে। সামান্য বৃষ্টির ছিটাফোঁটা পড়লেই এই রাস্তা দিয়ে চলাচল করা একেবারেই অনুপযোগী হয়ে পড়ে।

আরধীপাড়া কন্দনপাড়া এলাকার বাসিন্দা দীলু জানান, আমি স্ট্রোকের রোগী। আমার প্রায় সময় চিকিৎসার জন্য ষোলঘর স্বাস্থ্য কমপ্লেক্সে যেতে হয়। রাস্তার এই অবস্থা দেখে অটোরিকশা চালক আমাদের নিয়ে যেতে চায় না। আর দুয়েকজন চালক যেতে চাইলে তাদের দিতে হয় দ্বিগুণ ভাড়া।

অটোচালক সাগর জানান, ষোলঘর স্বাস্থ্য কমপ্লেক্সে আরধীপাড়া, মুন্সীরহাটি এলাকার রোগীদের এই রাস্তা দিয়ে অটোরিকশা যোগে নিতে যেতে পারি না। রাস্তার অবস্থা খুবই খারাপ। আমাদের অটোরিকশারও অনেক ক্ষতি হয়। তাই বাধ্য হয়ে ওইসব এলাকার যাত্রীদের নিয়ে উপজেলা হয়ে ঘুরে যেতে হয়। তাতে অনেক সময় লাগে। রাস্তাটি মেরামত হলে তাড়াতাড়ি যাত্রীদের বাড়িতে পৌঁছে দিতে পারি।

ষোলঘর ইউনিয়নের ১নং ওয়ার্ডের ইউপি সদস্য মো. রফিকুল ইসলাম বলেন, এই রাস্তাটি আমরা ইউনিয়ন পরিষদের বরাদ্দে কতটুকু পারছি করেছি। এখন জেলা পরিষদের কিংবা এমপির বরাদ্দে করতে হবে। এর আগে রাস্তাটি সংস্কার করার জন্য জেলা পরিষদ বরাবরে আবেদন করেছিলাম। কিন্তু এই রাস্তাটির মেরামতকাজ কেটে অন্যদিক দিকের রাস্তার বরাদ্দ দেয়া হয়। এজন্য সংস্কার হয়নি। রাস্তাটি দুই ইউনিয়নের বাসিন্দাদের চলাচলের জন্য খুবই গুরুত্বপূর্ণ। এই রাস্তা দিয়ে শত শত ছাত্রছাত্রী ষোলঘর হাইস্কুল, প্রাইমারির স্কুলে ও হাজার হাজার রোগীরা সেবা নিতে আসে ষোলঘর হাসপাতালে। তাই রাস্তাটি সংস্কার হওয়া খুবই জরুরি।