বিদ্যুতের দাম বৃদ্ধিতে চাষিরা শঙ্কায়

প্রকাশ : ০৯ ফেব্রুয়ারি ২০২৩, ০০:০০ | প্রিন্ট সংস্করণ

  আবুল কাফি সরকার, গাইবান্ধা

কৃষিভান্ডারখ্যাত উত্তরের জেলা গাইবান্ধা। এখানকার অধিকাংশ পরিবার কৃষিজাত ফসলের ওপর নির্ভরশীল। চলতি বছর বোরো মৌসুমের ব্যস্ততা শুরু হয়েছে। তবে জ্বালানি তেল ও বিদ্যুতর দাম বাড়ায় বোরো চাষ নিয়ে দুশ্চিন্তায় পড়েছেন কৃষকরা। চাষাবাদের খরচ জোগাতে অনেকেই ঋণের ফাঁদে পড়ছেন। সবচেয়ে বেকায়দায় পড়েছেন দরিদ্র ও বর্গা কৃষকরা। গত বছরের তুলনায় এবার জেলার বোরো আবাদে প্রায় ১৯২ কোটি টাকার ঊর্ধ্বে বাড়তি খরচ হতে পারে বলে কৃষি সম্প্রসারণ অধিদপ্তর সূত্রে জানা গেছে। কৃষকরা জানান, সম্প্রতি বিদ্যুৎ, জ্বালানি তেল, সার-কীটনাশক ও শ্রমিকসহ অন্যান্য জিনিসের দাম বেড়ে যাওয়ায় বোরো আবাদের খরচ নিয়ে চরম দুশ্চিন্তায় রয়েছেন তারা। বীজতলা তৈরি ও চারা রোপণের জন্য পাওয়ার টিলারের মাধ্যমে জমি চাষ দিতে হয়। ডিজেলের দাম বেড়েছে লিটারে প্রায় ৪২.৫ শতাংশ। ফলে পাওয়ার টিলারের খরচ বেড়ে গেছে। ধানকাটা ও মাড়াইয়ে যন্ত্রে ডিজেল বা পেট্রলের ব্যবহার হয়, সেখানে গুণতে হবে বাড়তি খরচ। সাঘাটা উপজেলার পুঠিমারি গ্রামের ‘বঙ্গবন্ধু জাতীয় কৃষি পুরস্কার’ প্রাপ্ত কৃষক আমির হোসেন বলেন, আগের মৌসুমে কেনা ৬৬ টাকার ডিজেল বর্তমানে কিনতে হচ্ছে ১১২ টাকা পাইকারি দরে। আবহাওয়ার কারণে ১ বিঘা ধানের জমিতে সেচ দিতে কখনো ৩২ লিটার কখনো ৪৫ থেকে ৫০ লিটার ডিজেলের প্রয়োজন হয়। দ্বিগুণ খরচ হচ্ছে উৎপাদনে। সে তুলনায় আমরা লাভবান হচ্ছি না। বিদ্যুৎচালিত অগভীর সেচযন্ত্রের মালিক জামাত আলী বলেন, গত বোরো মৌসুমে গৃহস্থদের কাছ থেকে বিঘাপ্রতি ১ হাজার ৬৫০ টাকা নেয়া হয়েছে। এ বছরের বিদ্যুতের দাম বেড়ে যাওয়ায় ২ হাজার ৩১০ টাকা নির্ধারণ করেছি। কিন্তু এখনও বিদ্যুতের নতুন বিল হাতে পাওয়া যায়নি। গাইবান্ধা জেলা কৃষি সম্প্রসারণ বিভাগের উপপরিচালক বেলাল উদ্দিন জানান, বোরো আবাদে কৃষকদের লাভবান করতে এরই মধ্যে প্রণোদনা দেয়া হয়েছে। আবহাওয়া অনুকূলে থাকলে কৃষক বোরো ধান ঘরে তুলে লাভবান হবেন।