ঢাকা ২১ সেপ্টেম্বর ২০২৪, ৬ আশ্বিন ১৪৩১ | বেটা ভার্সন

এক কেজি ধান-চালও গুদামে যায়নি

এক কেজি ধান-চালও গুদামে যায়নি

যশোরের কেশবপুরে আমন মৌসুমে সরকার নির্ধারিত মূল্যে ধান-চাল বিক্রিতে আগ্রহ দেখাচ্ছেন না কৃষক ও চুক্তিবদ্ধ মিলাররা। এরই মধ্যে সরকারিভাবে ধান-চাল ক্রয়ের উদ্বোধনের তিন মাস সময় পর হয়েছে। কিন্তু গতকাল ৮ ফেব্রুয়ারি পর্যন্ত এক কেজিও ধান-চাল সংগ্রহ করতে পারেনি খাদ্যগুদাম কর্তৃপক্ষ।

স্থানীয় কৃষক ও খাদ্য বিভাগ সূত্রে জানা গেছে, সরকার কেশবপুরে চলতি আমন মৌসুমে ৩২৬ মেট্রিক টন ধান ও ২৫৯ মেট্রিক টন চাল ক্রয়ের লক্ষ্যমাত্রা নির্ধারণ করে। প্রতি মন ধান ১ হাজার ১২০ টাকা ও প্রতি মন চাল ১ হাজার ৬৮০ টাকা মূল্য নির্ধারণ করা হয়। গত বছরের নভেম্বরে ধান-চাল সংগ্রহ অভিযানের উদ্বোধন করা হয়। কিন্তু খাদ্য গুদামে ধান-চাল ক্রয়ে সরকার নির্ধারিত মূল্যের চেয়ে বাজার মূল্য বেশি। এ পরিস্থিতিতে গুদামে ধান-চাল বিক্রি করে কৃষক ও চুক্তিবদ্ধ মিলাররা লাভবান হবেন না। যে কারণে আমন মৌসুমে ধান-চাল সংগ্রহ অভিযান ব্যর্থ হওয়ার পথে। গতকাল ৮ ফেব্রুয়ারি পর্যন্ত এক কেজিও ধান-চাল সংগৃহীত হয়নি। বর্তমান কেশবপুর উপজেলার হাটবাজারে প্রতি মন ধান ১ হাজার ২০০ থেকে ১ হাজার ৩০০ টাকা মন দরে এবং মোটা চাল ১ হাজার ৮৪০ থেকে ১ হাজার ৮৬০ টাকা মন দরে বিক্রি হচ্ছে। এ অবস্থায় সরকার নির্ধারিত মূল্যে ধান দিলে কৃষকদের মন প্রতি লোকসান গুণতে হবে ১৮০ টাকা, আর চালে লোকসান গুণতে হবে ১৬০ টাকা। এ কারণেই কৃষক ও চুক্তিবদ্ধ মিলাররা ধান-চাল বিক্রি করতে আগ্রহ দেখাচ্ছেন না।

কেশবপুর পৌরসভার মধুকুল এলাকার কৃষক আজিজুর রহমান বলেন, এবার সরকারি দামের চেয়ে বাজারে ধানের দাম বেশি। এরপরও সরকারি খাদ্যগুদামে ধান বিক্রিতে অনেক ঝামেলা পোহাতে হয়। আদ্রতার কথা বলে প্রতি মন ধানে এক-দুই কেজি করে বেশি দিতে হয়।

উপজেলা খাদ্য গুদাম কর্মকর্তা সুনীল মন্ডল বলেন, ধান-চালের বাজার মূল্য বেশি হলেও সরকারিভাবে ধান-চালের মূল্য বাড়ানোর কোন সুযোগ নেই। সংগ্রহ অভিযানের শুরু থেকে গতকাল ৮ ফেব্রুয়ারি পর্যন্ত এক কেজিও ধান-চাল সংগ্রহ করা যায়নি। সরকারি মূল্যের চেয়ে ধান-চালের বাজার মূল্য বেশি থাকায় এবং ব্যাংকের মাধ্যমে টাকা তোলার ঝামেলা এড়াতে কৃষক গুদামে ধান দিতে চান না।

আরও পড়ুন -
  • সর্বশেষ
  • সর্বাধিক পঠিত