ছড়াখাল থেকে চলছে বালু উত্তোলন

কক্সবাজারের চকরিয়া উপজেলার ডুলাহাজারা বঙ্গবন্ধু শেখ মুজিব সাফারি পার্ক সংলগ্ন ছড়াখাল ও চাষি জমি থেকে অবৈধভাবে বালু উত্তোলনের মহোৎসব চলছে। দীর্ঘদিন ধরে এই বালু উত্তোলনের ফলে হুমকির মুখে পড়েছে পার্কের সীমানা দেয়াল ও জনবসতি।

সরেজমিন গিয়ে দেখা যায়, ডুলাহাজারা বঙ্গবন্ধু সাফারি পার্কের ৯০০ হেক্টর এলাকার পূর্ব প্রান্তে লামা উপজেলার ফাঁসিয়াখালী ইউনিয়নের বগাইছড়ি মালুম্যা ছড়াখালের অবস্থান। ওই ছড়া খালের কোনো প্রকার ইজারা না থাকার পরও প্রতিদিন শতাধিক ডাম্পার গাড়ি নিয়ে অবৈধ বালু উত্তোলন করে বিভিন্ন জায়গায় পাচার করে যাচ্ছে একটি বালুদস্যু চক্র। প্রতিদিন বালু উত্তোলনের পর ছড়াখালের আশপাশের বসতবাড়ির ফলজ গাছের গোড়ায় মজুদ করে রাখা হয়েছে এসব বালুর স্তূপ। পার্কসংলগ্ন মাইজপাড়া এলাকার সেলিনা আক্তার বলেন, সাফারি পার্কের পূর্ব পাশে তাদের জমিতে দীর্ঘ সময় ধরে চাষাবাদ করে আসছেন। স্বামী আবদুস শুক্কুর মিস্ত্রি মারা যাওয়ার পর তাদের জমি ও পার্কের সন্নিকট থেকে বালু উত্তোলন করছে একটি বালুদস্যু চক্র। যার ফলে জমির ব্যাপক ক্ষয়ক্ষতির পাশাপাশি ভবিষ্যতে চাষাবাদে অনিশ্চিত হয়ে পড়ছে। স্থানীয় লামা ফাঁসিয়াখালী ইউনিয়নের উত্তর মালুম্যা এলাকার মৃত আবদুস ছমদের ছেলে ছাবের আহমেদ ও একই এলাকার মৃত বদি আলমের ছেলে সিরাজ সর্দার এই অবৈধ বালু উত্তোলনের নেতৃত্ব দিচ্ছেন। তাদের বিরুদ্ধে দ্রুত ব্যবস্থা নিতে বঙ্গবন্ধু সাফারি পার্ক কর্তৃপক্ষকে অবগত করা হয়েছে। পার্ক কর্তৃপক্ষ কোনোরূপ ব্যবস্থা না নিলে পরবর্তীতে কঠোর আইনগত পদক্ষেপ নিবেন বলেও জানান তিনি।

সাফারি পার্ক সংলগ্ন জায়গা থেকে অবৈধ বালু উত্তোলনের কথা স্বীকার করে অভিযুক্ত ছাবের আহমদ বলেন, সাফারি পার্ক নয়, আমাদের খতিয়ানি জায়গা থেকে আমরা বালু উত্তোলন করছি। এখানে সাফারি পার্ক কর্তৃপক্ষের বাঁধা দেয়ার অধিকার নেই। এছাড়া পানি চলাচলের ছড়াখালও তার খতিয়ানভুক্ত জমি বলে দাবি করেন তিনি।

ডুলাহাজারা বঙ্গবন্ধু শেখ মুজিব সাফারি পার্কের ভারপ্রাপ্ত কর্মকর্তা মাজাহারুল ইসলাম বলেন, পার্ক সংলগ্ন এলাকায় বালু উত্তোলনের বিষয়ে আমার জানা ছিল না। তাই কোনোরূপ পদক্ষেপ নেয়া হয়নি। বিষয়টি পাওয়ার পর ঘটনাস্থলে লোকজন পাঠানো হয়েছে। তদন্ত সাপেক্ষে এ ব্যাপারে পরবর্তী আইনগত ব্যবস্থা নেয়া হবে বলেও জানান তিনি।