পাঠ্যবই সংকটে পাঠদান ব্যাহত

শিক্ষক সহায়িকা শিক্ষার্থীদের ভরসা

প্রকাশ : ১১ ফেব্রুয়ারি ২০২৩, ০০:০০ | প্রিন্ট সংস্করণ

  মো. তাজুল ইসলাম, তিতাস (কুমিল্লা)

কুমিল্লার তিতাসে সপ্তম-নবম শ্রেণির পাঠ্যবই সংকটে পাঠদান ব্যাহত হচ্ছে। তবে শিক্ষক সহায়িকা এখন শিক্ষার্থীদের শেষ ভরসা হয়ে দাঁড়িয়েছে। ৬১ হাজার ৮০০ কপি বই না পাওয়ায় স্কুল ও মাদ্রাসা শাখার সপ্তম শ্রেণি এবং মাদ্রাসা শাখায় নবম শ্রেণির পাঠদানে হযবরল অবস্থা বিরাজ করছে। উপজেলা মাধ্যমিক শিক্ষা অফিস সূত্রে জানা যায়, মাধ্যমিক শাখার সপ্তম শ্রেণির বাংলা, ইংরেজি, গণিত, ধর্ম (ইসলাম ও হিন্দু), বিজ্ঞান অনুসন্ধানী পাঠ, ইতিহাস ও সামাজিক বিজ্ঞানের অনুসন্ধানী পাঠ এবং মাদ্রাসা শাখায় সপ্তম শ্রেণির গণিত, ডিজিটাল প্রযুক্তি, জীবন ও জীবিকা, শিল্প ও সংস্কৃতি, স্বাস্থ্য সুরক্ষা, বিজ্ঞান (অনুসন্ধানী পাঠ ও অনুশীলন বই), ইতিহাস ও সামাজিক বিজ্ঞান (অনুসন্ধানী পাঠ ও অনুশীলন বই) পাঠ্যবই বরাদ্দ পাওয়া যায়নি। এছাড়াও মাদ্রাসা শাখায় নবম শ্রেণির বাংলা, বাংলা ব্যাকরণ, ইংরেজি, ইংরেজি গ্রামার, গণিত, উচ্চতর গণিত, বাংলাদেশ ও বিশ্ব পরিচয়, কৃষি শিক্ষা, ইসলামের ইতিহাস, শারীরিক শিক্ষা, ক্যারিয়ার শিক্ষা, আল-লুগাতুল আরাবিয়াতুল ইত্তেসালিয়া, কাওয়াইদুল লুগাতিল আরাবিয়্যাহ, কোরআন মাজিদ ও তাজভিদ শিক্ষা, আত্তাওহীদ ওয়াল ফিকহ ও হাদিস শরীফ বই শিক্ষার্থীদের সরবরাহ করা সম্ভব হয়নি। জিনিয়াস ক্যাডেট স্কুল অ্যান্ড কলেজের অধ্যক্ষ আবুল কালাম আজাদ জানান, সপ্তম শ্রেণির বই নিয়ে দুশ্চিন্তায় আছি। কিছুদিন আগে শিক্ষামন্ত্রী ওয়েব সাইট থেকে ই-বুক ডাউনলোড করে পাঠদান পরিচালনা করার ঘোষণা দেয়ায় আমরা তা শিক্ষার্থীদের মাঝে সরবরাহ করছি। তবে এজন্য কোনো বাড়তি টাকা নেয়া হয়নি। উপজেলা মাধ্যমিক শিক্ষা অফিসার (ভারপ্রাপ্ত) সানজিনা আক্তার জানান, গত ৬ ফেব্রুয়ারি এনসিটিবি থেকে না পাওয়া বই সম্পর্কে তথ্য চেয়েছিল। ৭ ফেব্রুয়ারি আমরা তথ্য পাঠিয়ে দিয়েছি। তিনি আরো জানান, স্কুল শাখার সপ্তম শ্রেণির ৩১ হাজার ২০০, মাদ্রাসা শাখার সপ্তম শ্রেণির ১০ হাজার ৮০০ এবং মাদ্রাসা শাখার নবম শ্রেণির ১৯ হাজার ৮০০ কপি বইয়ের চাহিদা প্রেরণ করা হয়েছে।