পরিত্যক্ত জায়গায় বাহারি ফুলবাগান

প্রকাশ : ১২ ফেব্রুয়ারি ২০২৩, ০০:০০ | প্রিন্ট সংস্করণ

  মো. দ্বীন ইসলাম, মতলব (চাঁদপুর)

চাঁদপুরের মতলব উত্তরে প্রায় ৫ লাখ মানুষের চিকিৎসা সেবার একমাত্র ভরসাস্থল ৩১ শয্যার উপজেলা স্বাস্থ্য কমপ্লেক্স। প্রতিদিনই এখানে সেবা নিতে আসেন প্রায় ২০০ থেকে ৩০০ রোগী। বর্তমানে উপজেলা স্বাস্থ্য ও পরিবার পরিকল্পনার অফিসারের দায়িত্বে রায়েছেন ডা. আসাদুজ্জামান জুয়েল। তিনি গত বছরের ১৪ ফেব্রুয়ারি অত্র হাসপাতালে যোগদান করেন। যোগদানের পর থেকেই পাল্টে যায় পুরো হাসপাতালের চিত্র।

বর্তমানে স্বাস্থ্য কমপ্লেক্সে ভবনের প্রধান ফটক দিয়ে প্রবেশ করার সময় চোখে পড়বে বিভিন্ন রঙ্গের বড় বড় গাঁদা ফুল থোকায় থোকায় ফুটে আছে। পাশেই সুন্দর অবকাঠামোর মাঝে গড়ে তোলা হয়েছে বিভিন্ন দেশি, বিদেশি ফুল ও ঔষধি গাছের ভেষজ মিশ্র ফুল বাগান। যেন নানা রকম ও ধরনের ফুলের স্বর্গরাজ্যে পরিণত হয়েছে।

এ প্রসঙ্গে মতলব উত্তর উপজেলা স্বাস্থ্য ও পরিবার পরিকল্পনা কর্মকর্তা ডা. আসাদুজ্জামান জুয়েল বলেন, কিছুদিন আগেও হাসপাতালের সামনের জায়গাটি পরিত্যক্ত ছিল। সেখানে ছিল ময়লা-আবর্জনার স্তূপ। সারাক্ষণ ভনভন করত মশামাছি। সেই পরিবেশ সুন্দর করার চিন্তা থেকে সেখানে করা হয়েছে ফুলের বাগান। পরিত্যক্ত সেসব জায়গা এখন বাহারি ফুলে ভরে গেছে। তিনি বলেন, হাসপাতালের সামনে পরিত্যক্ত জায়গায় ময়লা-আবর্জনা ফেলতেন রোগীরা। সেখান থেকে জন্ম নিতো মশা-মাছি। এমনকি দুর্গন্ধও ছড়াত। প্রতিদিন হাসপাতালে যেতে-আসতে এসব আমার চোখে পড়ত। এমন পরিবেশ রোগীদের হাসপাতালে প্রবেশের পর অস্বস্তিতে ফেলত। হাসপাতালে যোগদানের পর আমি সিদ্ধান্ত নিই, হাসপাতালের সামনের পরিবেশ সুন্দর করব। যেমন ভাবা তেমন কাজ। নিজ উদ্যোগে হাসপাতালের চিকিৎসক, নার্স ও অন্যান্য কর্মকর্তা-কর্মচারীদের সহযোগিতায় ফুলের বাগান গড়ে তুলি।

মতলব উত্তর প্রেসক্লাবের সভাপতি বোরহান উদ্দিন ডালিম বলেন, পরিত্যক্ত জায়গায় বাগান প্রশংসার দাবি রাখে। প্রতিটি হাসপাতালে এমন দৃষ্টিনন্দন ফুলের বাগান রোগী ও হাসপাতালের জন্য খুব দরকার।

রোগী ও তাদের স্বজনরা বলেন, আগে হাসপাতালের ভেতরে প্রবেশ করলেই নাকে ওষুধ ও ময়লার গন্ধ লাগত। এখন হাসপাতালের ভেতরে ঢুকলেই বাহারি ফুলের ঘ্রাণ পাই। মনটা ভালো হয়ে যায়।