হাটবাজারে চরম অব্যবস্থাপনা

প্রকাশ : ১৩ ফেব্রুয়ারি ২০২৩, ০০:০০ | প্রিন্ট সংস্করণ

  বখতিয়ার রহমান, পীরগঞ্জ (রংপুর)

রংপুরের পীরগঞ্জ উপজেলার বেশির ভাগ সরকারি হাটবাজারে চরম অব্যবস্থাপনা বিরাজ করছে। এ পরিস্থিতির সৃষ্টি হয়েছে সংশ্লিষ্ট কর্তৃপক্ষের উদাশীনতা ও তদারকির অভাবে। ফলে হাটবাজার গুলোর ব্যবসার যোগ্য স্থান সংকুচিত হয়ে আসছে এবং মালামাল ক্রয় বিক্রয়ের ক্ষেত্রে জনগণকে চরম ভোগান্তির শিকার হতে হচ্ছে। একাধিক সূত্রে জানা গেছে, পীরগঞ্জের ১৫ ইউনিয়নে মোট হাটবাজারের সংখ্যা ৩৪টি। যেগুলো প্রতি বছর সরকারিভাবে ইজারা দেয়া হয়। ইজারা প্রদানকৃত এ হাটবাজার থেকে অর্জিত হয় সরকারের মোটা অংকের অর্থ। অথচ পীরগঞ্জের বেশির ভাগ হাটবাজারে নাজুক পরিস্থিতির সৃষ্টি হয়েছে। নাজুক পরিস্থিতির শিকার হাটবাজারগুলোর মধ্যে- গুর্জিপাড়া, শানেরহাট, মাদারগঞ্জ, চতরা, বালুয়া, বড়দরগাহ, কুমেদপুর, রসুলপুর, কলোনী বাজার, মাদারগঞ্জ অন্যতম। হাটবাজারগুলোর নির্ধারিত তোহা বাজারেও গড়ে উঠেছে অবৈধ দোকান ঘর। এর ফলে সংকুচিত হয়ে এসেছে পেরিফেরির খালী স্থান ও তোহা বাজার। ফলে অস্থায়ী ও ক্ষুদ্র পণ্য বিক্রেতারা পেরিফেরির খালী স্থান ও তোহা বাজারে পণ্য বিক্রির সুবিধা না পেয়ে হাটের অভ্যন্তরের রাস্তা ও গলিতে বসে পণ্য বিক্রি করতে বাধ্য হচ্ছেন। অনেক ভ্রাম্যমাণ ক্ষুদে ব্যবসায়ীরা সে সুযোগ থেকে বঞ্চিত থাকছেন । যে সব হাটবাজারে এলজিইডির তত্ত্ব¡াবধানে মহিলাদের জন্য পৃথক স্থায়ী মার্কেট করা হয়েছিল, সেগুলো চলে গেছে পুরুষদের দখলে। হাটবাজারগুলোয় নেই পর্যাপ্ত নলকুপ, ল্যাট্রিন, ড্রেন ও পয়ঃনিস্কাশন ব্যবস্থা এবং অভ্যন্তরে যত্রছত্র পড়ে আছে আবর্জনারস্তূপ। হাটবাজারগুলোয় নির্ধারিত টোল আদায়ের মুল্য তালিকা ঝুলিয়ে রাখার নিয়ম থাকলেও সে নিয়ম উপেক্ষিত রয়েছে। ফলে ইচ্ছেমত টোল আদায় নিয়ে ইজারাদেও সঙ্গে ক্রেতা বিক্রেতাদের প্রতিনিয়ত বাক বিতন্ডা চলছেই। সার্বিক এ পরিস্থিতির কারণে হাট বাজার গুলিতে জনসাধারণের পণ্য ক্রয় বিক্রয়ের ক্ষেত্রে অনুকূল পরিবেশ বিঘ্নিত হচ্ছে। সাধারণ মানুষ ও পর্যবেক্ষক মহল মনে করেন সংশ্লিষ্ট বিভাগ ও হাটবাজার তদারকী কমিটি হাট বাজার গুলোর এ অনিয়ম ও অব্যবস্থাপনা রোধে কার্যকর পদক্ষেপ গ্রহণ করলে হাটবাজার গুলোর এ নাজুক পরিস্থিতি রোধ করা সম্ভব।