৩৫ গ্রামবাসীর ভাগ্যবদল

সেচব্যবস্থা

প্রকাশ : ১৩ ফেব্রুয়ারি ২০২৩, ০০:০০ | প্রিন্ট সংস্করণ

  কামরুল হুদা হেলাল, দিনাজপুর

দুই উপজেলার প্রায় ৪০ হাজার মানুষের ৪ হাজার হেক্টর জমি সম্পূর্ণভাবে সেচের আওতায় আসায় সফল উৎপাদনের পাশাপাশি যোগাযোগ ব্যবস্থায় সূচিত হয়েছে ইতিবাচক ফলাফল। শুকনো মৌসুমে পুনর্ভবা নদীর পূর্ব ও পশ্চিম পাড়ের প্রায় ১৩ কিলোমিটার দীর্ঘ জমির সেচ সুবিধায় ফসলের উৎপাদন ও ফলন কৃষকদের আর্থিকভাবে যেমন লাভবান করবে, তেমনি থাকবেনা কোনো দুশ্চিন্তা। দিনাজপুরের পুনর্ভবা নদীর পূর্বে সদর আর পশ্চিমে বিরল উপজেলা। নদীর সংলগ্নে ৩৫ গ্রামে অন্তত ৪০ হাজার মানুষের বাস। যাদের বেশির ভাগেই কৃষির উপর নির্ভরশীল। যাতায়াত আর কৃষিজমিতে সেচের পানির সংকট ছিল তাদের প্রধান সমস্যা। পানি উন্নয়ন বোর্ডের প্রকল্পের সেচের পানি পেয়ে খুশি কৃষকরা। পুনর্ভবা নদীর উপর নির্মিত গৌরীপুর, সমন্বিত পানি নিয়ন্ত্রণ প্রকল্পে বদলে যাচ্ছে এলাকার মানুষের জীবনযাত্রা। এ প্রকল্পে পানি সংরক্ষণের মাধ্যমে নদীর ১৩ কিলোমিটার পর্যন্ত শুষ্ক মৌসুমে সেচ সুবিধা পাবেন এলাকার কৃষক। ইতোমধ্যে সদর ও বিরল দুই উপজেলার যোগাযোগ ব্যবস্তা ও খরা মৌসুমে সম্পূরক সেচের লক্ষ্যে পুনর্ভবা নদীতে নির্মিত হয়েছে সমন্বিত পানি নিয়ন্ত্রণ প্রকল্প। প্রধানমন্ত্রী শেখ হাসিনার সহযোগিতায় ও হুইপ ইকবালুর রহিম এমপির প্রচেষ্টায় পানি উন্নয়ন বোর্ডের তত্ত্বাবধানে সদর উপজেলার আস্করপুর ইউনিয়নের গৌরীপুর এলাকায় প্রকল্পটিতে নির্মাণে খরচ হয়েছে প্রায় ৬৩ কোটি টাকা।

এই অবকাঠামোর মাধ্যমে শুষ্ক মৌসুমে এই অঞ্চলে কৃষি ও যোগাযোগ ক্ষেত্রে এনেছে বৈপ্লবিক পরিবর্তন বলে জানান প্রকল্প বাস্তবায়নকারী দিনাজপুর পাউবোর নির্বাহী প্রকৌশলী রাকিবুল হাসান। প্রায় ৬৩ কোটি টাকা ব্যয়ে ২০১৮ সালে শুরু হওয়া প্রকল্পটির নির্মাণ কাজ ইতোমধ্যে সমাপ্ত হয়েছে আনুষ্ঠানিক উদ্বোধনের অপেক্ষায়। পানি উন্নয়ন বোর্ডের এই প্রকল্পে গৌরীপুর, ঘুঘুডাঙ্গা ও বসন্তপুর এলাকায় এলএলপি সেচ প্রকল্পের মাধ্যমে বোরো মৌসুমে সেচ সুবিধা প্রদান করছে। সেচ কাজ পরিদর্শন করেন দিনাজপুর পানি উন্নয়ন বোর্ডের নির্বাহী প্রকৌশলী মো. রাকিবুল হাসান, পানি উন্নয়ন বোর্ড ঠাকুরগাঁওয়ের উপ-প্রধান সম্প্রসারণ কর্মকর্তা মো. রাফিউল বারী, দিনাজপুর পানি উন্নয়ন বোর্ডের সহকারী প্রকৌশলী মো. সিদ্দিকুর নয়ন, সেচ সুবিধাভোগী পানি ব্যবস্থাপনা কমিটির সভাপতি ও সাবেক ইউপি চেয়ারম্যান মো. জিয়াউর রহমান জিয়া প্রমুখ।