ঢাকা ২৭ সেপ্টেম্বর ২০২৪, ১২ আশ্বিন ১৪৩১ | বেটা ভার্সন

গুঁড়িয়ে দেয়া ইটভাটায় ফসল চাষ

গুঁড়িয়ে দেয়া ইটভাটায় ফসল চাষ

হাইকোর্ট এবং পরিবেশ, বন ও জলবায়ু পরিবর্তন মন্ত্রণালয়ের নির্দেশে গাজীপুরের কালিয়াকৈরে গুঁড়িয়ে দেয়া হয়েছে সাত ইটভাটা। এর ফলে ভরে উঠছে ফসলের মাঠ, জেগে উঠেছে কৃষিখাতে আশার আলো। এ মৌসুমে লক্ষ্যমাত্রা ছাড়িয়ে যাবে কৃষি অর্থনীতি। অপরদিকে পরিবেশ দূষণ রোধে জনস্বাস্থ্য ঝুঁকিও কমবে।

এলাকাবাসী ও সংশ্লিষ্ট কর্তৃপক্ষ সূত্রে জানা গেছে, বিভিন্ন সময় এলাকাবাসীর অভিযোগ, বিক্ষোভ মিছিল ও মানববন্ধনেও বন্ধ হয়নি অবৈধ ইটভাটা। এদিকে ইটের পরিবর্তে ব্লক প্রস্তুতের পরিকল্পনায় ইটভাটা বন্ধে জেলা প্রশাসকদের (ডিসি) নির্দেশ দিয়েছে পরিবেশ, বন ও জলবায়ু পরিবর্তন মন্ত্রণালয়। অপর দিকে দেশের সব অবৈধ ইটভাটা বন্ধ করার নির্দেশনা জারি করতে বলেছেন হাইকোর্ট। এসব নির্দেশ উপেক্ষা করে ম্যানেজেই কৃষিজমির টপ সয়েল কেটে দেদারছে চলছে ইটভাটাগুলো। জ্বালানি হিসেবে ব্যবহার করা হচ্ছে কাঠও। এতে হুমকির মুখে কৃষিখাত ও জীববৈচিত্র্য। গত ২০২০-২০২১ অর্থবছরে হাইকোর্ট এবং পরিবেশ, বন ও জলবায়ু পরিবর্তন মন্ত্রণালয়ের নির্দেশে ভ্রাম্যমাণ আদালতের অভিযান পরিচালনা করে উপজেলা প্রশাসন। ওই অভিযানে সাহবাজপুর এলাকার এনবিসি, ডুবাইল এলাকার একতা, আরএসএম ও জেআরএস, সোনাখালী এলাকার কেবিসি, দরবাড়িয়া এলাকার এসএনবিসহ মাত্র ৭টি ইটভাটা গুঁড়িয়ে দেয়া হয়। যার ধ্বংসস্তূপের সর্বশেষ ইটগুলো সংগ্রহ করছেন ইটভাটার মালিকরা। তবুও ইটভাটা গুড়িয়ে দেয়ায় এ বছর প্রায় ৫০০ বিঘা তিন ফসলি জমি আবাদের আওতায় আসছে। আবাদ করা হয়েছে শরিষা, ভুট্টা, ধানসহ বিভিন্ন সবজি। ভরে উঠছে ফসলের মাঠ, জেগে উঠেছে কৃষিখাতে আশার আলো। সব ঠিকঠাক থাকলে এ মৌসুমে লক্ষ্যমাত্রা উৎপাদন ছাড়িয়ে যাবে কৃষি অর্থনীতি। অপরদিকে পরিবেশ দূষণ রোধে কমবে জনস্বাস্থ্য ঝুঁকিও। এভাবে অবৈধ ইটভাটাগুলো বন্ধ হলে আরো হাজার হাজার বিঘা জমি ফসলে ভরে উঠবে বলে মনে করছেন সচেতন মহলের লোকজন। তবে নাম প্রকাশে অনিচ্ছুক ইটভাটার একাধিক মালিক ও ম্যানেজার অভিযোগের সুরে বলেন, জমি ভাড়া নিয়ে ইটভাটা করেছিলাম। পরিবেশ অধিদপ্তর প্রতিবছর কাগজপত্র নবায়ন করতো। এখন অনেক বেশি টাকা চাচ্ছে সংশ্লিষ্টরা। যারা চাহিদা মতো টাকা দিতে পারছেন, তাদের ইটভাটাগুলো চলছে। আর আমরা টাকা দিতে পারিনি বলেই শুধু আমাদেরটা বন্ধ করে দিয়েছে। অল্প সংখ্যক ইটভাটার কাগজপত্র আছে স্বীকার করে ইটভাটা মালিক সমিতির সাধারণ সম্পাদক আরজু মিয়া বলেন, ৪৪টি ইটভাটা ছিল। এর মধ্যে ৭টি ইটভাটা একেবারে বন্ধ হয়ে গেছে। তবে ২৬টি চলমান থাকলেও বাকিগুলো চালানোর জন্য প্রক্রিয়াধীন।

আরও পড়ুন -
  • সর্বশেষ
  • সর্বাধিক পঠিত