ঢাকা ২৭ সেপ্টেম্বর ২০২৪, ১২ আশ্বিন ১৪৩১ | বেটা ভার্সন

ইছামতি নদীর বেড়িবাঁধে ভাঙন

ইছামতি নদীর বেড়িবাঁধে ভাঙন

সাতক্ষীরার দেবহাটা উপজেলার ভাতশালা এলাকায় বাংলাদেশ ও ভারতের আন্তর্জাতিক সীমানা নির্ধারণকারী ইছামতি নদীতে ভাঙন দেখা দিয়েছে। নদীর প্রবল জোয়ারের তোড়ে প্রায় ১৫০ মিটার এলাকা জুড়ে বেড়িবাঁধ ভেঙে যাওয়ায় ভূখণ্ড হারাচ্ছে বাংলাদেশ। এরই মধ্যে বেড়িবাঁধের কিছু অংশ নদীগর্ভে ধসেও পড়েছে। দ্রুত বেড়িবাঁধ মেরামত করা না হলে যে কোনো মুহূর্তে ভেঙে আশপাশের এলাকা প্লাবিত হওয়ার শঙ্কা দেখা দিয়েছে। আতঙ্কগ্রস্ত হয়ে পড়েছেন নদীর তীরবর্তী মানুষ। তবে পানি উন্নয়ন বোর্ড (পাউবো) নির্বাহী প্রকৌশলী জানান, বাঁধ দ্রুত মেরামতের কাজ শুরু করা হবে। দেবহাটা উপজেলা সদর ইউনিয়ন পরিষদ চেয়ারম্যান (ইউপি) আব্দুল মতিন জানান, পাউবো কর্তৃপক্ষের গাফিলতির কারণে বাঁধ ভেঙে বাংলাদেশের ভূখণ্ড নদীতে চলে যাচ্ছে আর ভারতের পাশে জেগে উঠছে চর। ভাতশালা এলাকায় ইছামতির ভয়াবহ ভাঙনে পাউবোর বেড়িবাঁধের একাংশে নদীতে চলে গেছে। ভাঙন কবলিত এলাকা জরুরিভিত্তিতে সিমেন্ট ও পাথর দিয়ে তৈরি ব্লক ও বালুভর্তি বস্তা ডাম্পিং করার জন্য পাউবো কর্তৃপক্ষকে বলা হয়েছে। কিন্তু তাদের কোনো উদ্যোগ না নিয়ে বলছে ভাঙনরোধে রিংবাঁধ দিতে হবে। উপজেলা পরিষদ চেয়ারম্যান মুজিবর রহমান জানান, সোমবার ভাঙন কবলিত এলাকা পরিদর্শন শেষে পানি উন্নয়ন বোর্ড কর্মকর্তাদের সঙ্গে কথা বলেছেন। জরুরি ভিত্তিতে ভাঙন কবলিত এলাকায় এলাকায় বালুভর্তি জিও ব্যাগ ও সিমেন্ট পাথর দিয়ে তৈরি ব্লক ডাম্পিংয়ের জন্য সংশ্লিষ্টদের বলা হয়েছে। সাতক্ষীরা পানি উন্নয়ন বোর্ডের ওই এলাকায় দায়িত্বরত সেকশন অফিসার (এসও) সাইদুর রহমান জানান, ভাঙন কবলিত এলাকা তিনি ও পাউবো বিভাগের নির্বাহী প্রকৌশলী পরিদর্শন করেছেন। ভাঙন কবলিত ওই এলাকাটিতে নতুন করে রিং বাঁধ দেয়া প্রয়োজন। কিন্তু স্থানীয়রা রিং বাঁধ নির্মাণের পক্ষে মতামত দিচ্ছে না। তারা বলেছেন ব্লক ও বালুভর্তি জিও ব্যাগ ডাম্পিং না করে রিং বাঁধ দিলে তারা অনেকেই গৃহহীন হয়ে পড়বেন। সাতক্ষীরা পানি উন্নয়ন বোর্ড (পাউবো)-১ নির্বাহী প্রকৌশলী মোহাম্মদ শাহনেওয়াজ তালুকদার জানান, ঊর্ধ্বতন কর্তৃপক্ষকে জানিয়েছি- তারা আমাদের জরুরি ব্যবস্থা নেয়ার নির্দশনা প্রদান করেছেন।

আরও পড়ুন -
  • সর্বশেষ
  • সর্বাধিক পঠিত