মুকুলের ঘ্রাণে মৌ মৌ প্রকৃতি

প্রকাশ : ১৪ ফেব্রুয়ারি ২০২৩, ০০:০০ | প্রিন্ট সংস্করণ

  মশিয়ার রহমান, কেশবপুর (যশোর)

যশোরের কেশবপুরে আবহাওয়া ভালো থাকায় এ বছর ফুটেছে প্রচুর পরিমাণে আমের মুকুল। আম গাছে মুকুল আসতে শুরু করায় নানা ফুলের সঙ্গে ছড়াচ্ছে সুবাসিত সৌরভ। কবির ভাষায় ‘ফাল্গুনে বিকশিত কাঞ্চন ফুল, ডালে ডালে পুঞ্জিত আমের মুকুল। বনে বনে ফুল ফুটেছে, দোলে নবীন পাতা।’ এ যেন বসন্ত জাগ্রত দ্বারে। আমের মুকুলের মিষ্টি ঘ্রাণে মৌ মৌ করছে প্রকৃতি। গাছের প্রতিটি শাখা-প্রশাখায় চলছে ভ্রমরের সুর বাঞ্জনা। রয়েছে মৌমাছিরও গুঞ্জন। বাগানের সারি সারি গাছে স্নিগ্ধতার মধ্যেই শোভা ছড়াচ্ছে সোনালি মুকুল। সুরভিত মুকুলের গন্ধ পাল্টিয়ে দিয়েছে এ অঞ্চলের বাতাস। তাই দক্ষিণা বাতাসে দোল খাচ্ছে আম চাষীদের স্বপ্ন। উপজেলা কৃষি অফিস সূত্রে জানা গেছে, কেশবপুর উপজেলায় চলতি বছরে আম চাষ হয়েছে প্রায় ৭৫০ হেক্টর জমিতে। এর মধ্যে মজিদপুর, সাগরদাঁড়ি, পাঁজিয়া, মঙ্গলকোট, ত্রিমোহিনী ও কেশবপুর সদর ইউনিয়নে বেশি আমের বাগান রয়েছে। আবহাওয়া পরিস্থিতি অনুকূলে থাকা ও আমের ব্যবসা লাভজনক হওয়ায় প্রতি বছরই আবাদ বাড়ছে। আমের উৎপাদন যাতে বৃদ্ধি পায় এ জন্য কৃষি বিভাগ থেকে আম চাষিদের বিভিন্ন পরামর্শ প্রদান করা হচ্ছে। এ অঞ্চলে আমরুপালি, লেংড়া, ফজলি, হাড়িভাঙা, মল্লিকা, হিমসাগর থাই, গোপালভোগ, বারি ১০, দেশি, বেনারসি, সিতাভোগ ও রসে ভরা বোম্বাই জাতের আম আবাদ করা হয়। এ ব্যাপারে উপজেলা কৃষি কর্মকর্তা ঋতুরাজ সরকার বলেন, আম গাছে মুকুল আসার আগে পোকা দমনের জন্য চাষিদের ছত্রানাশক স্প্রে করতে বলা হয়েছে। হঠাৎ তাপমাত্রা বেড়ে যাওয়ার কারণে এ উপজেলার অধিকাংশ আম গাছে মুকুল ভালোভাবে প্রস্ফুটিত হয়েছে। এছাড়া কোনো প্রাকৃতিক দুর্যোগ না হলে গত বছরের তুলনায় এবার আমের উৎপাদন বেশি হবে।