ঢাকা ২১ সেপ্টেম্বর ২০২৪, ৬ আশ্বিন ১৪৩১ | বেটা ভার্সন

এক মাদ্রাসায় দুই অধ্যক্ষ

এক মাদ্রাসায় দুই অধ্যক্ষ

অধ্যক্ষ নিয়ে দ্বন্দ্বে শেরপুরের ঝিনাইগাতী উপজেলার দিঘিরপাড় ফাজিল মাদ্রাসার শিক্ষক-কর্মচারীদের বেতন-ভাতা বন্ধ রয়েছে। মাদ্রাসাটির অধ্যক্ষ সুলতান মাহমুদ খসরু পদত্যাগ করলে ২০২১ সালের ৫ অক্টোবর গভর্নিং বডি সভা করে সহকারী অধ্যাপক মো. ওবায়েদুল ইসলামকে ভারপ্রাপ্ত অধ্যক্ষ হিসেবে দায়িত্ব নেয়। ২০২২ সালের ১ নভেম্বর সাবেক গভর্নিং বডির সদস্য ও ছাত্র অভিভাবক আব্দুল ওয়াহাব আদালতে মামলা করেন। এতে অভিযোগ আনা হয়, মাদ্রাসা কমিটির দাতা সদস্য হামিদুর রহমান ও প্রতিষ্ঠাতা সদস্য বাকী বিল্লাহ মাদ্রাসার কোষাগারে কাম্য অর্থ বা সমপরিমাণ সম্পদ দান করেননি। এ কারণে তাদের সদস্য পদ ভুয়া উল্লেখ করে গভর্নিং বডি বাতিলের দাবি করা হয়। এ ঘটনা নিয়ে গত বছরের ২১ নভেম্বর পাবলিক পরীক্ষা শেষে জামায়াত নেতা মৌলানা হামিদুর রহমান ও জামায়াত নেতা আব্দুল হালিম মিয়া অধ্যক্ষসহ তার অনুসারী কয়েকজনকে সঙ্গে নিয়ে অধ্যক্ষের কক্ষে ঢোকেন। তারা ভারপ্রাপ্ত অধ্যক্ষকে হত্যার হুমকি দিয়ে রেজুলেশন খাতাসহ বিভিন্ন খাতাপত্র ছিনিয়ে নিয়ে যান। এ ব্যাপারে ওইদিনই ঝিনাইগাতী থানায় অভিযোগ দেন ভারপ্রাপ্ত অধ্যক্ষ মো. ওবায়েদুল ইসলাম। একই দিন তাকে না জানিয়ে গভর্নিং বডির নামে একটি সভা করে জুনিয়র শিক্ষক জামায়াত নতা আবু রায়হানকে ভারপ্রাপ্ত অধ্যক্ষের দায়িত্ব দেয়া হয়। একই সঙ্গে ওবায়েদুল ইসলামকে দায়িত্ব হস্তান্তরের জন্য চিঠি দেন ওই সভায় গঠিত উপকমিটির আহ্বায়ক মৌলানা হামিদুর রহমান। যা অবৈধ বলে দাবি ভুক্তভোগীর। বিষয়টি নিয়ে গত বছরের ৩০ নভেম্বর শেরপুর সিআর আদালতে মামলা হয়। পরে ছিনিয়ে নেয়া কাগজপত্র উদ্ধারের জন্য চারজনের বিরুদ্ধে সার্চ ওয়ারেন্ট (এসডব্লিউ) জারি করেন আদালত। পদ নিয়ে বিবাদের কারণে গত বছরের নভেম্বর মাসের বেতন-ভাতার বিল দাখিল করলেও সই করেনি গভর্নিং বডির সভাপতি ও এডিএম মোহাম্মদ তোফায়েল আহমেদ। জুনিয়র শিক্ষক জামায়াত নেতা আবু রায়হান বলেন, গভর্নিং বডি আমাকে ভারপ্রাপ্ত অধ্যক্ষের দায়িত্ব দিয়েছেন। ভারপ্রাপ্ত অধ্যক্ষ মো. ওবায়েদুল ইসলাম বলেন, সিনিয়র শিক্ষক হিসেবে নীতিমালা অনুযায়ী আমি দায়িত্ব পালন করছি।

আরও পড়ুন -
  • সর্বশেষ
  • সর্বাধিক পঠিত