কুল চাষে অল্প খরচে বেশি লাভ

প্রকাশ : ১৫ ফেব্রুয়ারি ২০২৩, ০০:০০ | প্রিন্ট সংস্করণ

  মানিক ভূঁইয়া, নোয়াখালী

নোয়াখালীর সদর উপজেলা কৃষি বিভাগের সার্বিক সহযোগিতায় বল সুন্দরী, কাশ্মীরি ও থাই আপেল জাতের কুল চাষাবাদে সফল, বাণিজ্যিকভাবে চাষের প্রথম বারই লাভ হওয়া ফুটেছে চাষির মুখে হাসি। নতুন করে কেউ এই ফল চাষ করতে চাইলে সব রকমের সহযোগিতার আশ্বাস উপজেলা কৃষি বিভাগের। জেলা সদর উপজেলার কাদির হানিফ ইউনিয়নের সাইফুল জাপান নিজ এলাকায় কয়েকজন বন্ধুবান্ধব মিলে ২৫০ শতাংশ পতিত জমিতে, নব আলো অ্যাগ্রিকালচার নামে উপজেলা কৃষি সম্প্রসারণের মাধ্যমে বাণিজ্যিকভাবে কুল চাষের বাগান গড়ে তোলে। প্রথম বছরে পরীক্ষামূলকভাবে বল সুন্দরী, কাশ্মীরি ও থাই আপেল কুল চাষ করেন লাভবান হয়। তার বাগানের চারদিকে তাকালে শুধু কুল আর কুল। ছোট থেকে বড় প্রতিটি গাছের ঢাল নুইয়ে পড়েছে।

সহকারী কৃষি অফিসার, কুদরুতুন নাহার মাহিনুর বলেন, নব আলো অ্যাগ্রিকালচার মালিক সাইফুলকে সব ধরনের সহযোগিতা এবং অন্যদের সহযোগিতা দিতে প্রস্তুত রয়েছেন কৃষি অফিসার।

সদর উপজেলা কৃষি অফিসার মাশরেফুল হাসান বলছেন, বল সুন্দরী, কাশ্মীরি ও থাই আপেল কুল চাষ, সাইফুল লক্ষ্যমাত্র ছাড়িয়ে গেছেন। কুলের সম্ভাবনাময় ফসল হিসেবে সকলের কাছে পরিচিত ও সুস্বাদু। কুল চাষে পানি সেচের জন্য সেচ পাম্পসহ সার বীজ গাছের চারা ও প্রয়োজনীয় সব সহযোগিতা দেয়া হয়েছে, আগামীতেও যারা এগিয়ে আসবেন সব সহযোগিতার আশ্বাস দেন তিনি।

সাইফুল ইসলাম বলেন, জাপান স্কলারশিপ পেয়ে ও করোনার কারণে যেতে পারেনি। অলস বসে না থেকে সাইফুল করোনাকালে প্রবাস না গিয়ে ২৫০ শতাংশ জমিতে উপজেলা কৃষি সম্প্রসারণের মাধ্যমে বাণিজ্যিকভাবে কুল চাষে বাগান গড়ে তোলে। লাভবান হচ্ছেন তিনি।

সে আশা করে তার দেখাদেখি অন্য এ কুল চাষে এগিয়ে আসেবে।