৩০ টাকার মরিচ ১০০ টাকা

প্রকাশ : ১৬ ফেব্রুয়ারি ২০২৩, ০০:০০ | প্রিন্ট সংস্করণ

  আবদুল কাফি সরকার, গাইবান্ধা

গত এক সপ্তাহে আগে গাইবান্ধার হাটবাজারে প্রতি কেজি কাঁচা মরিচ বিক্রি হতো ৩০ টাকা দামে। সেটি একলাফে বেড়ে ১০০ টাকা কেজি বিক্রি হচ্ছে। এতে করে বিপাকে পড়েছে নিম্ন আয়ের ভোক্তারা। গতকাল বুধবার বিকালে পুরাতন বাজারসহ বিভিন্ন হাটবাজার ঘুরে দেখা যায়, প্রতি কেজি কাঁচা মরিচ মানভেদে ৯০ থেকে ১০০ দামে কেনাবেচা হচ্ছে। জানা যায়, রবি মৌসুমের এই সময়ে কৃষকের ক্ষেতে অধিক পরিমাণ কাঁচা মরিচ গাছে ঝুললেও সেগুলো তোলা হয় কম। চরাঞ্চলের বেশিরভাগ কৃষক শুকনো মরিচ বিক্রি করার লক্ষ্যে গাছে পাকাতে শুরু করছে। এ কারণে কাঁচা মরিচ উৎপাদন কম হচ্ছে। এর চাহিদার অপ্রতুল হওয়ায় হু হু করে দাম বাড়তে শুরু করেছে, যার ফলে ৩০ টাকা কেজি দামের কাঁচা মরিচ একলাফে ৯০ থেকে ১০০ টাকা পর্যন্ত খুচরা বাজারে বিক্রি হচ্ছে।

ফুলছড়ি চরের কৃষক নওয়াব আলী জানান, তিনি ৪০ শতক জমিতে মরিচ আবাদ করেছেন। ফলনও হয়েছে ভালো। সপ্তাহখানেক আগে প্রত্যেক দিন কাঁচা মরিচ ছিঁড়ে বিক্রি করতেন। বর্তমানে মরিচ তোলা বন্ধ করেছেন। শুকনো (সুট) মরিচ বিক্রির জন্য ক্ষেতে পাকাচ্ছেন। শহরের পুরাতন বাজারের ক্ষুদ্র ব্যবসায়ী আজাদুল ইসলাম বলেন, আড়তে বেশি দাম দিয়ে কাঁচা মরিচ কিনতে হচ্ছে। তাই খুচরা বাজারে এর প্রভাব পড়েছে। এখন ৯০ থেকে ১০০ টাকা কেজি দরে বিক্রি করা হচ্ছে। ইদানীং দাম বেড়ে যাওয়ায় ভোক্তারা ক্ষুব্ধ হয়ে উঠেছেন। এ বাজারে মরিচ কিনতে আসা শহিদুল ইসলাম নামের এক ভ্যানরিকশা চালক বলেন, একদিক কমেছে আয়-রোজগার। অন্যদিকে কাঁচা মরিচসহ বেড়েছে নিত্যপণ্যের দাম। ধাপেরহাট এলাকার খাজানুর রহমান নামের আরেক কৃষক জানান, গাইবান্ধা জেলায় মরচিসহ প্রচুর শাকসবজি উৎপাদন হয়। এসব সবজি সংরক্ষণের জন্য হিমাগার না থাকায় কৃষক-ক্রেতা উভয়ে ক্ষতির শিকার হচ্ছেন। গাইবান্ধা জেলা কৃষি বিভাগের উপ-পরিচালক বেলাল বলেন, চলতি রবি মৌসুমে এ জেলায় ২ হাজার ১০ হেক্টর জমিতে মরিচ চাষ করা হয়েছে। সম্প্রতি ক্ষেতে মরিচ পাকাচ্ছেন কৃষকরা। এজন্য কাঁচা মরিচের উৎপাদন কম রয়েছে। আর কিছুদিন পর বাজার নিয়ন্ত্রণে আসবে।