ঢাকা ২১ সেপ্টেম্বর ২০২৪, ৬ আশ্বিন ১৪৩১ | বেটা ভার্সন

বছর পেরোলেও ডোপ টেস্ট চালু হয়নি

বছর পেরোলেও ডোপ টেস্ট চালু হয়নি

পেশাদার গাড়িচালকদের ড্রাইভিং লাইসেন্স পেতে সরকার ডোপ টেস্ট (মাদক পরীক্ষা) বাধ্যতামূলক করলেও কিট সংকটে কুষ্টিয়ায় ডোপ টেস্ট বন্ধ থাকায় চরম ভোগান্তি ও হয়রানির শিকার হচ্ছেন চালকরা। গত বছর ৩০ জানুয়ারি থেকে সারা দেশে পেশাদার গাড়িচালকদের জন্য নতুন ড্রাইভিং লাইসেন্স ইস্যু ও নবায়ন করতে ডোপ টেস্ট বাধ্যতামূলক করেছে সরকার। এ নির্দেশনা কার্যকর হওয়ার কথা থাকলেও বছর পেরিয়ে গেলেও কুষ্টিয়ায় ডোপ টেস্ট সেবা চালু হয়নি। দীর্ঘ প্রায় ছয় মাস পর গত বছরের ১৫ জুন থেকে ডোপ টেস্ট চালু হলেও মাত্র দেড় মাসের মাথায় হঠাৎ করেই ডোপ টেস্ট বন্ধ হয়ে যায়। এ কারণে প্রায় সাড়ে তিন হাজার পেশাদার ড্রাইভিং লাইসেন্স ঝুলে রয়েছে।

কুষ্টিয়া জেনারেল হাসপাতাল কর্তৃপক্ষ বলছে, টেস্ট কিট ফুরিয়ে যাওয়ায় এ সংকট সৃষ্টি হয়েছে। বাংলাদেশ সড়ক পরিবহন কর্তৃপক্ষ (বিআরটিএ) কুষ্টিয়া জেলা কার্যালয়ের তথ্যমতে, কুষ্টিয়া বিআরটিএ থেকে আগস্ট মাস পর্যন্ত মোট ৩ হাজার ৩২০ জন চালকের নতুন লাইসেন্স ইস্যু ও নবায়নের জন্য ডোপ টেস্ট সম্পন্ন করতে ২৫০ শয্যাবিশিষ্ট কুষ্টিয়া জেনারেল হাসপাতালের তত্ত্বাবধায়কের দপ্তরে নামের তালিকা পাঠানো হয়। এর মধ্যে ৯৬৫ জনের ডোপ টেস্টের ফলাফল পাওয়া গেছে। এদের মধ্যে ১৫ জনের পজিটিভ আসায় লাইসেন্স প্রদান স্থগিত করা হয়েছে। এখনো ফলাফলের অপেক্ষায় আছেন দুই হাজার ২৫৫ জন।

দৌলতপুর উপজেলার প্রাগপুর এলাকার ট্রাকচালক রেজাউল শেখ বলেন, আমার ড্রাইভিং লাইসেন্সের মেয়াদ শেষ হয়ে গেছে। ডোপ টেস্টের জন্য বিআরটিএর কাগজ নিয়ে ১৫ দিন ধরে কুষ্টিয়া জেনারেল হাসপাতালে ঘুরছি। কাগজ জমা নিচ্ছে না। কুষ্টিয়া জেনারেল হাসপাতালের তত্ত্বাবধায়ক ডা. মো. রফিকুল ইসলাম বলেন, কিট ফুরিয়ে যাওয়ায় ডোপ টেস্ট বন্ধ রয়েছে। বাজেটপ্রাপ্তি সাপেক্ষে টেন্ডার প্রক্রিয়ার মাধ্যমে কিট কেনা হবে। কুষ্টিয়ার সিভিল সার্জন ডা. এএইচএম আনোয়ারুল ইসলাম বলেন, কুষ্টিয়ায় অন্যান্য জেলার তুলনায় নতুন ড্রাইভিং লাইসেন্সের চাহিদা ও নবায়নের চাহিদা অনেক বেশি। যে কারণে মাত্র ক’দিনের মধ্যেই কিট ফুরিয়ে গিয়ে জটিলতা তৈরি হয়েছে। এরই মধ্যে হাসপাতাল কর্তৃপক্ষের সঙ্গে এ বিষয়ে আলোচনা করে দ্রুত সমস্যা সমাধানের পরামর্শ দেয়া হয়েছে।

আরও পড়ুন -
  • সর্বশেষ
  • সর্বাধিক পঠিত