নোয়াখালীতে কুল চাষে কৃষকের হাসি

প্রকাশ : ১৭ ফেব্রুয়ারি ২০২৩, ০০:০০ | প্রিন্ট সংস্করণ

  মানিক ভূঁইয়া, নোয়াখালী

নোয়াখালীর সদর উপজেলা কৃষি বিভাগের সার্বিক সহযোগিতায় বল সুন্দরী, কাশমিরি ও থাই আপেল জাতের কুল চাষাবাদ সফল, বাণিজ্যিকভাবে চাষের প্রথমবারই লাভ হওয়ায় ফুটেছে চাষির মুখে হাসি। এই কুল চাষের আগ্রহ বাড়ছে অন্যদের মধ্যে। নতুন করে কেউ এই ফল চাষ করতে চাইলে সব রকমের সহযোগিতার আশ্বাস দিয়েছে উপজেলা কৃষি বিভাগ। জেলা সদর উপজেলার কাদির হানিফ ইউনিয়নের সাইফুল জাপানে স্কলারশিপ পেয়েও করোনা কারণে যেতে পারেনি। অলস বসে না থেকে সাইফুল করোনাকালে প্রবাস না গিয়ে জীবিকার তাগিদে নিজ এলাকায় কয়েকজন বন্ধুবান্ধব মিলে ২৫০ শতাংশ পতিত জমিতে, নব আলো অ্যাগ্রিকালচার নামে উপজেলা কৃষি সম্প্রসারণের মাধ্যমে বাণিজ্যিকভাবে কুল চাষের বাগান গড়ে তোলে। প্রথম বছরে পরীক্ষামূলকভাবে বল সুন্দরী, কাশমিরি ও থাই আপেল কুল চাষ করেন লাভবান হয়। তার এ বাগানের চারদিকে তাকালে শুধু কুল আর কুল। ছোট থেকে বড় প্রতিটি গাছের ঢাল নুইয়ে পড়েছে। পরিপক্ব কুলগুলো দেখতে লাল আপেলের মতো, সুস্বাদু ও বেশ মিষ্টি। ভালো ফলন হওয়ায় ও ভালো লাভ দেখে এবার অন্যরাও কুল চাষ করতেন এগিয়ে আসছেন জানালেন সাইফুল। শিক্ষিত বেকার যুবকদের বসে না থেকে ও চাকরির পেছনে না ঘুরে কুলের চাষে এগিয়ে আসতে বলেছেন সাইফুল ও। বিশ্ব অর্থনীতিক মন্দা মোকাবিলায় বেকার সমস্যা সমাধানসহ অধিক লাভের জন্য অন্যদের এগিয়ে আসতে আহ্বান করেন। কৃষি বিভাগের সহযোগিতায় কুল চাষে লাভ ও উৎপাদন দেখে অন্য কৃষকরাও উদ্বুদ্ধ হচ্ছেন, অনেকে যোগাযোগ করছেন এবং বাণিজ্যিকভাবে আরো কুল চাষ হবে বলে আশা করছেন সংশ্লিষ্টরা। সহকারী কৃষি অফিসার, কুদরুতুন নাহার মাহিনুর বলেন, নব আলো অ্যাগ্রিকালচারের মালিক সাইফুলকে সব ধরনের সহযোগিতা করছেন এবং অন্যদের সহযোগিতা দিতে প্রস্তুত রয়েছেন কৃষি অফিসার। সদর উপজেলা কৃষি অফিসার মাশরেফুল হাসান বলেছেন, বল সুন্দরী, কাশ্মীরি ও থাই আপেল কুল চাষে সাইফুল লক্ষ্যমাত্র ছাড়িয়ে গেছেন। কুলের সম্ভাবনাময় ফসল হিসেবে সবার কাছে পরিচিত ও সুস্বাদু। কুল চাষে পানি সেচের জন্য সেচ পাম্পসহ সার বীজ গাছের চারা ও প্রয়োজনীয় সব সহযোগিতা দেয়া হয়েছে, আগামীতেও যারা এগিয়ে আসবেন, সব সহযোগিতার আশ্বাস দেন তিনি। সাইফুল ইসলাম বলেন, জাপানের স্কলারশিপ পেয়েও করোনা কারণে যেতে পারেনি। অলস বসে না থেকে সাইফুল করোনাকালে প্রবাস না গিয়ে ২৫০ শতাংশ জমিতে উপজেলা কৃষি সম্প্রসারণের মাধ্যমে বাণিজ্যিকভাবে কুল চাষে বাগান গড়ে তোলেন, লাভবান হচ্ছেন তিনি। তাকে দেখে অন্যরা এ কুল চাষে এগিয়ে আসবেন।