নীলফামারীতে এক সড়কে ৯ বাঁক

প্রকাশ : ১৭ ফেব্রুয়ারি ২০২৩, ০০:০০ | প্রিন্ট সংস্করণ

  মিজানুর রহমান, নীলফামারী

নীলফামারী সদরের কালিতলা থেকে পুলিশ লাইন পর্যন্ত প্রায় ৮ কিলোমিটার দৈর্ঘ্য রাস্তাটি বাইপাস নয়, যেন মরণ ফাঁদ হয়ে দাঁড়িয়েছে পথচারীদের জন্য। রাস্তাটিতে রয়েছে ৯টি চরম বাঁকা বাক এবং আঁকাবাঁকা হয়ে চলে গেছে পুলিশ লাইন দিয়ে ডোমার সড়কে। গত ৩ বছর আগে সড়ক ও জনপদ বিভাগের অর্থায়নে ২৩ কোটি ৫৮ লাখ টাকা ব্যয়ে রাস্তাটি নির্মাণ করা হয়। সরেজমিন দেখা যায়, কালিতলা থেকে পুলিশ লাইন পর্যন্ত ৯টি মোড়ের দুই ধারে রয়েছে দোকান ও বসতবাড়ি। সড়কে যে কয়েকটি দূরপাল্লার বাস, ট্রাক, নাইটকোচ যানবাহন চলাচল করে তারপরও প্রতিনিয়ত অনেক ছোট বড় দুর্ঘটনা ঘটে এই সড়কে। সড়কটি গত বছরের ডিসেম্বরে উদ্ধোধন করা হলেও আঁকাবাঁকা পথ হওয়ায় বাইপাস রাস্তাটি দিয়ে চলাচল করছেন না কোনো ভারি যানবাহন। প্রায় ২৪ কোটি টাকা ব্যয়ে রাস্তাটি মুখ থুবড়ে পড়েছে।

জেলা শহরের ব্যবসায়ী কারুজ্জামান বলেন, সৈয়দপুর থেকে কালিতলা হয়ে ডোমার জলঢাকা বাইপাস সড়কটি চালু হলে এই শহরটি যানজট মুক্ত হবে। বিশেষ করে সকাল ৮ থেকে দুপুর ১২টা এবং সন্ধ্যা ৬টা থেকে রাত্র ১১টা পর্যন্ত ঢাকাগামী ডে এবং নাইট কোচ বিআরটিসিসহ সব ধরনের যানবাহন চলাচলে সড়কটি ব্যস্ত হয়ে পড়ে। এই সময় রোগীর অ্যাম্বুলেন্স, ফায়ার সার্ভিস ও জরুরি কাজের গাড়িগুলো শহরের মাঝপথে আটকা পড়ে যায়। জেলা শহরের শাকামাছা হাটের ময়নুল পরিবহণের কোচের মালিক মো. ময়নুল হোসেন বলেন, আমরাও চাই শহরটি যানজট মুক্ত হউক। কিন্তু বাইপাস সড়কের যতগুলো বাঁক পার হতে হয় এতে বড় গাড়ির যাতায়াত কোনো মতোই সম্ভব না। তাই দ্রুত সড়কটি সোজা ও প্রশস্ত করার আহ্বান জানাই। নীলফামারী সড়ক ও জনপদ বিভাগের নির্বাহী প্রকৌশলী মোহাম্মদ জহিরুল ইসলাম জানান, বাইপাস সড়কের ছয়টি বাঁক সোজা করতে গেলে প্রায় ৮ দশমিক ৯ একর জমির প্রয়োজন।

তবে সড়কটি পূর্ণদৈর্ঘ্যে ২৪ ফিট প্রশস্ত করতে গেলে ভূমির প্রয়োজন হবে প্রায় ২৮ একর। এটি নিয়ে ঊর্ধ্বতন কর্তৃপক্ষসহ স্থানীয় এমপি মহোদয়ের সাথে কথা চলছে। আশা করি দ্রুত এ সমস্যার সমাধান হবে। আর এটি চালু হলে মূল শহরটিও যানজটমুক্ত হবে।