ঢাকা ২১ সেপ্টেম্বর ২০২৪, ৬ আশ্বিন ১৪৩১ | বেটা ভার্সন

কমে যাচ্ছে আবাদি জমি

কমে যাচ্ছে আবাদি জমি

মানিকগঞ্জের সিংগাইর উপজেলায় প্রতি বছর ফসলি জমির পরিমাণ কমে যাচ্ছে। স্থানীয়রা বলেছেন, আবাদি জমিতে মাটিকাটার প্রবণতা দিন দিন বাড়ছে। বিশেষজ্ঞরা বলেছেন, মাটিখেকোদের দৌরাত্ম্যের কারণে কৃষি উৎপাদন ও জীববৈচিত্র্য মারাত্মক হুমকির মুখে পড়েছে। মাটি ব্যবসায়ীদের দাপটে স্থানীয় সাধারণ কৃষক মুখ খুলতে সাহস পাচ্ছেন না, উল্টো তাদের ফাঁদে পড়ে বাপ-দাদার রেখে যাওয়া কৃষিজমি হারিয়ে নিঃস্ব হয়ে যাচ্ছেন তারা।

সূত্রে জানা গেছে, রাত-দিন বিরামহীনভাবে চলছে মাটিখেকোদের রমরমা বাণিজ্য। তাদের ফাঁদে পড়ে কৃষকরা চাষের পরিবর্তে জমির টপ সয়েল (উর্বর অংশ) ও ফসলি জমিতে পুকুর খনন করে মাটি বিক্রিতে আগ্রহী হয়ে উঠছেন দিন দিন। এতে ফসলি জমির উর্বরাশক্তি যেমন নষ্ট হচ্ছে, তেমনই মাটি পরিবহণের সময় আশপাশের জমির ফসলেরও ব্যাপক ক্ষতি হচ্ছে। গ্রামীণ পাকা ও কাঁচা সড়কে রাত-দিন শত শত মাটির ট্রাক যাতায়াতের ফলে দ্রুত নষ্ট হয়ে যাচ্ছে রাস্তাঘাট। সরেজমিন দেখা যায় চারিগ্রাম ইউনিয়নের চর-দাসরহাটি, বরাটিয়ার চক, ভুইতার চক ও বরাটিয়া জামসা নদীর পাড়-সংলগ্ন জমিতে মাটিকাটা হচ্ছে। স্থানীয়রা জানান, চারিগ্রাম ইউনিয়ন পরিষদের চেয়ারম্যান রিপন হোসেনের নেতৃত্বে আক্তার মাঝি, মানিক, মেহের ও জাফর সিন্ডিকেট আবাদি কৃষি জমির মাটি কেটে বিক্রি করছে। চেয়ারম্যান রিপন বলেন, আমার জমি আমি মাটি কেটে বিক্রি করব না কি করব, সেটা আমার বিষয়। তালেবপুর ইউনিয়নের কাংশার চকে জমির ফসল নষ্ট করে ড্রাম ট্রাক চলাচলের রাস্তা বানানো হয়েছে। পাশর্^বর্তী জমির মালিক জাকির হোসেন বলেন, ট্রাক চলাচল ও মাটিকাটার ফলে আমার খেতের ভুট্টা নষ্ট হয়ে যাচ্ছে। শফিকুল ইসলাম বলেন, চাচাতো ভাইয়ের জমি থেকে মাটি কাটছি। এ বিষয়ে সহকারী কমিশনার (ভূমি) জালাল উদ্দিন বলেন, কৃষিজমি থেকে মাটি বিক্রির কোনো সুযোগ নেই। যারা এসব অন্যায় করছে, তাদের বিরুদ্ধে আইনগত ব্যবস্থা নেয়া হবে। উপজেলা নির্বাহী কর্মকর্তা দিপন দেবনাথ বলেন, বিষয়টি আমার জানা নেই খোঁজ নিয়ে দেখছি।

আরও পড়ুন -
  • সর্বশেষ
  • সর্বাধিক পঠিত