মাশরুম চাষে সফল দুই উদ্যোক্তা

প্রকাশ : ২০ ফেব্রুয়ারি ২০২৩, ০০:০০ | প্রিন্ট সংস্করণ

  এইচটি তোফাজ্জল, গৌরীপুর (ময়মনসিংহ)

একযুগ আগে ঢাকার সাভারের মাশরুম উন্নয়ন ইনস্টিটিউট থেকে মাশরুম চাষের প্রশিক্ষণ নিয়েছেন ময়মনসিংহের গৌরীপুরের আবু সাঈদ ও গাজীপুরের সোহেল আহম্মেদ। এরপর বাড়ি ফিরে নিজ নিজ এলাকায় স্বল্প পরিসরে মাশরুম চাষ করে সফল হয়েছেন। সম্প্রতি এই দুই উদ্যোক্তা যৌথভাবে বৃহৎ পরিসরে মাশরুম চাষ ও বিপণন শুরু করেছেন। তাদের লক্ষ্য সারা দেশে মাশরুম বাজার তৈরির পাশাপাশি বিদেশেও রপ্তানি করা। গৌরীপুরের সদর ইউনিয়নের মুলাকান্দি এডি মাশরুম ও ভাওয়াল মাশরুম নামে মাশরুমের যৌথ খামার গড়েছেন এই দুই উদ্যোক্তা। সেই খামারে ওয়েস্টার পিওটু জাতের মাশরুম চাষ করার পাশাপাশি মাশরুমের স্পন তৈরি করে বিক্রি করছেন। ভালো ফলন হওয়ায় অল্প দিনেই লাভের মুখ দেখেছেন এই দুই উদ্যোক্তা। আলোকিত বাংলাদেশের প্রতিনিধিকে এডি মাশরুমের পরিচালক আবু সাঈদ বলেন, বিভিন্ন চায়নিজ রেস্তোরাঁর মালিক ও সমাজের বিভিন্ন শ্রেণি-পেশার মানুষ আমাদের এখান থেকে মাশরুম কিনে নিয়ে যান। এছাড়া দেশের বিভিন্ন স্থানে মাশরুম সরবরাহ করি। এখন স্বপ্ন খামারের পরিধি বাড়ানো। ভাওয়াল মাশরুমের পরিচালক সোহেল আহম্মেদ বলেন, আমাদের খামারে খড় ও কাঠের গুঁড়া দিয়ে তৈরি স্পন থেকে মাশরুম উৎপাদন করে বিপণন করছি। সরকারি সহযোগিতা পেলে আমাদের উদ্যোগকে বহুদূর এগিয়ে নিয়ে যেতে পারব। মাশরুম উন্নয়ন ইনস্টিটিউটের প্রকল্প পরিচালক ড. আখতার জাহান কাঁকন বলেন, আমরা সবসময় বলে থাকি মাশরুম একটি আন্দোলনের নাম। গৌরীপুরের দুই উদ্যোক্তা এই আন্দোলনে যুক্ত হয়ে মাশরুম চাষে সফল হয়েছেন। তাদের দেখে অন্য উদ্যোক্তারাও মাশরুম চাষ করে দারিদ্র বিমোচন করবে। মাশরুম উন্নয়ন ইনস্টিটিউটের উপপরিচালক ড. ফেরদৌস আহমেদ বলেন, গৌরীপুরে দুই উদ্যোক্তা বৃহৎ পরিসরে মাশরুম চাষ করছেন। আমরা তাদের খামার পরিদর্শন করেছি। এখন প্রণোদনার সুযোগ নেই। ভবিষ্যতে সুযোগ এলে তাদের সহযোগিতা করা হবে।