মহাসড়কে গাছের গুঁড়ির ব্যবসা : প্রায়ই ঘটে দুর্ঘটনা

প্রকাশ : ২০ ফেব্রুয়ারি ২০২৩, ০০:০০ | প্রিন্ট সংস্করণ

  মোহাম্মদ রুবেল, ঝালকাঠি

বরিশাল-খুলনা, পাথরঘাটা আঞ্চলিক মহাসড়কের ঝালকাঠির রাজাপুর উপজেলার বাঘড়ী বাঁশতলা, মেডিকেল মোড়, সমবয় ক্লাব, গালুয়া, মোল্লার হাট, নৈকাঠি, জোমাদ্দার বাড়ি ব্রিজ, লেবুবুনিয়া, আমতলা এবং পুটিয়াখালী সড়কসহ বিভিন্ন সড়কের অর্ধেকের বেশি জায়গাজুড়ে স্থায়ীভাবে কাঠ (গাছ ও গাছের গুঁড়ির) ব্যবসা জমজমাট হয়ে উঠেছে।

সড়কের পাশে এসব গাছ ও গাছের গুঁড়ি ফেলে রাখায় সৃষ্টি হয় যানজটের, প্রতিমুহূর্তে দুর্ঘটনার ঝুঁকি রয়ে যায়। অপরদিকে ট্রাক, কাভার্ড ভ্যানসহ নসিমনে ঘণ্টার পর ঘণ্টা সময় নিয়ে চলে গাছ ও গাছের গুঁড়ি লোড-আন লোডের কাজ যে কারণে বেড়েই চলেছে দুর্ঘটনা, এমনকি সড়কে ঝরছে মানুষের প্রাণও। সড়কের অর্ধেকের বেশি জায়গা দখলকরে যত্রতত্র পার্কিং করে বড় বড় ট্রাক ও কাভার্ড ভ্যান দীর্ঘ সময় গাছের গুঁড়ি ও গাছ তোলার কর্মযোগ্য চালায়। বড় বড় গাছের গুঁড়িও পরিমাপ করা হয় সড়কের উপরেই। ট্রাকে গাছ ও গাছের গুঁড়ি তোলার সময় গাড়ি ও মানুষের চলাচলে সৃষ্টি হয় চরম দুর্ভোগ। দুর্ঘটনার ঝুঁকি মাথায় নিয়ে চলতে হয় শিশু শিক্ষার্থীসহ পথচারীদের। মোমেন খান, শাহীনসহ একাধিক পথচারীরা জানায়, প্রভাবশালীদের ছত্রছায়ায় সিন্ডিকেটের মাধ্যমে প্রশাসন ম্যানেজ করে আঞ্চলিক মহাসড়কে এ ধরনের ব্যবসা চালাচ্ছেন রাজাপুর উপজেলার প্রায় ২০ থেকে ২৫ জন ব্যবসায়ী।

গাছ ব্যবসায়ী নাসির বলেন, আমরা গরিব মানুষ একটু ব্যবসা করে খাই। এখন যামু কই? সড়কজুড়ে এ ধরনের ব্যবসা করা বেআইনি কাজ বলেও স্বীকার করলেন তিনি।

লেবুবুনিয়া বাজার এলাকায় সড়ক দখল করে অপর এক গাছ ব্যবসায়ী ইদ্রিস তালুকদার বলেন, সড়কের অর্ধেকের বেশি জায়গা দখল করে ট্রাক লোড-আনলোড করলেও কোনো জনদুর্ভোগ সৃষ্টি হয় না এবং ইউপি সদস্য মামুন ও মনিরের মাধ্যমে থানায় বাৎসরিক অনুষ্ঠানের সময় সব গাছ ব্যবসায়ী মিলে টাকা দিয়ে থাকি।