কুষ্টিয়ায় গো খাদ্যের সংকট

খামারিরা ঝুঁকছে নেপিয়ার ঘাস চাষে

প্রকাশ : ২১ ফেব্রুয়ারি ২০২৩, ০০:০০ | প্রিন্ট সংস্করণ

  এএইচএম আরিফ, কুষ্টিয়া

গো খাদ্যে বিছালি, ভুসি, খুদ ও খড়ের সংকট ও দাম অনেক বেড়ে যাওয়ায় দিশাহারা হয়ে পড়েছে কুষ্টিয়ার গবাদিপশুর খামারি ও কৃষকরা। এরই মধ্যে গবাদিপশুর বিকল্প খাদ্য হিসেবে গো খাদ্যের সংকট থেকে মুক্তি পেতে কুষ্টিয়ার ৬টি উপজেলার কৃষক ও খামারিরা গবাদিপশুর খাদ্য হিসেবে উন্নত জাতের নেপিয়ার ঘাস চাষে ঝুঁঁকছে। ফলে ৬টি উপজেলায় প্রতিবছর বাড়ছে এই ঘাসের চাষ।

কুমারখালী উপজেলার প্রাণিসম্পদ দপ্তর সূত্রে জানা গেছে, বর্তমানে উপজেলায় প্রায় সাড়ে ৫০০ বিঘা জমিতে নেপিয়ার ঘাসের চাষ হচ্ছে। এর সঙ্গে সম্পৃক্ত আছে ৬ শতাধিক কৃষক ও খামারি। কৃষক থেকে কৃষক বীজ বা চারা নিয়ে নিজেরাই এই চাষে ঝুঁকছে। পরামর্শ ও ঘাসের কাটিং দিয়ে সহায়তা দিচ্ছে উপজেলা প্রাণিসম্পদ দপ্তর ও ভেটেরিনারি হাসপাতাল। কুমারখালী উপজেলার পান্টি গ্রামের কৃষক নজরুল ও আমিরুল ইসলাম ঘাস চাষ করছেন কয়েক বছর ধরে। কৃষক নজরুল ইসলাম ৪০ শতক জমিতে নেপিয়ার ঘাস চাষ করেছেন। তার নিজের ৬টি গরু রয়েছে। তিন বছর ধরে নেপিয়ার ঘাসের চাষ করছি। এতে লাভ বেশি। খরচ খুবই কম। গাভির দুধও বেশি হয়। এই ঘাস চাষের জন্য বীজ বোনা এবং চারা লাগানো যায়। বীজ বুনলে দেড় মাস এবং চারা লাগালে এক মাসের মধ্যে ঘাস বড় হয়ে যায়। প্রতি মাসে নিয়মিত অল্প ফসফেট, পটাশ এবং ইউরিয়া সার দিতে হয়। মাঝেমধ্যে সেচও দিতে হয়। একই গ্রামের কৃষক আমিরুল বলেন, ‘৩০ শতক জমিতে নেপিয়ার ঘাসের চাষ করেছি। এই জমির ঘাস থেকে আমার ৫টি গরুর খাদ্যের চাহিদা মিটে যায়। এই ঘাসে পুষ্টি বেশি।

জেলা প্রাণিসম্পদ কর্মকর্তা ডা. নূরে আলম সিদ্দিকী বলেন, নেপিয়ার ঘাস একটি বহুবর্ষজীবী উদ্ভিদ। একবার লাগালে অনেক দিন ধরে ঘাস পাওয়া যায়। অন্য ফসলের মতো নেপিয়ার ঘাসের যত্ন নেয়া লাগে না। সময়মতো সেচ আর সামান্য সার দিলেই ভালো ফলন হয়। শুকনা বিচালির তুলনায় সবুজ ঘাসে প্রচুর ভিটামিন ও মিনারেল রয়েছে। এই ঘাস পশুর রোগ প্রতিরোধ ক্ষমতা ও মাংস বৃদ্ধিতে সহায়তা করে। সুস্থসবল পশু পালনে সবুজ ঘাসের কোনো বিকল্প নেই।