শিক্ষা প্রতিষ্ঠানের ছাদে ফলের বাগান

প্রকাশ : ২২ ফেব্রুয়ারি ২০২৩, ০০:০০ | প্রিন্ট সংস্করণ

  দীপ্ত হান্নান, রাঙ্গুনিয়া (চট্টগ্রাম)

চট্টগ্রামের রাঙ্গুনিয়া উপজেলার চন্দ্রঘোনা তৈয়্যবিয়া তাহেরিয়া নুরুল হক জরিনা মহিলা মাদ্রাসা নামের একটি শিক্ষা প্রতিষ্ঠানের ছাদে গড়ে তোলা হয়েছে দৃষ্টিনন্দন বাগান। সারি সারি ড্রামে বেড়ে উঠেছে বাহারি রকমের ফুল, ফল আর ড্রাগন গাছ। শুধু ছাদেই নয়, মাদ্রাসা প্রাঙ্গণেও নানা ফলজ-বনজ গাছের পাশাপাশি সারিবদ্ধভাবে লাগানো হয়েছে নানা জাতের ফুল-ফল গাছ। এই মাদ্রাসার ছাদে বাগান দেখে অনেক স্কুল ও প্রতিষ্ঠানের মালিক ছাদবাগানে উদ্বুদ্ধ হচ্ছেন বলে জানান সংশ্লিষ্টরা।

সরেজমিন দেখা যায়, রাঙ্গামাটি-বান্দরবান সড়কের চন্দ্রঘোনা ফেরিঘাট এলাকায় অবস্থিত আঞ্জুমান ট্রাস্ট পরিচালিত মাদ্রাসা ২০০৮ সালে প্রতিষ্ঠিত হয়। এর গেটের ভেতর প্রবেশ করতেই মূল ভবনে যাওয়ার পথের দুই পাশে সারি সারি ফুলের বাগান। এই ফুলের সৌরভই পাওয়া যাচ্ছিল গেটের বাইরে। দুই পাশের প্রশস্ত মাঠে রয়েছে শত শত ফুল-ফলের গাছ। এসব দেখতে দেখতে স্কুলের শিক্ষার্থীরা দিল ছাদেও বাগান থাকার খবর। ছাদে গিয়ে দেখা যায়, সারি সারি টবে লাগানো নানা জাতের গাছের সমাহার। এসব গাছের মধ্যে রয়েছে পেয়ারা, আম, মাল্টা, কমলা, লেবু, বিপন্ন প্রজাতির রামভুটাম জাতের লেচু গাছ, রূপালি আমগাছ, ড্রাগনসহ বিভিন্ন প্রজাতির ১৫০ গাছ। এসব গাছের কোনোটিতে এসেছে ফুল কোনোটিতে ধরেছে ফল। বাগানে দাঁড়িয়েই দেখা মিলছে নিকটস্থ কর্ণফুলী নদীর চমৎকার রূপ। চারতলার সুউচ্চ ভবনের উপর থেকেই একনজরে দেখা মিলছে পুরো চন্দ্রঘোনার অপরূপ দৃশ্য। মাদ্রাসার প্রতিষ্ঠাতা মুহাম্মদ আবু জাফরের উদ্যোগেই এসব বাগান করা হয়েছে বলে জানায় সংশ্লিষ্টরা।

মাদ্রাসা পরিচালনা কমিটির সাধারণ সম্পাদক মো. ইলিয়াস কাঞ্চন চৌধুরী বলেন, গত ছয় মাস আগে ছাদ ও মাঠে এমন বাগান সৃজন করা হয়েছে। গাছগুলো বর্তমানে পরিপুষ্ট হয়ে এর শোভা ছড়াচ্ছে মাদ্রাসার সর্বত্র। বর্তমানে প্রায় তিন শতাধিক ফুল-ফলের গাছ আছে। এছাড়া স্কুলে বাগান থাকায় অনেক শিক্ষার্থীরা নিয়মিত স্কুলে আসছে। স্কুলের শিক্ষার্থী থেকে অভিভাবক এবং উৎসুক মানুষ নিয়মিত বাগান পরিদর্শন করেন এবং ছবি তুলে নিচ্ছেন। বাগান দেখে গিয়ে ছাদ বাগানে উদ্বুদ্ধ হচ্ছেন। মাদ্রাসার বাগান দেখে অনেকেই তার ভবনের ছাদ বাগান করছেন। এক কথায় মাদ্রাসার ছাদ ও মাঠে লাগানো বাগান এলাকাবাসীর নজর কেড়েছে বলে তিনি জানান। মাদ্রাসার প্রতিষ্ঠাতা মুহাম্মদ আবু জাফর বলেন, আমার গ্রাম ও শহরের বাড়ির ছাদ এবং মাঠেও নানা প্রজাতির ফুল-ফল গাছ লাগিয়েছি। মাদ্রাসাটি প্রতিষ্ঠার পর নান্দনিকভাবে গড়তে সচেষ্ট ছিলাম। এমনকি মাদ্রাসায় রং করতে গিয়ে পাশের বিল্ডিংয়েও রং করে দিয়েছিলাম। এবার আমার নিজ বাড়ির আদলে ছাদে টব লাগিয়ে বাগান এবং মাঠে সারি সারি গাছ লাগিয়ে একটা পরিকল্পিত মনোরম পরিবেশে সৃষ্টি করা হয়েছে। যাতে শিক্ষার্থীরা একটি মনোরম পরিবেশে বসে তাদের পাঠগ্রহণ করতে পারে এবং নিয়মিত বিদ্যালয়ে আসতে উদ্যোমী হয়। বাগান করার পর থেকেই শিক্ষার্থীদের উপস্থিতি ভালো এবং পড়াশোনার মানও অনেক এগিয়েছে।’