২৭ কোটি টাকার বরই বিক্রির সম্ভাবনা

প্রকাশ : ২২ ফেব্রুয়ারি ২০২৩, ০০:০০ | প্রিন্ট সংস্করণ

  আব্বাস আলী, নওগাঁ

নওগাঁয় মিশ্র ফল বাগানে আগ্রহী হচ্ছেন চাষিরা। কৃষি অফিসের পরামর্শে বিভিন্ন ফল ও সবজির দাম ভালো পাওয়ায় লাভবান হওয়ায় এখন অনেকেই কৃষিতে মনোনিবেশ করছেন।

জেলা কৃষি সম্প্রসারণ অধিদপ্তরের তথ্য মতে জেলায় এ বছর ৪৫৩ হেক্টর জমিতে বিভিন্ন জাতের বরইয়ের বাগান গড়ে উঠেছে। যেখান থেকে প্রায় ৩ হাজার ৪০০ মেট্রিক টন বরই উৎপাদনের লক্ষ্যমাত্রা ধরা হয়েছে। প্রতি কেজি ৮০ টাকা হিসেবে ২৭ কোটি ২০ লাখ টাকা বিক্রির সম্ভবনা রয়েছে। গত বছর ছিল ৩৫০ হেক্টর বিভিন্ন জাতের বরই এর বাগান ছিল। স্থানীয় চাহিদা মিটিয়ে বরই চলে যাচ্ছে ঢাকাসহ বিভিন্ন জেলায়। উদ্যোক্তা লিটন হোসেন বলেন, নবম শ্রেণি পর্যন্ত পড়াশোনা করেছি। পড়াশোনা বাদ দিয়ে এরপর বিভিন্ন কাজ করে সংসার চালাতেন। গত ২ বছর থেকে বিভিন্ন ফল ও শাকসবজির আবাদ করছি। এ বছর জমি, শ্রমিক ও আবাদে প্রায় ১২ লাখ টাকা খরচ হয়েছে। প্রতি বিঘা জমি প্রতি বছরের জন্য ২০ থেকে ২৫ হাজার টাকায় ইজারা নিয়েছি। এ বছর প্রায় ১০ লাখ টাকার বরই বিক্রি হবে। বদলগাছী উপজেলার ভাতশাইল গ্রামের যুব অ্যাগ্রো ফার্মের উদ্যোক্তা পলাশ হোসেন বলেন, প্রায় ১৪ বিঘা জমিতে বিভিন্ন ফলের বাগান রয়েছে। এর মধ্যে ৮ বিঘা আমের বাগানের মধ্যে সাথী ফসল হিসেবে বরই লাগানো হয়েছে। স্বল্প মেয়াদি ফসল হওয়ায় বরই লাভজনক। সদর উপজেলার বর্ষাইল ইউনিয়নের উপসহকারী কৃষি কর্মকর্তা রতন আলী বলেন, কৃষিক্ষেত্রে কাজ করে লাভবান হওয়া সম্ভব তা উদ্যোক্তা লিটন হোসেনকে দেখেই বুঝা যায়। তার বাগান দেখে এখন অনেকেই উদ্বৃদ্ধ হচ্ছে এবং পরামর্শ নিচ্ছে কীভাবে বাগান করলে লাভবান হওয়া সম্ভব। কৃষিতে আগ্রহ বাড়াতে উদ্যোক্তাদের কারিগরিসহ সার্বিক সহযোগিতার করা হচ্ছে। নওগাঁ কৃষি সম্প্রসারণ অধিদপ্তরের প্রশিক্ষণ অফিসার একেএম মনজুরে-মাওলা বলেন, বর্তমান সরকার কৃষিকে বাণিজ্যিকিকরণে কাজ করছে। মিশ্র ফল বাগানের ফলে সারা বছরই ফল বিক্রি হবে এবং চাষিরা লাভের মুখ দেখবে। তরুণ বিশেষ করে শিক্ষিত উদ্যোক্তারা এখন কৃষিতে এগিয়ে আসছে। তবে জমির উর্বরতা শক্তি বাড়াতে ও খরচ কমাতে রাসায়নিক সারের বিকল্প হিসেবে জৈব ও ভার্মি কম্পোস্ট সার ব্যবহারের পরামর্শ প্রদান করা হচ্ছে।