ঢাকা ২১ সেপ্টেম্বর ২০২৪, ৬ আশ্বিন ১৪৩১ | বেটা ভার্সন

নির্দ্বিধায় চলছে পাহাড় কাটা

নির্দ্বিধায় চলছে পাহাড় কাটা

সখীপুরে অবাধে চলছে মাটি কাটার মহোৎসব। কোনোভাবেই থামানো যাচ্ছে না মাটি কাটা। মাটি খেকোদের ভেকুর (মাটি কাটার যন্ত্র) থাবায় প্রতিনিয়ত বিক্ষত হচ্ছে মাটির পাহাড়। স্থানীয় প্রশাসনের জেল জরিমানা, মাটি ভর্তি ট্রাক ও ভেকু আটক করেও থামানো যাচ্ছে না এ মহোৎসব। লাল মাটি ও ফসলি জমির মাটি বহনের দায়ে ২টি ভেকু জব্দ করেছে বন বিভাগ। তাতেও থামানো যাচ্ছে না পাহাড়ি মাটি কাটার উৎসব।

জানা যায়, টাঙ্গাইল সখীপুর উপজেলার আয়তনের প্রায় অর্ধেকই পাহাড়ি অঞ্চল। প্রতি বছরই মাটি খেকোরা প্রকাশ্যে পাহাড়ের টিলা কেটে ধ্বংস করলেও পাহাড় কাটার সঙ্গে জড়িতরা থাকেন ধরাছোঁয়ার বাইরে। পাহাড়ে বছরের পর বছর এ ধ্বংস নীলা চলার কারণে বিপন্ন হচ্ছে পরিবেশ, নষ্ট হচ্ছে জীববৈচিত্র্য। অন্যদিকে গ্রামীণ সড়কে মাটিভর্তি ভারি যান চলাচলের ফলে ভেঙে যাচ্ছে সড়ক। দুর্ভোগে পড়ছে সাধারণ মানুষ। খোঁজ নিয়ে জানা যায়, দেওদিঘী, দিঘীরচালা, ইন্দারজানি, মাচিয়া, কচুয়া, হাতিবান্ধা, হতেয়া, বহেড়াতৈল, সাপিয়াচালাসহ বিভিন্ন এলাকায় মাটি কাটার মহোৎসব চলছে। এলাকাবাসী অভিযোগ করেন, দিন-রাত মাটিকাটা চলে। মাটি পরিবহণের কাজে ব্যবহৃত ভারি ড্রাম ট্রাক চলাচলের কারণে রাস্তা ভেঙে চলাচলের অযোগ্য হয়েছে। এতে সরকারের কোটি কোটি টাকা ব্যাপক ক্ষতি হচ্ছে। মাটি ব্যবসায়ীরা প্রভাবশালী হওয়ায় তাদের বিরুদ্ধে মুখ খোলার সাহস পায় না। খুংগারচালা বাজারের পশ্চিম পাশে সরকারি খাস জমিতে বড়চওনা গ্রামের মাটি ব্যবসায়ী ও আ.লীগ নেতা বাবুল হোসেন প্রভাব খাটিয়ে লাল মাটি কাটছেন। সরেজমিন গিয়ে তাকে না পাওয়ায় তিনি মোবাইল ফোনে জানান, ভাই আপনি যা করার তাই করেন আমার বিরুদ্ধে লিখলে কিছুই হবে না। আমরা ইউএনও এবং এসিল্যান্ড অফিসে যোগাযোগ করেই মাটি কাটি।

বহেড়াতৈল রেঞ্জ অফিসার আমিনুল ইসলাম বলেন, বনের জমি কিংবা লালমাটি কাটার অপরাধে ২টি ভেকু জব্দ করা হয়েছে। মাটি ও বন খেকোদের বিরুদ্ধে আমরা সোচ্ছার আছি। উপজেলা নির্বাহী কর্মকর্তা ফারজানা আলম জানান, মাটি কাটার অভিযোগ পেলে দায়ী ব্যক্তিদের বিরুদ্ধে প্রতিনিয়ত আইনগত ব্যবস্থা নেয়া হচ্ছে।

আরও পড়ুন -
  • সর্বশেষ
  • সর্বাধিক পঠিত